কিস্তিতে পুরাতন গাড়ি | কম দামে পুরাতন গাড়ি
কিস্তিতে পুরাতন গাড়ি আমরা মনে করি আপনি কিস্তির মাধ্যমে গাড়ি কিনতে চান। হে, আপনি চাইলে কিস্তির মাধম্যে পুরাতন বা নতুন যেকোনো গাড়ি কিনতে পারেন। তবে আপনি যদি কোন কাজ না করে বেকার বসে থাকেন তাহলে আপনি কিস্তিতে গাড়ি কিনতে পারবেন না। যে যত বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবে তার কিস্তিতে পুরাতন গাড়ি কেনার সুযোগ ও বেশি।
আমাদের দেশে জীবন যাত্রার মান উন্নত হওয়ার সাথে সাথে চাহিদা ও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। একসময় মনে করা হতো বিলাসবহুল গাড়ি কিনার জন্য ভালো অবস্থানে থাকতে হবে, ভালো টাকার চাকরি করতে হবে। কিন্তু এই সময়ে এসে মানুষের চাহিদা আরো দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার জন্যে বাংলদেশে কিছু জনপ্রিয় ব্যাংক কিস্তিতে পুরাতন বা নতুন গাড়ি কিনার সুযোগ করে দিচ্ছে। বাংলাদেশে ২০ বছর যাবত কিছু ব্যাংক গাড়ি ক্রয়ের জন্য লোন দিয়ে যাচ্ছে। তাহলে জেনে কিস্তিতে পুরাতন গাড়ি কেনার শর্ত, নিয়ম, যোগ্যতা।
![]() |
কিস্তিতে পুরাতন গাড়ি | কম দামে পুরাতন গাড়ি |
কিস্তিতে পুরাতন গাড়ি | কিস্তিতে পুরাতন ট্রাক
কিস্তিতে পুরাতন গাড়ী কেনার নিয়ম কোন জটিল বিষয় নাই। বতর্মানে বাংলাদেশ থেকে আপনি চাইলে সহজ কিস্তিতে একটি পুরাতন গাড়ি কিনতে পারেন। শুধু যে পুরাতন গাড়ি কিনতে পারবেন সেটা কিন্তু না, আপনি চাইলে নতুন গাড়িও কিনতে পারেন। তার জন্য আপনাকে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে লোন নিতে হবে।

আপনি চাইলে বাংলাদেশের যেকোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন পুরাতন গাড়ি কিনার জন্য। সেইক্ষেত্রে আপনার থেকে ঋণ পরিশোধ করার মতো সামর্থ্য থাকতে হবে। আপনার ইনকাম মাসিক ঋণের চাইতে তিন গুন হতে হবে, তাহলে আপনি চাইলে বাংলাদেশের যে কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে খুব সহজে গাড়ি কিনার জন্য লোন নিতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ খালি পেটে আমলকী খাওয়ার উপকারীতা।
বাংলাদেশের যেকোনো ব্যাংক থেকে কার লোন নেওয়ার মাধ্যমে আপনি নতুন অথবা পুরাতন গাড়ি ( kistite puraton gari ) কিনে নিতে পারবেন। অব্যশই লোনের ধরনটি কার / গাড়ি লোন হতে হবে। বাংলাদেশে অনেক ব্যাংক আছে একটি নতুন বা পুরাতন গাড়ি কিনার জন্য আপনাকে ৫০% ঋণ দিয়ে থাকবে। আমরা আশা করি আপনি ৫০% ঋণ সম্পর্কে বুঝেছেন। মনে করেন আপনি যেই গাড়ি টি কিনতে চান তার দাম ১০ লাখ টাকা তাহলে আপনাকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ৫ লাখ টাকা দিবে গাড়িটি কেনার জন্য। তবে এতে কিছু শর্ত আছে। আপনি যদি ওদের শর্ত গুলি মেনে চলতে পারেন তাহলে একটি পুরাতন গাড়ি কিনতে পারবেন খুব সহজে।
কম দামে পুরাতন গাড়ি
![]() |
কম দামে পুরাতন গাড়ি |
কম দামে পুরাতন গাড়ি কেনার কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে। বাংলাদেশে অনেক জনপ্রিয় কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেইগুলো থেকে আপনি চাইলে খুব সহজে আপনার পছন্দের পুরাতন গাড়ি কিনে নিতে পারেন। এই ছাড়াও আপনি এইসব ওয়েবসাইট থেকে গাড়ি কিনতে পারবেন সরাসরি মালিকের হাত থেকে। তাহলে জেনে নিন ওয়েবসাইট গুলির নাম কি?
