স্বদেশ প্রেম রচনা | Swadesh Prem Rachana
স্বদেশ প্রেম রচনা যাদের প্রয়োজন তাঁরা এইখানে থাকুন। আমরা এই আর্টিকেলে খুব সহজ করে এবং দুইভাবে স্বদেশ প্রেম রচনাটি দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি আমরা আপনাদের সহজ উপায়ে স্বদেশ প্রেম রচনা পয়েন্ট এই আর্টিকেলটা শেয়ার করতে পেরেছি।
![]() |
স্বদেশ প্রেম রচনা | Swadesh Prem Rachana |
যারা ক্লাস ৯,১০ এ পড়েন / যারা jsc এবং hsc পরীক্ষা দিবেন তাদের জন্য স্বদেশ প্রেম রচনাটি অনেক গুরুত্বপূর্ন। অনেকে গুগলে লিখে সার্চ করে স্বদেশ প্রেম রচনা পয়েন্ট, স্বদেশ প্রেম রচনা pdf, স্বদেশ প্রেম রচনা ৩০ পয়েন্ট, স্বদেশ প্রেম রচনা class 7, স্বদেশ প্রেম রচনা jsc, স্বদেশ প্রেম রচনা ক্লাস ১০, স্বদেশ প্রেম রচনা class 4, স্বদেশ প্রেম রচনা class 9, স্বদেশপ্রেম রচনার ২০ পয়েন্ট, স্বদেশ প্রেম রচনা hsc, ইত্যাদি মূলত তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল।
স্বদেশ প্রেম রচনা | Swadesh Prem Rachana | স্বদেশ প্রেম রচনা পয়েন্ট
ভূমিকাঃ স্বদেশের প্রতি মানুষের আকর্ষণ অত্যন্ত প্রবল। কথায় বলে, জননী এবং জন্মভূমি স্বর্গের চেয়েও উৎকৃষ্ট। ষদেশকে ভালবাসা মানুষের জন্মগত অধিকার। স্বদেশকে ভালবাসে না এমন কোন মানুষ নেই বললেই চলে। নবী করিম (স) বলেছেন- ‘দেশপ্রেম ঈমানের অর্ধাংশ।' স্বদেশের প্রতি গভীর ভালবাসার পরিচয় ফুটে উঠেছে কবি গোবিন্দচন্দ্র দাস রচিত 'জন্মভূমি' কবিতার প্রতিটি ছত্রে-
“জননীগো জন্মভূমি তোমারি পবন
দিতেছে জীবন মোরে নিশ্বাসে নিশ্বাসে
তোমার ধুলিতে গড়া এ দেহ আমার
তোমার ধূলিতে কালে মিশাবে আবার!”
স্বদেশ-প্রেম কি এবং কেন?
স্বদেশ-প্রেম কি এবং কেনঃ স্বদেশ-প্রেম হচ্ছে-নিজ দেশের প্রতি জাতির প্রতি, ভাষার প্রতি সুতীব্র আকর্ষণ অনুভব করা। দেশের প্রতি গভীর অনুরাগ, নিবিড় ভালবাসা ও যথার্থ আনুগত্যকেই দেশপ্রেম বলা হয়। মাতৃভূমির উন্নতিকল্পে সর্বস্ব ত্যাগের সাধনাই দেশপ্রেম। দেশপ্রেম মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। পৃথিবীর উন্নত ও সভ্য জাতিগুলো তাঁদের দেশকেই সবার ওপরে স্থান দিয়েছে। দেশের জন্য এরা সর্বস্ব ত্যাগের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এরা সুখে-দুঃখে, আপদে-বিপদে, সম্মিলিতভাবে দেশের সেবা করে। আমাদেরকেও বড় হতে হলে চাই স্বদেশ-প্রেম।
স্বদেশের প্রতি ভালবাসা
স্বদেশের প্রতি ভালবাসাঃ
“এমন দেশটি কোথাও
খুঁজে পাবে নাকো তুমি,
সকল দেশের রাণী সে
যে আমার জন্মভূমি।”
জন্মভূমির প্রতি কবির যে কি আকর্ষণ তা উপরোক্ত পংক্তি দু'টোতে স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। বিদেশ থেকে স্বদেশে আসার সময় যে কোন মানুষই টের পায়- স্বদেশের প্রতি তার কি অপূর্ব আকর্ষণ। স্বদেশ-প্রেমের অনুভূতি যার হৃদয়ে আলোড়ন - গবির্ভাব ঘটেছে তোলে না, সে জীব হয়েও জড়। সে মানুষ নামের কলঙ্ক। কবির ভাষায়-
“স্বদেশের উপকারে নাই যার মন-
কে বলে মানুষ তারে?
