১৩ ই-কমার্স গ্রাহকদের ৩০৩ কোটি টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে
চলতি বছরের এপ্রিল থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেশের বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে গ্রাহকদের আটকে থাকা অর্থ ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এর ফলে গত ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৩টি ই-কমার্স কোম্পানির মোট ৩৪ হাজার ৬৯০ জন গ্রাহকের ৩০২ কোটি ৯৩ লাখ ৫৮ হাজার ৫৭৭ টাকা ফেরত দিয়েছে। এসব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫৬১ কোটি টাকা বিভিন্ন জালিয়াতিতে আটকে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট গেটওয়ে, যা এখন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ফেরত পেতে শুরু করেছে ঋণখেলাপিরা।
![]() |
১৩ ই-কমার্স গ্রাহকদের ৩০৩ কোটি টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে |
সেন্ট্রাল ডিজিটাল ই-কমার্স সেল দ্বারা তত্ত্বাবধান করা গ্রাহকদের অর্থ ফেরতের তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলির মধ্যে রয়েছে - আলেশা মার্ট, ধামাকা, শ্রেষ্ঠ ডটকম, কিউকম, দালাল প্লাস, বামবুম, আনন্দের বাজার, বাংলাদেশ ডিল, সেফটিক, থালে ডটকম, আলিফ ওয়ার্ল্ড, 99-গ্লোবাল এবং আদিয়ান মার্ট।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গ্রাহকের পাওনা টাকা ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। নতুন তালিকায় যুক্ত হলো আরও তিনটি ই-কমার্স কোম্পানি। এগুলো হলো ইভ্যালি, সিরাজগঞ্জের শপ ও আলাদিনের প্রধীপ। তবে এই তিন প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের কাছ থেকে কবে নাগাদ টাকা ফেরত দেওয়া শুরু হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। তবে এটি নির্ভর করবে গ্রাহকদের তালিকা পাওয়ার এবং গেটওয়েতে আটকে থাকা অর্থের পরিমাণ সঠিকভাবে জানার উপর। কারণ, ইভ্যালির ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের সম্পূর্ণ তালিকা মন্ত্রণালয়ের কাছে নেই। এই ছাড়াও জানা দরকার কত টাকা আটকে আছে।
সূত্র জানায়, ই-কমার্স কোম্পানিগুলোর মধ্যে কিউকমের কোম্পানীর গ্রাহকরা সবচেয়ে বেশি রিফান্ড পেয়েছেন। তবে জানা গেছে, কোম্পানির প্রধান নির্বাহী জামিনে বেরিয়ে আসার পর টাকা ফেরত প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তারা ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের তালিকা দেয়নি। এইসব টাকা এসক্রো সেবায় আটকে রয়েছে ফলে গ্রাহকদের ফেরত দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।