ফজরের আজান বাংলা উচ্চারণ | ফজরের আজান দেওয়ার নিয়ম

ফজরের আজান বাংলা উচ্চারণ | ফজরের আজান দেওয়ার নিয়ম - ফজরের আজান অন্যান্য আযানের তুলনায় একটু আলাদা। ফজরের আযানের একটি বাক্য বেশি বলতে হয়। আর বাকি বাক্য গুলি অন্যান্য আযানের মতো একই। ফজরের আযানের সময় পঞ্চম বাক্যের পর একটি বাক্য বেশি বলতে হয়। যায় হোক ফজরের আজান দেওয়া নিয়ম জানতে পারবেন আজকের এই আর্টিকেলে।

আজানের পঞ্চম বাক্যে রয়েছে আলাল ফালাহ - এই বাক্যের পর বলতে হয় আস সালাতু খায়রুম মিনান নাওম যার অর্থ ঘুম অপেক্ষা নামাজ উত্তম। এই বাক্যটি দুইবার বলতে হয়। তবে ফজরের ফরজ নামাজ পড়ার আগে ইকামত দেয়ার সময় এই বাক্যে কদ কমাতিস সালাহ বলতে হয়। আজান দেওয়া এবং আযানের জবাব দেওয়া মস্ত বড় সওয়াবের কাজ।


ফজরের আজান বাংলা উচ্চারণ | ফজরের আজান দেওয়ার নিয়ম
ফজরের আজান বাংলা উচ্চারণ | ফজরের আজান দেওয়ার নিয়ম

যাইহোক এখন জেনে নিন ফজরের আজান দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত। এই ছাড়াও জানতে পারবেন ফজরের আযান কিভাবে দিতে হয়, ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার নিয়ম, ৫ ওয়াক্ত আযানের সময় ইত্যাদি সম্পর্কে।

ফজরের আজান কিভাবে দেয় | ফজরের আজান দেওয়ার নিয়ম | ফজরের আজান বাংলাদেশ | ফজরের আজান আজকে

বন্ধুরা আজকে এই আর্টিকেলে জানতে পারবেন ফজরের আযান কিভাবে দিতে হয, ফজরের আজান দেওয়ার নিয়ম, ইত্যাদি সম্পর্কে। যাইহোক আমরা নিচে আলোচনা করেছি ফজরের আজান বাংলা উচ্চারণ, ফজরের আযান আরবী উচ্চারন, ফজরের নামাজ পড়ার নিয়ম, কোন সময় কোন নামজ পড়তে হয়, ইত্যাদি সকল বিষয়।



বন্ধুরা ফজরের আযান প্রায় অন্যান্য আযানের মতোই অর্থাৎ যোহর, আছর, মাগরিব, এশার ওয়াক্তের আযানের মতোই সেম। শুধু মাত্র ফজরের আযানের সময় দুইটি বাক্য একটু বেশি বলতে হয়। বাক্য টি হলো আসসালাতু খাইরুম মিনান্নাউম এই বাক্যটি দুইবার বলতে হবে। হাইয়া আলাল ফালাহ্ বলার পর এই বাক্যটি বলতে হয়। যাইহোক এখন এক নজরে দেখে নিন ফজরের আজান বাংলা উচ্চারণ। এই ছাড়াও নিচে দেওয়া রয়েছে ফজরের আজান আরবী উচ্চারণ।

ফজরের আজান বাংলা উচ্চারণ | fazr azan lyrics in bangla | ফজরের আজান লিরিক্স

আল্লাহু আকবার - ৪ বার 
আশহাদু-আল লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ - ২ বার 
আশহাদু-আন্না মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ - ২ বার 
হাইয়া আলাস্ সালা - ২ বার 
হাইয়া আলাল ফালাহ্ - ২ বার 
আসসালাতু খাইরুম মিনান্নাউম - ২ বার
আল্লাহু আকবার - ২ বার 
 লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ - ১ বার 

ফজরের আজান আরবী উচ্চারণ | fazr azan lyrics in arabic | আজান আরবি উচ্চারণ

الله اكبر الله اكبر
الله اكبر الله اكبر
اشهد ان لا اله الا الله
اشهد ان لا اله الا الله
اشهد ان محمد الرسول الله
اشهد ان محمد الرسول الله
حي على الصلاة
حي على الصلاة
حي على الفلاح
حي على الفلاح
الصلاة خير من النوم
الصلاة خير من النوم
الله اكبر الله اكبر
لا اله الا الله