- https://bikroy.com/
- Facebook.com
- https://bhalogari.com/
- https://www.garirbazar.com/en
- https://www.bdcarshop.com/
- https://cellbazaar.com/vehicles/cars.html
- https://www.bdstall.com/car
- https://www.garikroybikroy.com/
- https://www.daraz.com.bd/
- https://vroom.com.bd/
- https://carselectionbd.com/
উপরের এইসব ওয়েবসাইট গুলি বাংলাদেশের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইট থেকে আপনি চাইলে আপনার পছন্দের পুরাতন / নতুন সকল ধরনের গাড়ি কিনতে পারবেন। এই সব ওয়েবসাইটে আপনি অর্ডার করে কিনে নিতে পারবেন।
কিস্তিতে নতুন / পুরাতন গাড়ি কেনার নিয়ম
বাংলাদেশের মধ্যে অনেক ব্যাংক রয়েছে, যেই ব্যাংক গুলি গাড়ি কিনার জন্য লোন দিয়ে থাকেন। তার মধ্যে অন্যতম একটি ব্যাংক হলো ইসলামী ব্যাংক, এই ব্যাংক থেকে আপনি চাইলে কার লোন এর মাধ্যমে গাড়ি ক্রয় করতে পারেন। ইসলামী ব্যাংক থেকে কার লোন নিতে চাইলে, আপনার থেকে অবশ্যই ইসলামিক ব্যাংক এজেন্ট শাখায় যোগাযোগ করতে হবে। যাইহোক আপনার যদি কার লোন নেওয়ার মতো যোগ্যতা থাকে তাহলে আপনি ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন পারবেন।
আরো পড়ুনঃ ছোট বাচ্চাদের কাশি হলে করনীয়?
ইসলামী ব্যাংক থেকে কার লোন নেওয়ার কিছু শর্ত রয়েছে, যদি আপনি গাড়ি ইন্সুরেন্স / গাড়ি কিনার জন্য লোন নিতে চান তাহলে আপনার থেকে ৪ থেকে ৫ বছরের মধ্যে এই টাকাগুলো পরিশোধ করার মতো যোগ্যতা থাকতে হবে। তার জন্য আপনার ইনকাম হতে হবে কমপক্ষে মাসিক ঋণ দেওয়ার চাইতে তিন গুণ বেশি।
ইসলামী ব্যাংক থেকে দুইটি উপায়ে গাড়ি জন্য লোন নেওয়া যাবে । ( রিকন্ডিশন এবং ব্র্যান্ড নিউ গাড়ি ) এই দুইটি লোনের মাধম্যে আপনি চাইলে গাড়ি কিনার জন্য ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন।
রিকন্ডিশন এই লোনের ইনভেস্টমেন্ট এর জন্য আপনাকে সময় দিবে ৪ বছর ( পরিশোধের মেয়াদ )। এবং ব্র্যান্ড নিউ গাড়ি এই লোনের ইনভেস্টমেন্ট এর জন্য আপনাকে সময় দিবে ৫ বছর ( পরিশোধের মেয়াদ )।
আরো পড়ুনঃ পৃথিবির সবচেয়ে ভালো গেম কোনটি?