পশু সেই জন।”
আরো পড়ুনঃ কাশির ট্যাবলেট এর নাম কি?
মানুষ তার নিজের জীবনকে সবচেয়ে বেশি ভালবাসে। সে জীবনও স্বদেশ- প্রেমের কাছে নিতান্ত তুচ্ছ। স্বদেশের কল্যাণের জন্য মানুষ হাসতে হাসতে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে।
স্বদেশ প্রেমের দৃষ্টান্ত
স্বদেশ প্রেমের দৃষ্টান্তঃ বিশ্বের ইতিহাসে স্বদেশ প্রেমের ভুরি ভুরি দৃষ্টান্ত বর্তমান। যুগে যুগে অসংখ্য মনীষী স্বদেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আত্মাহুতি দিয়েছেন। ভারত উপমহাদেশের ইতিহাসে শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক, মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাষানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মহাত্মা গান্ধী, নেতাজী সুভাষ বসু, তিতুমীর প্রমুখের নাম স্বদেশ প্রেমিক হিসেবে ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। এছাড়া ইটালীর গেরিবাল্ড, চীনের মাওসেতুং, আমেরিকার জর্জ ওয়াশিংটন, রাশিয়ার লেনিন ও স্টালিন প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ বিশ্বের ইতিহাসে দেশপ্রেমিক হিসেবে খ্যাত। বাঙালি জাতি স্বাধীনতা সংগ্রামসহ বিভিন্ন সংগ্রামের মাধ্যমে স্বদেশ প্রেমের যে পরিচয় দিয়েছে তা বিশ্ববাসীর কারো অজানা নয়।
স্বদেশ প্রেমের ভিন্নরূপ
স্বদেশ প্রেমের ভিন্নরূপঃ দেশপ্রেম দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণকর। কিন্তু অন্ধ বা সংকীর্ণ স্বদেশ-প্রেম ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে। এতে অন্য দেশকে, জাতিকে ঘৃণা করতে শিক্ষা দেয়। এর ফলে জাতিতে জাতিতে দ্বন্দ্ব সংঘাত অনিবার্য হয়ে ওঠে। অন্ধ ও উগ্র দেশপ্রেম একটা জাতির পক্ষে মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। আসলে স্বদেশ-প্রেমের চূড়ান্ত লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য হওয়া উচিত মানবপ্রীতি-বিশ্বপ্রীতি। কাজেই স্বদেশ-প্রেম তথা বিশ্বপ্রেমের স্বার্থে উগ্র দেশপ্রেম পরিহার করতে হবে।
উপসংহার
উপসংহারঃ স্বদেশ-প্রেমের অভাব আজ বাংলাদেশে পরিলক্ষিত হচ্ছে। আমরা আজ স্বাধীন। এ দেশ আমাদের মাতৃভূমি। এ দেশকে আমরা গভীরভাবে ভালবাসি। সুতরাং যত ঝড়-ঝঞা, বিপদ-আপদই আসুক না কেন, আমরা আমাদের জীবন দিয়ে এ দেশকে রক্ষা করবো সেবা করবো। আর এতেই স্পষ্ট হয়ে উঠবে আমাদের যদেশ-প্রেমের উজ্জ্বল স্বাক্ষর।

স্বদেশ প্রেম রচনা hsc | স্বদেশ প্রেম রচনা pdf | স্বদেশ প্রেম রচনা ক্লাস ১০ | স্বদেশপ্রেম রচনার ২০ পয়েন্ট
