আযানের জবাব কিভাবে দিবো | আযানের জবাব দেওয়ার নিয়ম
আযানের জবাব কিভাবে দিবো | আযানের জবাব দেওয়ার নিয়ম - বন্ধুরা একজন মুসলমান হিসেবে আযান এবং আযানের জবাব দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানা থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তার জন্যে আজকের azaner jobab এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য যারা আযান এবং আযানের জবাব দেওয়ার নিয়ম জানেন না। তাহলে এইখান থেকে জেনে নিন আযানের জবাব দেওয়ার নিয়ম।
বিশ্বের সবচাইতে সেরা সুমধুর ধ্বনির নাম হলো আযান। আযানের মতো সুমধুর ধ্বনি আর হতে পারে না। আজানের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। আযানের যেমন গুরুত্ব রয়েছে তেমনি আযান শুনে আযানের জবাব দেওয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। যারা আযানের জবাব দেওয়ার নিয়ম জানার পরেও আযানের জবাব দেন না তাদের উচিৎ আযানের জবাব দেওয়া। কারন , প্রিয় নবী রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা আজান শুনবে, এর জবাবে মুয়াজ্জিনের অনুরূপ তোমরাও বলবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৬১১)।
![]() |
আযানের জবাব কিভাবে দিবো | আযানের জবাব দেওয়ার নিয়ম |
যাইহোক যারা এখনো আযানের জবাব দেওয়ার নিয়ম জানেন না। তারা এইখান থেকে এখুনি শিখে নিন কিভাবে আযানের জবাব দিতে হয়। এই ছাড়াও জানতে পারবেনঃ আজানের জবাব অর্থ, আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউম এর জবাব, আযানের জবাব আরবি, ইত্যাদি সম্পর্কে। তাহলে দেখে নিনঃ
আযান দেওয়ার নিয়ম | আযান উচ্চারণ | আযান বাংলা | আযান লিরিক্স
বন্ধুরা যারা এখনো আযান দেওয়ার নিয়ম বা আযান দিতে জানেন না তারা নিচের বাক্য গুলি শিখে নিন এবং নিজে নিজে আযান দেওয়ার চেষ্টা করুন। আযান দেওয়া ( ajan deyar niyom ) বা শুনা যেটুকু সওয়াব ঠিক আজানের জবাব দেওয়াও অনেক সওয়াব / নেকী। আযানের জবাব দেওয়া মানে আপনি আযানটি মন দিয়ে শুনেছেন। আযান ( ajan Lyrics )মন দিয়ে শুনলে অনেক সওয়াব পাওয়া যায়। এই ছাড়াও যেটুকু সম্ভব আযানের সময় কোন কাজ না করা ভালো। মন দিয়ে আযান শুনতে হবে।
আরো পড়ুনঃ খালি পেটে আমলকী খাওয়ায় উপকারীতা।
তবে অনেক সময় এবং অনেক ক্ষেত্রে আযান শুনলেও আপনি আযানের জবাব ( ajan jobab ) দিতে পারবেন না। যাইহোক আমরা এই আর্টিকেলে সমস্ত বিষয় আলোচনা করেছি। কিভাবে আযানের জবাব দিতে হয়। আযানের জবাব দেওয়ার সময়। কোন কোন সময় আযানের জবাব ( ajan Bangla )দেওয়া যায় না, সকল বিষয়ে জানানো হবে আজকের এই আর্টিকেলে।
আযান | আযান বাংলা | আযান লিরিক্স
- আল্লাহু আক্বার্ (৪বার)
- আশ্হাদু-আল্ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ (২ বার)
- আশ্হাদু-আন্না মুহাম্মাদান্ রাসুলুল্লাহ্ (২বার)
- হাইয়া আলাস্ সালাহ্ (২ বার)
- হাইয়া আলাল্ ফালাহ্ (২ বার)
- আল্লাহু আকবার্ (২ বার)
- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্
আযানের জবাব | আযানের জবাব ও দোয়া | আযানের জবাব আরবি | আযানের জবাব হাদিস | আজানের জবাব বাংলায়
![]() |
আযানের জবাব কিভাবে দিবো | আযানের জবাব দেওয়ার নিয়ম |
আমরা অনেকে আযানের জবাব দিতে জানি না। আযানের জবাব দেওয়া (azaner jobab o dua)আমাদের জন্য অনেক সওয়াব। আযানের জবাব (ajan uccharon) দেওয়ার নিয়ম অনেকে অনেক রকম বলে থাকে। আজকে আমরা আপনাদের শুদ্ধ এবং সবচেয়ে উত্তম ভাবে আযানের জবাব দেওয়ার নিয়ম ( azaner jobab devar niom )শিখিয়ে দিব।
আরো পড়ুনঃ ছোট বাচ্চাদের কাশি হলে করনীয় কি?
