অধ্যবসায় রচনা সহজ | Oddhobosay Rochona Class 6,7,8,9,10

অধ্যবসায় রচনা - প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমরা আলোচনা করব Oddhobosay Rochona সম্পর্কে। এই আর্টিকেলটা আপনাদের জীবনের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অধ্যবসায় রচনা সহজ এই আর্টিকেলের মাধম্যে আপনি আপনার জীবনে চলার উৎসাহ, শক্তি, ইত্যাদি অর্জন করতে পারবেন। এই ছাড়াও অধ্যবসায় রচনা সহজ (Oddhobosay Rochona) টি পরীক্ষায় অনেক বেশি পরিমাণ আসে। তাই আমরা নিচে দুই ভাবে আলোচনা করেছি অধ্যবসায় রচনা সম্পর্কে। আপনার যেইটা ভালো লাগে সেইটি পড়তে পারেন। দয়া করে অধ্যবসায় রচনাটি স্কিপ করবেন না। শেষ পর্যন্ত দেখুন।

অধ্যবসায় রচনা সহজ | Oddhobosay Rochona Class 6,7,8,9,10
অধ্যবসায় রচনা সহজ | Oddhobosay Rochona Class 6,7,8,9,10

অধ্যবসায় রচনা সহজ | Oddhobosay Rochona Class 6,7,8,9,10 | অধ্যবসায় রচনা pdf

ভূমিকাঃ মানুষ কোন কাজে একবারেই সাফল্যের শীর্ষে আরোহণ করতে পারে না। তাই তাকে বার বার চেষ্টা করতে হয়। সাফল্য অর্জনের জন্য বার বার চেষ্টা চালানোর মহৎ প্রবৃত্তিকে বলা হয় অধ্যবসায়। অধ্যবসায় ছাড়া পৃথিবীতে কোন মহৎ কাজই সুচারুরূপে সম্পন্ন হয় না। আজ পর্যন্ত মানুষ যতগুলো অভ্যাস আয়ত্ত করেছে তার মধ্যে অধ্যবসায় সর্বশ্রেষ্ঠ। অধ্যবসায়ের বলে মানুষ অসাধ্য সাধন ও অসম্বকে সব করতে সক্ষম হয়। কাজেই অধ্যবসায় মানুষের আত্মোন্নতি ও আত্মবিকাশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সোপান। পরাজয়ের গ্লানিতে মুহ্যমান মানুষ অসহায়ভাবে বসে থাকলে কোনদিন তার পক্ষে জয় ছিনিয়ে আনা সম্ভব হয় না। তাই একবার ব্যর্থ হয়ে শতবার চেষ্টার মাধ্যমে সাফল্যের দ্বারে পৌঁছতে হবে। একমাত্র অধ্যবসায়ের মাধ্যমেই মানুষ জয়কে ছিনিয়ে আনতে পারে, অসাধ্যকে সাধ্য করতে পারে। সকল বাধা অতিক্রমের দুরন্ত সাহসই অধ্যবসায়ের মূল। অধ্যবসায়ীর শপথ হচ্ছে এই-

“আসবে পথে আধার নেমে
তাই বলে কি রইব থেমে?

অধ্যবসায়ের সুফলঃ মানবজীবনে নানা বাধা-বিপত্তি আসে এবং আসবে- এটা স্বাভাবিক। কিন্তু এসব বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করতে না পারলে মানবজীবন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। মনে রাখতে হবে, অন্ধকারের অপর পিঠে যেমন আলো দুঃখের অপর পিঠে যেমন সুখ রয়েছে তেমনি ব্যর্থতার অপর পৃষ্ঠে রয়েছে সফলতা। তাই অন্ধকার, দুঃখ বা ব্যর্থতা দেখে পিছিয়ে না গিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে, বার বার চেষ্টা করতে হবে। এতে সাফল্য অবশ্যই আসবে। মনে রাখতে হবে, 'Failure is the pillar of success. ' অর্থাৎ- ব্যর্থতাই সাফল্যের সোপান। বন্ধুর পথ অতিক্রান্ত হলে মিলে রাজপথের সন্ধান। সাগরের তরঙ্গে দোলায়িত হতে হতেই কিনারার সন্ধান পাওয়া যায়। বার বার প্রচেষ্টায় আঁধার বিদূরিত হয়, মানুষের মুখে হাসি ফোটে। অধ্যবসায় মানুষকে স্বাবলম্বী, আত্মপ্রত্যয়ী, সহিষ্ণু ও দৃঢ়চিত্ত করে তোলে। একমাত্র অধ্যবসায়ের গুণেই মানুষ জীবনে উন্নতি করতে পারে। মানবজীবন সুন্দর ও সার্থকতায় উদ্ভাসিত হয় অধ্যবসায়ের গুণেই। অধ্যবসায়ীর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এই

"কোন কাজ ধরে যদি উত্তম সেজন
হউক সহস্র বিঘ্ন ছাড়ে না কখন। "