ভূমিকাঃ 'জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী – জননী ও জন্মভূমি স্বর্গের চেয়েও শ্রেষ্ঠ। জন্মভূমির প্রতি প্রগাঢ় অনুরাগ ও আন্তরিক প্রীতিবোধ মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। পাখি যেমন আপন নীড় ভালোবাসে, পশু যেমন ভালোবাসে নিজ বাসস্থান- মানুষও তেমনি তার নিজ জন্মভূমিকে ভালোবাসে। এ ভালোবাসা জন্মগত ও অকৃত্রিম। জন্মভূমিকে ভালোবাসার জন্য কাউকে বলে দিতে হয় না— এটি মনের মধ্যে আপনিই জাগ্রত হয়। যে দেশের মাটিতে মানুষ জন্মগ্রহণ করে সে দেশের আলো-বাতাসে যে লালিত-পালিত ও বড় হয়। তাই সে স্থানের প্রাকৃতিক পরিবেশ, সামাজিক পরিমণ্ডল, আকাশ, বাতাস, মৃত্তিকা তার মনের ওপর প্রভাব বিস্তার করে। এর ফলে সে স্থানের প্রতি সে এক দুর্বার আকর্ষণ অনুভব করে। জন্মভূমির প্রতি এ অনুরাগ ও দেশের প্রতি এ আকর্ষণই স্বদেশপ্রেম নামে পরিচিত।
স্বদেশপ্রীতির স্বরূপ
স্বদেশপ্রীতির স্বরূপঃ জন্মভূমির প্রতি ভালোবাসা আসলে একটি মানুষের সহজাত ধর্ম। স্বদেশকে মানুষ বিনা শর্তে ও বিনা প্ররোচনায় ভালোবাসে। স্বদেশের প্রতি মায়া মনের মধ্যে আপনা থেকেই পল্লবিত হয়ে ওঠে। নিজের দেশ ছেড়ে কোন কারণে অন্য দেশে গিয়ে বাস করলেও তার স্বদেশপ্রীতি বা অনুরাগ বিন্দুমাত্র কমে না। স্বদেশের স্মৃতি মানুষের হৃদয় থেকে কোনদিন বিস্তৃত হয় না। সুদীর্ঘকাল প্রবাসে থেকেও স্বদেশের সেই স্নেহ-শীতল কুটিরটির কথা যখন তার মনে পড়ে যায় তখন তার হৃদয় উদ্বেলিত হয়ে ওঠে-
"আমার কুটিরখানি সে
যে আমার রানী।”
আরো পড়ুনঃ ঘোড়ার মলম এর নাম কি?
স্বদেশের প্রতি আমাদের যে ভালোবাসা তা শুধু একটা গ্রাম বা নগরেই সীমাবদ্ধ থাকে না। স্বদেশের শিক্ষা-সংস্কৃতি, কৃষ্টি-সভ্যতা, শিল্প-সাহিত্য, মানুষ, আচার-অনুষ্ঠান, মঙ্গল-অমঙ্গল সব কিছুকেই আমরা ভালোবাসি। স্বদেশের তরু-লতা, পশু-পাখি এবং প্রকৃতির সব কিছুকেই আমাদের একান্ত আত্মীয় বলে মনে হয়। যে দেশের বুকে মানুষের বংশানুক্রমে বসবাস, যে দেশের ফুলে-ফলে, জলে- স্থলে তারা মানুষ সে দেশের প্রতি ধনী-নির্ধন, শিক্ষিত-অশিক্ষিত সকলেরই একটা স্বাভাবিক মায়া-মমতা ও প্রীতি জন্মে। তাই মানুষ সারাটি জীবন তার স্বদেশের পরিচিত পরিবেশের গণ্ডিতে জীবন কাটাতে চায় এবং মৃত্যুর পরে স্বদেশের মাটিতে দেহরক্ষা করার কামনা পোষণ করে । এই সহজাত স্বদেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়েই কবি গেয়েছেন-
"ওমা তোমার চরণ
দু'টি বক্ষে আমি ধরি,
এ দেশেতে জন্ম যেন
এ দেশেতেই মরি।"
আরো পড়ুনঃ এল ই ডি টিভির দাম কত?
মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত এক সময় ইংরেজ হওয়ার দুর্বার বাসনা নিয়ে স্বদেশ ত্যাগ করেছিলেন। কিন্তু প্রবাস জীবনে নিঃসঙ্গ পরিবেশে কবিচিত্তে জেগে উঠেছিল মাতৃভূমির প্রতি গভীর ভালোবাসা। তখন তাঁর কাছে জন্মভূমির নদ কপোতাক্ষের জলধারাকে মনে হয়েছে দুগ্ধধারা। কবির উচ্চারণ—
“বহু দেশ দেখিয়াছি বহু নদ-দলে
কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে?
দুগ্ধস্রোতোরূপী তুমি জন্মভূমি-স্তনে।”
স্বদেশকে ভালোবাসার উপায়
স্বদেশকে ভালোবাসার উপায়ঃ স্বদেশের প্রতি যার ভালোবাসা আছে, প্রীতি আছে, প্রেম আছে সে স্বদেশের গৌরবে গর্বিত হয়, অবনতিতে ব্যথিত হয়, অপমান-লাঞ্ছনায় উত্তেজিত ও ক্ষুব্ধ হয়। স্বদেশের সম্মান, স্বাধীনতা ও গৌরবের জন্য কত দেশপ্রেমিক দুঃখ বরণ করেছে, নির্যাতিত হয়েছে, হাসতে হাসতে আত্মত্যাগ করেছে- তার উজ্জ্বল প্রমাণ তো আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসেই জ্বলন্ত। স্বদেশের প্রতি ভালোবাসা মুখে মুখে বলার কোন বিষয় নয়। এটি মূলত অন্তর দিয়ে উপলব্ধি করা এবং ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক জীবনে কাজের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করার বিষয়। একজন দেশপ্রেমী মানুষ স্বদেশের জন্য নির্দ্বিধায় প্রাণ দিতে প্রস্তুত থাকে। ব্যক্তিস্বার্থকে তুচ্ছ করে দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখা দেশপ্রেমীর প্রকৃত লক্ষণ। দেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করা, দেশকে স্থিতিশীলতা রাখা এবং বিদেশের বুকে দেশের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি সৃষ্টি করা দেশপ্রেমের প্রমাণ। একজন বাঙালি যদি বিদেশের মাটিতে অবরাধ করে তাহলে সে বাংলাদেশকেই ছোট করে। তাই বিদেশের বুকে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় এমন কাজ করা আমাদের উচিত নয়। দেশের সামাজিক ও প্রাকৃতিক পরিবেশকে সুস্থ রাখার জন্য কাজ করাও দেশের প্রতি মমতার প্রমাণ। মোট কথা, দেশের উন্নতিকল্পে যেকোন ধরনের কাজে নিঃশর্তভাবে অংশগ্রহণ দেশকে ভালোবাসার একমাত্র উপায় ।
যদেশকে ভালোবাসার কিছু উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত
যদেশকে ভালোবাসার কিছু উজ্জ্বল দৃষ্টান্তঃ জননীর রক্ত-মাংস, অস্থি-মজ্জা যেমন সন্তানের দেহের অণু-পরমাণুর সাথে মিশে আছে তেমনি মিশে আছে জন্মভূমির আলো-বাতাস, রূপ-রস-গন্ধ দেহ-মনের কোষে কোষে। এখানে জননী ও জন্মভূমির মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। দেশ আর দেশের মাটি মানুষের কাছে পূত-পবিত্র, আমাদের শেষ আশ্রয় ও আশা-প্রত্যাশার প্রতীক। সারা পৃথিবীর স্নেহধারা একত্র করলেও যেমন মাতৃস্নেহের তুলনা হয় না, তেমনি মানুষের চিত্ত-বৈভব ও সৌন্দর্য সমাহারেও দেশের তুলনা চলে না। তাই কবি বলেছেন—
"হে স্বদেশ
তুমি আমার মায়ের মত
আমার শেষ আশ্রয়।”
আরো পড়ুনঃ বাচ্চাদের কাশি হলে করনীয় কি?