অনেকে সুন্নাহপরিপন্থী ভাবে আযানের জবাব দিয়ে থাকে। আমরা আজকে আপনাদের বিশুদ্ধ অভিমতে আযানের জবাব দেওয়ার নিয়ম শিখিয়ে দিব এবং এইটি যে উত্তম এবং বিশুদ্ধ অভিমত তার সোর্স দিয়ে দিব যাতে আপনাদের সন্দেহ না হয়। যাইহোক কোন যদি ঠিক এবং উত্তম ও বিশুদ্ধ অভিমত আযানের জবাব দেওয়ার নিয়ম শিখতে চান তাহলে নিচে থেকে দেখে নিন। (azaner jobab o hadis)
আজানের জবাব অর্থ | আযানের জবাব বাংলা
আজানের জবাব দেয়ার সঠিক পদ্ধতি হলো, যখন আপনি আযান শুনবেন অর্থাৎ মসজিদের ইমাম বা মুয়াজ্জিন যখন আযানের প্রত্যেকটি বাক্য বলে থাকে তখন ওই বাক্যটি আপনিও অনুরূপভাবে বলবে।
আরো পড়ুনঃ চায়না এলইডি টিভির দাম?
কিন্তু দুইটি বাক্য বলার ক্ষেত্রে আপনার আলাদা বাক্য বলতে হবে সেইগুলি হলোঃ যখন ইমাম বা মুয়াজ্জিন ( হাইয়্যা আলাস সালাহ’ ও ‘হাইয়্যা আলাল ফালাহ’ ) বলবে তখন আপনার থেকে ( ‘লা হাওলা ওয়া লা কুউওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ’ ) বলতে হবে। এইটি হলো উত্তম এবং বিশুদ্ধ অভিমত।
এইবার জেনে নিন এইটি যে বিশুদ্ধ অভিমত তার সোর্স (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৩৮৫) এ আপনি আরো বিস্তারিত জানতে পারবেন। এই ছাড়াও গুগলে সার্চ করলে অনেক ওয়েবসাইটে এই নিয়ম দেখতে পারবেন।

যাইহোক আবার অনেক হাদীসে বা কোনো কোনো বর্ণনায় বলা হয়েছে ‘হাইয়্যা আলাস সালাহ’ ও ‘হাইয়্যা আলাল ফালাহ’ বলার সময়ও মুয়াজ্জিনের অনুরূপ বলা যাবে। সূত্রঃ (কিতাবুদ দোয়া, তাবারানি, হাদিস: ৪৫৮)। তবে উপরের আগের নিয়ম টি হলো সবচেয়ে উত্তম।
এক নজরে দেখে নিন আযানের জবাব দেওয়ার নিয়ম
- আল্লাহু আক্বার্ (৪বার)
- আশ্হাদু-আল্ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ (২ বার)
- আশ্হাদু-আন্না মুহাম্মাদান্ রাসুলুল্লাহ্ (২বার)
- লা হাওলা ওয়া লা কুউওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ (২ বার)
- লা হাওলা ওয়া লা কুউওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ (২ বার)
- আল্লাহু আকবার্ (২ বার)
- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্
অর্থাৎ শুধুমাত্র ( হাইয়া আলাস্ সালাহ্ ) এবং ( হাইয়া আলাল্ ফালাহ্ ) এই দুইটি বাক্যের বিপরীতে আপনি বলবেন ( লা হাওলা ওয়া লা কুউওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ )।
আযান বাংলা | আযানের জবাব |
---|---|
আল্লাহু আক্বার্ (৪ বার) | আল্লাহু আক্বার্ (৪ বার) |
আশ্হাদু-আল্ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ (২ বার) | আশ্হাদু-আল্ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ (২ বার) |