আপনি যদি রিকন্ডিশন এর লোন নিতে চান বা রিকন্ডিশন গাড়ি কিনার জন্য লোন নিতে চান তাহলে আপনাকে সর্বোচ্চ ২০ লাখ (২ মিলিয়ন) টাকা পর্যন্ত লোন দিবে। অন্যদিকে ব্র্যান্ড নিউ গাড়ির জন্য আপনাকে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ (৩ মিলিয়ন) টাকা পর্যন্ত লোন দিবে। সর্বনিম্ন ২১ বছর হতে সর্বোচ্চ ৬৫ বছরের বয়সী ব্যাক্তিদের এই লোন দেওয়া হবে।
কিস্তিতে পুরাতন গাড়ি কেনার যোগ্যতা
একজন বাংলাদেশের নাগরিক চাইলে বাংলাদেশের যেকোনো সরকারি বা বেসরকারি ব্যাংক থেকে গাড়ি কিনার জন্য লোন নিতে পারবেন। তবে আপনার যোগ্যতা হতে হবে পেশাভেদে শিক্ষক, ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, চিকিৎসক, সরকারি চাকুরিজীবি, বাড়ির মালিকগন, বেসরকারি চাকুরিজীবি ইত্যাদি। যদি আপনার মধ্যে এইসব যোগ্যতা থাকে তাহলে আপনি বাংলাদেশের যেকোনো ব্যাংক থেকে গাড়ি কিনার জন্য লোন পাবেন।
লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় জেনে রাখুন, আপনি যত টাকা লোন নিবেন ঐ লোন পরিশোধ করার জন্য আপনার মাসে যেই পরিমান টাকা কিস্তি দিতে হয়, ঐ মাসিক কিস্তির চাইতে আপনার ইনকাম হতে হবে প্রতিমাসে ৩ গুণ বেশি। যদি আরো ভালোভাবে বলি তাহলে, আপনার মাসিক কিস্তি যদি ১০ হাজার টাকা হয় তাহলে আপনার ইনকাম হতে হবে ৩০ হাজার টাকা।
আরো পড়ুনঃ চায়না এলইডি টিভির দাম।
পুরাতন বা নতুন গাড়ি লোনের মাধম্যে কিনতে চাইলে সবচাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করবে আপনার আয় যত বেশি হবে সেটার উপর। অর্থাৎ আপনার ইনকাম যত বেশি হবে, লোন পাওয়ার সম্ভবনা ও তত বেশি হবে। তবে একটা কথা খেয়াল রাখুন পুরাতন গাড়ি কিনার সময় লোন পেতে একটি কষ্ট বেশি হয়। তাই আপনি নতুন গাড়ি কিনার জন্য বলে লোন নিতে পারেন। যাইহোক আপনি যদি একজন ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, হয়ে থাকেন তাহলে ন্যূনতম দুই বছর আপনার চাকরি বয়স হতে হবে।
গাড়ির ধরণঃ ব্যাংক থেকে ব্রান্ড নিউ কার এবং রিকন্ডিশন গাড়ির লোন প্রধান করে। যাইহোক একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে সেটি হলো উক্ত গাড়িটি বাংলাদেশে অ-নিবন্ধিত হতে হবে। যদি কোন গাড়ি বিআরটিএ নিবন্ধন করা হয় সেই গাড়ির জন্য লোন প্রধান করা হবে না।
ঋণের মেয়াদঃ কিছু কিছু ব্যাংক সর্বোচ্চ ৫ বছর মেয়াদী লোন দিয়ে থাকে। কিছু কিছু ব্যাংক এর ক্ষেত্রে রিকন্ডিশন গাড়ির জন্য ৪ বছর মেয়াদী হয়ে থাকে এবং ব্রান্ড নিউ গাড়ির ক্ষেত্রে ৫ বছরের হয়ে থাকে।
সুদের হারঃ এই ক্ষেত্রে সুদের হার বিভিন্ন ব্যাংকের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। ব্যাংক ভেদে ৭.৫০ % শতাংশ থেকে ৯.০০ % শতাংশ হয়ে থাকে।
ঋণের পরিমাণঃ গাড়ি কিনার ক্ষেত্রে ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা ঋণ দিয়ে থাকে। তবে আপনার গাড়ির দামের ৫০ % শতাংশ ঋণ প্রধান করবে ( সর্বোচ্চ ৩০ লাখ )। যদি আপনার গাড়ীর দাম ২০ লাখ টাকা হয় তাহলে আপনাকে ১০ লাখ টাকা ঋণ প্রধান করবে। তবে অনেক ব্যাংকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত লোন দিয়ে থাকে।