ফজরের আযানের সময় | ফজরের আজান কখন দেওয়া হয় | ফজরের আজান কয়টাই

ফজরের আযানের সময় | ফজরের আজান কখন দেওয়া হয়
ফজরের আযানের সময় | ফজরের আজান কখন দেওয়া হয়

বন্ধুরা এইখান থেকে জেনে নিন ফজরের আযান কয়টায় বা ফজরের আযানের সময়। সবহে সাদিক উদিত হলে অর্থাৎ এক কথায় বলতে গেলে সূর্য পূর্ব আকাশে উদিত হওয়ার আগ মুহূর্ত হলো ফজরের আযানের সময়।

ফজরের আযানের জবাব | ফজরের আযানের জবাব কিভাবে দিবো?

বন্ধুরা ফজরের আযানের জবাব দেওয়া অনেক সহজ। অনেকে মনে করে আযানের জবাব অনেক কঠিন। আসলেই আযানের জবাব দেওয়া অনেক সহজ। যাইহোক এই আগে একটা আর্টিকেল লেখা ছিল আযানের জবাব কিভাবে দিবো এই পোস্টটি যদি দেখতে চান তাহলে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

ফজরের আযানের জবাব হলো, মুয়াজ্জিন যখন মসজিদে আযান দেই বা আজানেন সময় যখন আযান দেওয়া হয় এই সময় মুয়াজ্জিন যখন আযানের বাক্য গুলি বলে তখন আপনিও অনুরূপ বাক্য গুলি বলেবন। মুয়াজ্জিন একটি বাক্য শেষ করবে আপনিও এরপর অনুরূপ বাক্যটি বলবেন।


যদি আরো সহজ করে বলতে চাই তাহলে মুয়াজ্জিন প্রত্যেকটি বাক্য বলে থামার পর শ্রোতা ওই বাক্যটি নিজেও অনুরূপভাবে বলবে। তবে দুইটি বাক্য ক্ষেত্রে একটু আলাদা বলতে হয় সেইগুলি হলোঃ

যখন হাইয়া আলাস্ সালা এবং হাইয়া আলাল ফালাহ্ বলা হয় তখন এই দুইটি বাক্যের জায়গায় (লা হাওলা ওয়া লা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ) বলতে হবে। এই হলো আযানের জবাব। যদি আরো বিস্তারিত জানতে চান তাহলে উপরের একটি লিঙ্ক দেওয়া রয়েছে এই লিঙ্কে ক্লিক করে দেখে নিন। আগের পোস্টে আরো সুন্ধর করে বলা হয়েছে।

আযানের সময় | নামাজের সময়

ফজরঃ সবহে সাদিক উদিত হলে। সূর্য পূর্ব আকাশে উদিত হওয়ার আগ মুহূর্তে । 
যোহরঃ সূর্য পশ্চিম আকাশে একটু ঢলে গেলে ।
আছরঃ সূর্যের প্রখরতা থাকতে । 
মাগরিবঃ সূর্য অস্ত যাওয়ার সাথে সাথে । 
এশাঃ সূর্য অস্ত যাওয়ার পর রাতেরএক তৃতীয়াংশে । 

জুম'আর দিন শুধু মাত্র অতিরিক্ত একটি আযান দেওয়া হয়। জুম'আর খুতবার পূর্বে এই আযান দেওয়া হয়। বিশেষ করে দিনের ১২ টা বাজে এই আযান দেওয়া হয়ে থাকে।

ফজরের নামাজের নিয়ম ও দোয়া | ফজর নামাজের সময় | ফজর নামজ ফজরের নামাজ কয় রাকাত

ফজরের নামাজ যাকে আরবীতে সালাতুল ফাজ্’র বলা হয়ে থাকে। মুসলিমদের অবশ্যই পালনীয় দৈনন্দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হয় তার মধ্যে ফজরের নামাজ অন্যতম। সূরা নূরের ৫৮ নং আয়াতে ফজরের নামাজের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। 


ফজরের নামাজের নিয়মঃ দুই রাকাত সুন্নত ও দুই রাকাত ফরজ নামাজ নিয়ে ফজরের সালাত না নামাজ গঠিত। আগেও বলছিলাম আবারও বলতেছি সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত হলো ফজরের নামাজের সময়।