আশ্হাদু-আন্না মুহাম্মাদান্ রাসুলুল্লাহ্ (২বার) | আশ্হাদু-আন্না মুহাম্মাদান্ রাসুলুল্লাহ্ (২বার) |
হাইয়া আলাস্ সালাহ্ (২ বার) | 'লা হাওলা ওয়া লা কুউওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ’ (২ বার) |
হাইয়া আলাল্ ফালাহ্ (২ বার) | 'লা হাওলা ওয়া লা কুউওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ’ (২ বার) |
আল্লাহু আকবার্ (২ বার) | আল্লাহু আকবার্ (২ বার) |
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ | লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ |
আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউম এর জবাব | ক্বদ ক্বামাতিস্ সালাহ
এখন আপনাদের প্রশ্ন থাকতে পারে আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউম এর জবাবে (assalatu khairum minan naum er ortho bangla) কি বলতে হয়। যাইহোক আপনার এই প্রশ্নের উত্তর এইখানে রয়েছে। তবে চিন্তার কোন কারন নেই আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউম এর জবাব কঠিন কোন বিষয় নয়।
আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউম এর জবাব হলো অনুরূপ ভাবে এইটা পড়া। এই নিয়মটি হলো সবচাইতে উত্তম। হাদিস শরিফে এই নিয়মের কথা বলা হয়েছে (তাকরিরাতে রাফেয়ি: ১/৪৭ আহসানুল ফাতাওয়া: ১০/২০৬)।
আরো পড়ুনঃ পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো গেম কোনটি?
তবে অনেকে বলে থাকে আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউম এর জবাবে ‘সাদাকতা ও বারারতা' পড়তে হয়। আসলে এই নিয়মটি ও ভুল নয়। তবে এর চাইতে অনুরূপ জবাব দেওয়া, মানে উপরের প্রথম নিয়মটি হলো সবচাইতে উত্তম।
ইকামত দেয়ার সহিহ পদ্ধতি
- আল্লাহু আক্বার্ (৪বার)
- আশ্হাদু-আল্ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ (২ বার)
- আশ্হাদু-আন্না মুহাম্মাদান্ রাসুলুল্লাহ্ (২বার)
- হাইয়া আলাস্ সালাহ্ (২ বার)
- হাইয়া আলাল্ ফালাহ্ (২ বার)
- ক্বদ ক্বামাতিস্ সালাহ (২ বার)
- আল্লাহু আকবার্ (২ বার)
- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্
জুমার দ্বিতীয় আজানের জবাব দেওয়ার নিয়ম
জুমার দ্বিতীয় আজানের জবাব দিতে হয় না। তবে অনেকে মনে মনে চাইলে দিতে পারেন সমস্যা নেই।
আরো পড়ুনঃ ফোঁড়ার মলম এর নাম কি?
জুমার দ্বিতীয় আজানের জবাব দিতে হয় না কারন ঐ সময় যখন খতিব সাহেব মিম্বরে উপবিষ্ট থাকেন, তখন ফেকাহবিদদের নির্ভরযোগ্য মতানুযায়ী আজানের জবাব না দেওয়া ভালো। তবে মনে মনে জবাব দেওয়া যায়। (আদ্দুররুল মুখতার: ১/২৯৯, ফাতাওয়া মাহমুদিয়া: ২/৫৮)।
টেলিভিশনে বা রেডিও আযানের জবাব দেওয়া যাবে কি?