কিস্তিতে গাড়ি কেনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
কিস্তিতে মাধ্যমে গাড়ি কিনতে চাইলে প্রথমে আপনার থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র থাকা লাগবে। যদি না থাকে সমস্যা নেই, ড্রাইভিং লাইসেন্স বা পাসপোর্ট যেকোনো একটি থাকতে হবে। আর যদি এইসব কিছু না থাকে তাহলে আপনি লোন নিতে পারবেন না। এই ছাড়াই যেই ব্যাক্তি লোনের জন্য আবেদন করবেন তার ব্যাংকের ছয় মাসের হিসাব দেখানো লাগবে। যদি না থাকে সমস্যা নেই। এই ছাড়াও আবেদন করি যদি একজন ব্যবসায়ী হয়ে থাকে তাহলে ট্রেড লাইসেন্স থাকা লাগবে।
আরো পড়ুনঃ আযানের জবাব কিভাবে দিবে।
যাইহোক যেই ব্যাক্তি আবেদন করবে তার পরিবারের বিভিন্ন তথ্য জমা দিতে হবে, যেমন; পিতা-মাতার আইডি কার্ড ফটোকপি, বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি, বাড়ির কাগজপত্র ইত্যাদী। এই ছাড়াও যে ব্যাক্তি লোনের জন্য আবেদন করবেন এবং তিনি যদি চাকরিজীবী হয় তাহলে তার স্যালারি সার্টিফিকেট লাগবে।
আরো পড়ুনঃ ফজরের আযান বাংলা উচ্চারণ।
এইছাড়াও গাড়ির রেজিস্ট্রেশন এর নাম চেক করা হয়, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন অবশ্যই যৌথ নামে হয়ে থাকে। সোজা কথায় ব্যাংক এবং গ্রাহকের নামে এই গাড়ি রেজিস্ট্রেশন হয়ে থাকবে। এবং একটানা ২/৩ মাস কিস্তি চালাতে না পারলে ব্যাংক থেকে গাড়ি জব্দ করে নেয় হবে। শুধু তাই নয় যদি সময়ের মধ্যে ঋণ দিতে না পারে তাহলে গাড়ি নিলামে বিক্রি করে ঋণ সমন্বয় করা হয়।
পুরোনো গাড়ি কেনার আগে যে কাগজগুলো অবশ্যই দেখা উচিত?
পুরনো গাড়ি কিনার আগে আমাদের উচিত গাড়ির বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্র গুলো চেক করে নেওয়া। যদি আপনি পুরনো গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া কাগজপত্র গুলি চেক করে না নেন, তাহলে আপনি বিপদে পরতে পারেন। যাহোক পুরোনো গাড়ি কেনার আগে যে কাগজগুলো দরকার সেইগুলি হলো;
- রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট।
- গাড়ি কেনার ইনভয়েস বা রশিদ।
- ইন্স্যরেন্স পেপার।
- সার্ভিস বুক।
- রোড ট্যাক্স চালান।
- গাড়ির নো অবজেকশন সার্টিফিকেট।
- পলিউশন সার্টিফিকেট।
কিস্তিতে গাড়ি ক্রয় করা কি জায়েজ?
আশা করি অনেকে মনে এই প্রশ্নটি থাকতে পারে। কিস্তিতে গাড়ি কিনা যাবে সমস্যা নেই। তবে শর্ত হলো যদি সেই কিস্তিতে সুদ না থাকে। যদি কেউ উল্লেখ / প্রফিটের সাথে এমন করে দেই, গাড়িটি নগদে নিলে 10 লাখ টাকা, কিন্তু কিস্তিতে নিলে ১১ লাখ টাকা তাহলে এইভাবে শুধু গাড়ি নয় যেকোনো কিছু ক্রয় করা যাবে। আর এর সুবিধা হলো যাদের টাকা কম / বিভিন্ন সমস্যা তারা একসাথে টাকা দেওয়ার চাইতে ধীরে ধীরে দিতে পারবে।
উত্তর দিয়েছেনঃ আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী।
কিস্তিতে পুরাতন গাড়ি এই আর্টিকেলে কোন ভুল তথ্য দেওয়া থাকলে এবং কম দামে পুরাতন গাড়ি এই আর্টিকেলে সম্পর্কে কোন অভিযোগ বা কিছু জানার থাকলে নিচে কমেন্ট করুন।