ফজরের নামাজ ৪ রাকাতঃ ২ রাকাত সুন্নত এবং ২ রাকাত ফরজ।

যদি মসজিদে নামাজ পড়ে থাকেন তাহলে ফজরের দুই রাকাত সুন্নত নামাজ নিজে নিজে পড়া লাগবে। বাকি দুই রাখার ফরজ নামাজ ইমামের পিছনে আদায় করতে হবে। যাইহোক আমাদের উচিত ওযু করে সবার আগে অযুর নামাজ আদায় করা। 


ফজরের নামাজের অনেক ফজীলত রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি ফজীলত হলো ফজরের নামাজ মানুষের চেহারার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। এই ছাড়াও সকল নামাজের মূল হলো ফজরের নামাজ। 

সূর্যদয়ের ২৩ মিনিট আগ পর্যন্ত ফজরের নামাজ আদায় করা যাবে। অনেকের মতে সাধারনত রাত ১২টার পর থেকে ফজরের নামাজের সময় শুরু হয়ে থাকে। ফজরের নামাজের নিয়ম অন্যান্য নামাজের মতো একই।

যোহরের নামাজ কত রাকাত | যোহরের নামাজ পড়ার নিয়ম

দৈনিক নামাজগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় নামাজ হলো যোহরের নামজ। দুপুরের সময় এই নামাজ আদায় করতে হয়। যোহরের নামাজ কে আরবীতে বলা হয় সালাতুল যুহর। তাহলে এখন জেনে নিন যোহরের নামাজ কই রাকাত বা কিভাবে পড়তে হয়।

রাকাত সংখ্যাঃ ৪ রাকাত সুন্নত, ৪ রাকাত ফরজ, ২ রাকাত সুন্নত এবং ২ রাখত নফল নামাজ নিয়ে গঠিত। মোট ১২ রাখত নামাজ আদায় করতে হয় যোহরের সময়। যাইহোক অনেকে দুই রাখত নফল নামাজ আদায় করে আবার অনেকে ২ রাখত নফল নামাজ টি পড়ে না।


যোহরের নামাজ ১২ রাখতঃ ৪ রাকাত সুন্নত, ৪ রাকাত ফরজ, ২ রাকাত সুন্নত এবং ২ রাখত নফল।

সূর্য পশ্চিম আকাশে একটু ঢলে গেলে যোহরের আযানের সময় হয়ে যায়। যাইহোক এখন জেনে নিন শুক্রবার যোহরের পরিবর্তে জুমার নামাজ আদায় করা হয় তবে নিজের থেকে যোহরের নামাজ আদায় করে নিতে হয়।

আসরের নামাজ কত রাকাত | আছরের নামাজ পড়ার নিয়ম

আসরের নামাজকে আরবীতে বলা হয় সালাতুল আসর। প্রতিদিনের ৫ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে আছরের নামাজ হলো তৃতীয়। বিকালের সময় এই নামাজ আদায় করতে হয়। অর্থাৎ সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত এই নামাজের সময় থাকে।

আসরের নামাজের রাকাত সংখ্যাঃ ৪ রাকাত সুন্নত এবং ৪ রাকাত ফরজ নিয়ে মূলত আসরের নামাজ গঠিত।

মাগরিবের নামাজ কত রাকাত | মাগরিবের নামাজ পড়ার নিয়ম

মাগরিবের নামাজ কে আরবীতে বলা হয়ে থাকে সালাতুল মাগরিব। প্রতিদিনের ৫ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে চতুর্থ হলো মাগরিবের নামাজ। অর্থাৎ আছরের নামাজের পর হলো মাগরিবের নামাজ। সূর্যাস্তের পর মাগরিবের নামাজ আদায় করতে হয়। 


মাগরিবের নামাজের রাকাত সংখ্যাঃ ৩ রাকাত ফরজ, ২ রাকাত সুন্নত এবং ২ রাকাত নফল নিয়ে মূলত মাগরিবের নামাজ গঠিত। মাগরিবের নামাজ মোট ৭ রাকাত। ফরজ নামাজ ইমামের সাথে আদায় করতে হয়। তবে একটা কথা জেনে রাখুন কোন ব্যাক্তি মুসাফির অবস্থায় থাকলে সেই ব্যাক্তি চাইলে শুধুমাত্র তিন রাকাত ফরজ আদায় করতে পারে।

ইশার নামাজ কত রাকাত | এশার নামাজ পড়ার নিয়ম

ইশার নামায কে আরবীতে সালাতুল ইশা বলা হয়। প্রতিদিনের ৫ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে ইশার নামাজ হলো পঞ্চম।