আমরা রেডিও-টেলিভিশনে অনেক সময় দেখি সরাসরি আযান দেওয়া হয় সেইক্ষেত্রে আযানের জবাব দেওয়া যাবে। রেকর্ড করা আযান দেওয়া সময় আযানের জবাব দেওয়ার দরকার নেই। কারন ঐ সময় আযানের জবাব দেওয়া সুন্নত নয়। ইচ্ছা হলে ভালো কাজ করা যায়, সুতরাং মন থেকে বেশি ইচ্ছা হলে জবাব দিতে পারেন।
আযানের জবাব দেওয়ার সময় কিছু প্রচলিত ভুল
আযানের জবাব দেওয়ার নিয়ম হলো উপরের বলা নিয়ম গুলি। আবার অনেকে আযানের জবাব দেওয়ার সময় কিছু প্রচলিত ভুল করে থাকে। সেইগুলি হলোঃ
আল্লাহু আকবার এর জবাবেঃ আমাদের মধ্যে অনেকে আল্লাহ আকবার এর জবাবে ‘জাল্লা জালালুহু’ বলে থাকে। অনেকে মনে করে এটি সুন্নাহপরিপন্থী। যদিও এটি সুন্নাহপরিপন্থী তবে এইটি ভুল নিয়ম। কারন আল্লাহ আকবার এর জবাবে অনুরূপ জবাব দেওয়া হলো সবচাইতে উত্তম।
আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ এর জবাবেঃ অনেকে আবেগের কারনে আবার অনেকে ভুলের কারনে বা না জেনে ‘আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ’-এর জবাবে সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ বলে থাকে। এইটি সম্পূর্ন ভুল নিয়ম। আমাদের এই নিয়মটি থেকে বিরত থাকা উচিত।
আরো পড়ুনঃ বমির ট্যাবলেট এর নাম কি?
অনেকে বলে আমরা তো জানি ‘আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ’ বলার পর দরুদ পড়তে হয়। আসলে এই কথা টিক তবে আযানের সময় দরুদ পড়ার নিয়ম নেই। আপনি আযানের পর দরুদ পড়বেন। (আলবাহরুর রায়েক: ১/২৭৩, আহসানুল ফাতাওয়া: ২/২৭৮)।
বৃদ্ধাঙুলে চুমু খেয়ে চোখ মুছেঃ বিশেষ করে আমাদের দেশে অনেক কে দেখা যায় ‘আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ’ বলার পর অনেকে বৃদ্ধাঙুলে চুমু খেয়ে চোখে মুছে থাকে। শুধু তাই নয় অনেকে আবার দোয়া পরে থাকে। কিন্তু ইসলামি শরিয়তে এর কোনো প্রমাণ নেই। (আল মাকাসিদুল হাসানা, পৃষ্ঠা-৬০৬, ইমদাদুল ফাতাওয়া: ৫/২৫৯)।
আযানের জবাব না দিলে বেঈমান হয়ে যাওয়াঃ অনেকে বলে থাকে আযানের জবাব না দিয়ে বেঈমান হয়ে যায়। এই ছাড়াও বলে বেঈমান অবস্থায় মারা যাওয়ার ভয় আছে। কিন্তু এমন কোন প্রমাণ বা কোনো বর্ণনা হাদিসের কিতাবে নেই। (ফাতাওয়া মাহমুদিয়া: ৫/৪৩০)। বরং আযানের জবাব সঠিক ভাবে না দিলে এতে গুনাহ হওয়ার সম্ভবনা থাকে। তাই সঠিক ভাবে আযানের জবাব দিন কারন আযানের জবাব দেওয়া সুন্নত। আর সুন্নত পালন করা আমাদের জন্য অনেক দরকার।
আজানের পর হাত তুলে মুনাজাত করার নিয়ম
আজানের পর হাত তুলে মুনাজাত করতে হয় না। এইটা আমাদের কথা না, আজানের পর হাত তুলে দোয়া পড়া ও মুনাজাত করার কথা হাদিসে নেই (ফয়জুল বারি: ২/১৬৭, ফাতাওয়া মাহমুদিয়া: ১৬/২০৮)।
নোটঃ যদি কোন ভুল তথ্য দেওয়া হয়ে থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন অথবা এডমিনের ফেসবুক আইডিতে মেসেজ করুন।