প্রকৃত দেশপ্রেমিক দেশের জন্য হাসিমুখে আত্মবিসর্জন করতে দ্বিধা করেন না। স্বদেশের জন্য এক সময় গ্রিসে স্পার্টান জাতি অসাধারণ শৌর্যের পরিচয় দিয়েছিল। মহীশূরের টিপু সুলতান রণক্ষেত্রে শাহাদাত বরণ করেছিলেন। দেশকে ভালোবাসার কারণেই প্রাণ দিতে হয়েছিল বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ-দৌলাকে। সিপাহি বিদ্রোহে দেশের স্বাধীনতার জন্য অকাতরে আত্মাহুতি দিয়েছিলেন অগণিত সিপাহি। দেশের জন্যই প্রাণ দিয়েছিলেন চাঁদ সুলতানা, ঝাঁসির রানী, তিতুমীর, বীর সুফিয়ান, মাস্টারদা সূর্যসেন, ক্ষুদিরাম, প্রফুল্ল চাকী, ভগবৎ সিংহ, বিনয়, বাদল, দীনেশ প্রমুখ আরও কত বীর দেশপ্রেমিক! মায়ের ভাষার জন্য প্রাণ - দিলেন রফিক, শফিক, জব্বার, সালাম, বরকত। স্বদেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়েই একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন ত্রিশ লাখ বাঙালি। সত্যিকার স্বদেশপ্রেমিকদের কাছে পরাধীনতার গ্লানি মৃত্যুতল্য। তাই কবি বলেছেন—
আরো পড়ুনঃ সেরা গেম কোনটি জানতে ক্লিক করুন।
"স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে
কে বাঁচিতে চায়।
দাসত্ব শৃঙ্খল বল কে পরিবে পায় হে
কে পরিবে পায়। "
উপসংহার
উপসংহারঃ স্বদেশপ্রেম ক্রমে বিকশিত হয়ে বিশ্বপ্রেমে রূপ নেয়। নিজের দেশ ও তার মানুষকে ভালোবাসতে পারলে সমগ্র পৃথিবীকে এবং পৃথিবীর সকল মানুষকে ক্রমান্বয়ে ভালোবাসার আকাঙ্ক্ষা জাগে। স্বদেশপ্রেমের মধ্যদিয়েই মানবপ্রীতি লাভ করা যায়। যেসব মহাপুরুষ স্বদেশপ্রেমে উচ্ছ্বসিত হয়ে আত্মোৎসর্গ করেছেন তাঁরাই মাতৃভূমির স্নেহপুষ্টে আশীর্বাদপ্রাপ্ত হয়ে ধন্য হয়েছেন। সুতরাং স্বদেশের প্রতি প্রেম-প্রীতি-ভালোবাসা থাকা সকলেরই নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য।
স্বদেশ প্রেম রচনা এই আর্টিকেলে কোন ভুল তথ্য থাকলে এবং Swadesh Prem Rachana এই আর্টিকেল সম্পর্কে কোন অভিযোগ বা কিছু জানার থাকলে নিচে কমেন্ট করুন।