ইশার নামাজের নিয়মঃ সুন্নাহ ৪ রাকাত, ফরজ ৪ রাকাত, ২ রাকাত সুন্নাহ, ২ রাকাত নফল, সব মিলিয়ে ইশার নামাজ হলো মোট ১২ রাকাত। যাইহোক ইশার নামাজ আদায় করার পর আপনি চাইলে আরো নফল নামাজ পড়তে পারেন, যদি না পড়েন তাহলে বিতরের নামাজ আদায় করে নিতে হবে।

আরো পড়ুনঃ ছাত্র ও সমাজ সেবা


এক কথায় বলতে গেলে ইশার নামাজের সাথে বিতরের কোন সম্পৃক্ততা নেই। এই বিতরের নামাজটি তাহাজ্জুদ নামাযের পর পড়া উত্তম। তবে যারা ঘুম থেকে ঠিকমতো জাগতে পারেন না, তারা ইশার নামাজের পর এই বিতর নামাজ টি পড়ে নিবেন।

হাদিস মতে, এই বিতরের নামাজ বিজোড় রাকাত করে অর্থাৎ ১ রাকাত, ৩ রাকাত, ৫ রাকাত, ৭ রাকাত করে পড়া যায়। তবে বেশির ভাগই ৩ রাখত পড়া হয়। তাই ৩ রাখত পড়ায় উত্তম।

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কয় রাকাত ও কি কি?

একজন মুসলমান হিসেবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্তপূর্ণ। জান্নাতের চাবি হলো ৫ ওয়াক্ত নামাজ। যে ব্যাক্তি ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে না সে ব্যাক্তি কখনো সত্যিকারের মুসলমান হতে পারে না। বিশেষ করে যে ব্যাক্তির আল্লাহকে ভয় করে না সে ব্যাক্তি কখনো ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে না।


৫ ওয়াক্ত নামাজ বলতেঃ ফজর, যোহর, আসর, মাগরিব, ঈশা।

ফজরের নামাজ মোট ৪ রাকাতঃ ২ রাকাত সুন্নত এবং ২ রাকাত ফরজ।

যোহরের নামাজ মোট ১২ রাকাতঃ ৪ রাকাত সুন্নত, ৪ রাকাত ফরজ, ২ রাকাত সুন্নত এবং ২ রাখত নফল।
আসরের নামাজ মোট ৮ রাকাতঃ ৪ রাকাত সুন্নত এবং ৪ রাকাত ফরজ।

মাগরিব নামাজ মোট ৭ রাকাতঃ ৩ রাকাত ফরজ, ২ রাকাত সুন্নত এবং ২ রাকাত নফল।

ইশার নামাজ মোট ১২ রাকাতঃ ৪ রাকাত সুন্নত, ৪ রাকাত ফরজ, ২ রাকাত সুন্নত এবং ২ রাখত নফল।

বিতর নামাজঃ ইশার নামাজের পর অথবা তাহাজ্জুদ নামাযের পর বিতর নামাজ আদায় করা যাবে। বিতর নামায ১,৩,৫,৭, রাকাত করে পড়া যায়। তবে বিতর নামাজ ৩ রাকাত পড়া উত্তম।

৫ ওয়াক্ত নামাজের সুন্নত মোট কত রাকাত?

৫ ওয়াক্ত নামাজের সুন্নত মোট ২০ রাকাত। সেইগুলি হলোঃ

  • ফজর - ২ রাকাত।
  • জোহর - (৪+২) মোট ৬ রাকাত।
  • আছর - ৪ রাকাত।
  • মাগরিব - ২ রাকাত।
  • ইশা - (৪+২) মোট ৬ রাকাত।

৫ ওয়াক্ত নামাজের ফরজ মোট কত রাকাত?

৫ ওয়াক্ত নামাজের ফরজ মোট ১৭ রাকাত। সেইগুলি হলোঃ

  • ফজর - ২ রাকাত।
  • যোহর - ৪ রাকাত।
  • আছর - ৪ রাকাত।
  • মাগরিব - ৩ রাকাত।
  • ইশা - ৪ রাকাত।

ফজরের আজান বাংলা উচ্চারণ এই আর্টিকেলে কোন ভুল তথ্য দেওয়া থাকলে এবং ফজরের আজান দেওয়ার নিয়ম এই আর্টিকেল সম্পর্কে কোন অভিযোগ বা কিছু জানার থাকলে নিচে কমেন্ট করুন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরো পড়ুনঃ