তবে আযানের পর আজানের পর হাত তুলে দোয়া পড়া ও মুনাজাত করা ভালো। আর দোয়া পড়তে বেশিক্ষণ লাগে না। যেহেতু আজানের পর হাত তুলে দোয়া পড়া ও মুনাজাত করার জন্য একটি দোয়া রয়েছে আমাদের উচিত এই দোয়াটি পড়া।
আজানের পর দোয়া
আযানের জবাব দেওয়া যেমন সুন্নত তেমনি আযানের পর দোয়া পড়া (azaner por dua bangla) এবং আজানের পর দরুদ শরিফ পাঠ করাও সুন্নত। রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, যেই ব্যাক্তি আজানে শুনার পর -
![]() |
আযানের জবাব কিভাবে দিবো | আজানের পর দোয়া |
উপরের এই দোয়াটি পড়বে তার জন্য কেয়ামতের দিন আমার শাফায়াত ওয়াজিব হবে।’ (তিরমিজি, বুখারি, ইবনে মাজাহ)।
শুধু তাই নয় কেউ যদি চান আযানের আগে আমাদের প্রিয় নবির প্রতি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি দরূদ পাঠ করবেন তাহলে তার জন্যেও প্রিয়নবির সুপারিশ ওয়াজিব হয়ে যায় ( সুবাহানাল্লাহ )।
আরো পড়ুনঃ পৃথিবীর সবচাইতে খারাপ মানুষ কে?
এই আমলটি বেশি কঠিন না। তাই সহজ আমল করে নিজের আমল ভারী করার চেষ্টা করুন এবং প্রিয় নবির প্রতি বেশি বেশি দরুদ পাঠ করুন কিয়ামতের দিন অনেক কাজে আসবে। কারন আমাদের প্রিয় নবী কিয়ামতের দিন তার উম্মতদের জন্য সুপারিশ করবেন। আশা করি এইটি সবাই জানেন।
আযানের জবাব কারা দিতে পারবে না?
বন্ধুরা মসজিদের ইমাম বা মুয়াজ্জিন যখন অজানার সময় আযান দেই তখন আমরা অনেকে অনেক অবস্থায় থাকতে পারি। যেমনঃ কেউ কেউ পানাহার অবস্থায়, আবার অনেকে নামাজ আদায় করি থাকি, ইস্তিনজাকারী, নারীদের ঋতুকালীন, স্ত্রী সহবাসে লিপ্ত ইত্যাদি। তারাই আযানের জবাব দিতে পারবে না।
আযানের বাংলা অর্থ কি?
মুসলমান হিসেবে আমাদের উচিত আযানের বাংলা অর্থ জেনে রাখা। শুধু তাই নয় যেটুকু সম্ভব আমরা যেই সূরা গুলি মুখস্ত জানি বা শুনি এই আরবীর বাংলা অর্থ গুলো জেনে রাখা। যাইহোক যারা জানেন না আযানের বাংলা অর্থ কি? তাহলে নিচে দেওয়া আছে দেখে নিন।
আযানের বাক্য | আযানের বাংলা অর্থ |
---|---|
আল্লাহু আক্বার, আল্লাহু আক্বার (২ বার) | আল্লাহ সবচেয়ে বড়, আল্লাহ সবচেয়ে বড়। (২ বার) |
আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ্, আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ্, (২ বার) | আমি স্বাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। (২বার) |
আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ্, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ্, (২বার) | আমি স্বাক্ষ্য দিচ্ছি মুহাম্মদ সা. আল্লাহর রাসুল। (২বার) |
হাইয়া আলাস্ সালাহ্ (২ বার) | এসো নামাজের দিকে, এসো নামাজের দিকে। (২বার) |
হাইয়া আলাল্ ফালাহ্ (২ বার) | এসো কল্যাণের পথে, এসো কল্যাণের পথে। (২ বার) |
আল্লাহু আক্বার, আল্লাহু আক্বার (২ বার) | আল্লাহ সবচেয়ে বড়, আল্লাহ সবচেয়ে বড়। (২ বার) |
লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ্ | আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। |
‘আস সলাতু খাইরুম মিনান নাউম এর অর্থ কি?
বন্ধুরা অনেকে মনে এখন প্রশ্ন থাকতে পারে ফজরের আযানের সময় হয়‘আস সলাতু খাইরুম মিনান নাউম বলা হয় এর অর্থ কি?। যাইহোক এখন জেনে নিন হয়‘আস সলাতু খাইরুম মিনান নাউম এর অর্থ।
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের সত্যিকারের ভালোবাসা বুঝার উপায়?
হয়‘আস সলাতু খাইরুম মিনান নাউম এর অর্থ হলো ঘুম থেকে নামাজ উত্তম।
ক্বদ ক্বামাতিস্ সালাহ এর অর্থ কি?
বন্ধুরা আপনাদের মনে ক্বদ ক্বামাতিস্ সালাহ এর অর্থ কি ( kod ka moti salah er ortho ki ) এই প্রশ্ন ও থাকতে পারে। তাই আমরা আলোচনা করেছি ক্বদ ক্বামাতিস্ সালাহ এর বাংলা অর্থ কি সেই সম্পর্কে। তাহলে জেনে নিন ক্বদ ক্বামাতিস্ সালাহ এর বাংলা অর্থ কি?।
ক্বদ ক্বামাতিস্ সালাহ এর অর্থ হলো সত্যরই নামায কায়েম হচ্ছে।
আপনি এখন বলতে পারেন যখন নামাজে ইকামত দেওয়ার সময় ক্বদ ক্বামাতিস্ সালাহ বাক্যটি বলে তখন এর জবাবে কি বলতে হয়। এক কথায় বলতে গেলে ক্বদ ক্বামাতিস্ সালাহ এর জবাব কি। বন্ধুরা এর জবাব হলো ঐ বাক্যটি অনুরূপ ভাবে পড়া।
একা একা নামাজ পড়লে ইকামত দিতে হবে কিনা?
হে, একা একা নামাজ পড়লে উচ্চস্বরে ইকামত দিতে হবে। তবে খেয়াল রাখবেন এইটি ফরজ নামাজের ক্ষেত্রে। সোজা কথা হলো মসজিদে ফরজ নামাজের আগে যেইভাবে ইকামত দিয়ে থাকে তেমনি।
এখন প্রশ্ন থাকতে পারে। কেন একা নামাজ পড়ার সময় ইকামত দিব। তার কারন হলো তেলওয়াত শুনে যদি কেউ আমার সাথে যোগ দিতে পারে। তাই একটি উচ্চ স্বরে ইকামত দিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের কোমর ব্যাথার কারন কি?
এই ছাড়াও মাগরিব, এশার কিংবা ফজরের সালাত আদায় করার সময় উচ্চস্বরে আপনি সুরা কেরাত পড়বেন।
এই বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ন। কারন একটি হাদিসে কুদসি আছে, আমাদের প্রিয় রাসূল ( স: ) বলেছেন এক ব্যক্তি একবার অনেক উচু পাহাড়ে ছাগল চড়াচ্ছিল, সেই সময় টা ছিল নামাজের সময়। তাই তিনি ঐ পাহাড়ে নামাজ আদায় করার জন্য প্রস্তুত হন। ঐ সময় তিনি ছিলেন একজন তার সাথে কেউ ছিল না । তাই তিনি ভয় পেলেন আমি তো জামাতের শামিল হতে পারছিনা, তখন তিনি ওইখানে আযান দিলেন এবং একামত দিলেন, তিনি বললেন যদি কেউ আমার সাথে যোগ দেয়।
যদিও কেউ আসার সম্ভবনা একদম নেই। কারন সেইখানে তো শুধু মাত্র তিনি ছিলেন, এরপরও তিনি আস্তে আস্তে নামাজ আদায় করে যাতে কেউ তার সাথে যোগ দিতে পারে।
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের জন্য ভালো চাকরি?
যাইহোক মজার বিষয় হলো এইখানে, তার এই আচরণকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা খুব বেশি পছন্দ করেছেন, শুধু তাই নয় আল্লাহর রহমতে ঐ ব্যক্তিকে ক্ষমা ঘোষণা এসেছে এবং তার জন্য পুরস্কার ঘোষণা এসেছে। (হাদীসে কুদসীতে এসেছে।)
আশা করি এখন বোঝে গেছেন যদি আপনি একা একা ফরজ সালাত আদায় করেন তাহলে ইকামত দিবেন এবং মাগরিব, এশা, ও ফজর নামাজের সময় উচ্চস্বরে সুরা কেরাত পড়বেন।
আজান নামের ইসলামিক অর্থ কি?
অনেকে বলে আযানের নামের ইসলামিক অর্থ কি ( azan namer ortho ki )। আযান এই নামটি হলো একটি আরবী নাম। আর নামাজের জন্য ডাকা, অবগত করা, আহ্বান করা, ঘোষনা করা, ইত্যাদি হলো আযানের শাব্দিক অর্থ। azan name meaning in bengali।
ইসলামের প্রথম মুয়াজ্জিন এর নাম কি?
islamer prothom muajjin k - ইসলামের প্রথম মুয়াজ্জিন হিসেবে সুন্নি এবং শিয়াগণ উভয়ই বিলাল রাঃ কে প্রথম মুয়াজ্জিন হিসেবে স্বীকার করেন।
বাসা বা অফিসে জামাতের নামাজে কি আজান দেয়া লাগবে?
আমরা অনেক সময় বাসায় বা অফিসে জামাত আদায় করে থাকি বা নামাজ পড়ে থাকি। ঐ ক্ষেত্রে যদি মসজিদের আজান যদি সেখানে শোনা যায় তাহলে মসজিদের আজানই যথেষ্ট। আলাদা করে আযান দিতে হবে না। সুতরাং আলাদা আযান দেওয়ার দরকার নেই। তবে আপনি যদি আলাদা নামাজ আদায় করে থাকেন সেইক্ষেত্রে ইকামত দিতে হবে। মসজিদে যেই ভাবে ফরজ নামাজ আদায় করার জন্য ইকামত দেওয়া হয় তেমনি।
আরো পড়ুনঃ কিস্তিতে টাটা গাড়ী?
শুধু তাই নয়, যদি ফজর, মাগরিব, এশার নামাজ বাসা বা অফিসে বা আপনি যেইখানে একা নামাজ আদায় করেন সেইখানে উচ্চশব্দে কেরাত পড়তে হবে।
বিলাল মসজিদ কোথায় অবস্থিত?
বিলাল মসজিদ কোথায় অবস্থিত? ( bilal masjid kothai obosthito )। ভারতের ব্যানারঘাটা সড়কে তুর্কি ধাঁচে 'মসজিদ ঈদগাহ বিলাল' স্থাপন করা হয়। এই মসজিদটি ভারতের কর্ণাটক-এর ব্যাঙ্গালোর-এর বৃহত্তম মসজিদগুলির মধ্যে একটি। ২০১৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে বিলাল মসজিদ টি উদ্বোধন করা হয়। বিলাল মসজিদ টি দক্ষিণ অংশের একটি জনপ্রিয় রাস্তার ট্রাফিক মোড়ের কোণে অবস্থিত।
পৃথিবীর সর্বপ্রথম মসজিদ কোনটি?
পৃথিবীর সর্বপ্রথম মসজিদ কোনটি? ( prithibir sorbo prothom masjid konti ) পৃথিবীর সর্বপ্রথম মসজিদ গৃহ হলো মদিনার দক্ষিণদিকে অবস্থিত কুবা বা মসজিদে কিবলাতাইন। বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) মক্কা থেকে হিজরত করে মদিনায় আসার পর পৃথিবীর সর্বপ্রথম মসজিদ মসজিদ ( কুবা বা মসজিদে কিবলাতাইন ) তৈরি হয়।
আযানের জবাবে কিভাবে দিবো এই আর্টিকেলে কোন ভূল তথ্য দেওয়া থাকলে এবং আযানের জবাব বাংলা এই আর্টিকেল সম্পর্কে কোন অভিযোগ বা কিছু জানার থাকলে নিচে কমেন্ট করুন।