অধ্যবসায়হীনতার কুফলঃ অধ্যবসায়হীনতার কুফল মারাত্মক। সবাই সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মগ্রহণ করে না। জীবনে কঠোর সংগ্রাম করেই মানুষের পক্ষে আত্মপ্রতিষ্ঠা করা সব হয়। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ছাড়া যেখানে জীবনের স্বাভাবিক বিকাশই সম্ভব নয়। সেখানে সাধনাহীনভাবে জীবনকে ছেড়ে দিলে কোন সাফল্যেরই মুখ দেখা যাবে না। সংগ্রামমুখর সংসারে সাফল্যের কোন সংক্ষিপ্ত পথ নেই। লটারি কিংবা গুপ্তধনের প্রাপ্তিতে ভাগ্য ফিরে ক্যাজনের? সাধারণ মানুষের সকলকে সম্মানজনক জীবন পাবার বিষয়টিই চ্যালেঞ্জমূলক। সাধনাহীন মানুষ পরনির্ভর ও করুণাপ্রার্থী হিসেবে অসম্মানজনক জীবনের গ্লানি বহন করতে বাধ্য হয়। অথবা সাধনার অভাবে যে সম্ভাবনা শক্তি নিয়ে সে পৃথিবীতে আগমন করে তার প্রতি সুবিচার সে করে না। তার কাছে এ পৃথিবী যা পাবার কথা ছিল তা পায় না। সাধনার অভাবে অসংখ্য প্রতিভাবান মানুষের জীবনে সাফল্য আসে নি। প্রবল শক্তিধর বাঘ ঘুমিয়ে থাকলে যেমন তার শক্তিসামর্থ্যের নিষ্ক্রিয়তা লক্ষণীয় হয়ে উঠে তেমনি অধ্যবসায়হীন জীবনে নিষ্ক্রিয়তা ধরা পড়ে।

ছাত্রজীবনে অধ্যবসায়ঃ ছাত্রজীবন মানুষের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান সময়। ছাত্রজীবনের সাফল্য ব্যর্থতার ওপরই নির্ভর করে ব্যক্তিগত জীবনের সাফল্য ও সমৃদ্ধি। ছাত্রজীবনে কেউ যদি আলস্যে ডুবে থাকে এবং পড়ালেখা না করে তাহলে তার একদিকে যেমন জ্ঞানের ভাঁড়ার থাকে শূন্য তেমনি ভালো ফলাফলও অর্জিত হয় না। এ দুটি বিষয়ের অভাবে কোন ব্যক্তির পক্ষেই সম্মানজনক পেশা গ্রহণ ও সামাজিক মর্যাদা লাভ সম্ভব হয় না। অসাধারণ মেধার অধিকারী দু একজনের কথা বাদ দিলে, সবাইকে ভাল ফলাফলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতেই হবে। কোন বিষয় বুঝি না বা পারি না বলে হাল ছাড়লে চলবে না। একবার না পারলে বারবার চেষ্টা করে যেতে হবে এবং পরিণামে প্রাপ্তি নিশ্চিত। প্রতিটি শিক্ষার্থীর মনে সাধনার কঠোর প্রত্যয় জাগিয়ে রাখতে পারলেই কেবল আমাদের জাতীয় উন্নতি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। প্রতিটি শিক্ষার্থীকে মনে রাখতে হবে

“পারিব না এ কথাটি বলিও না আর,
একবার না পারিলে দেখ শতবার। "

অধ্যবসায় ও প্রতিভাঃ মাতৃজঠর থেকে সবাই যে মেধা নিয়ে জন্ম নেয় তাও নয় আবার অনেকে মেধা নিয়ে জন্মায়ও বটে, কিন্তু তার সঠিক ব্যবহার না হলে সে মেধা কোন কাজে আসে না। বৈজ্ঞানিক নিউটন বলেছেন, “আমার আবিষ্কারের কারণ প্রতিভা নয়, বহু বছরের চিন্তা ও পরিশ্রমের ফলে দুরূহ তত্ত্বগুলোর রহস্য আমি ধরতে সক্ষম হয়েছি।” ভলটেয়ার বলেছেন, “প্রতিভা বলে কিছুই নেই। পরিশ্রম ও সাধনা করে যাও, তাহলে প্রতিভাকে অগ্রাহ্য করতে পারবে।” ডালটন বলেছেন, “লোকে আমাকে প্রতিভাবান বলে, কিন্তু আমি পরিশ্রম ছাড়া আর কিছু জানি না।” মরিচা পড়া ছুরিও বার বার শাণ দিলে চক চক করে। তেমনি বার বার সাধনার ফলে প্রতিভা প্রজ্বলিত ও বিকশিত হয়ে ওঠে। আসলে অধ্যবসায়ের অভাবেই আমরা জীবনে যে কোন কাজে অকৃতকার্য হই। একটা শিশুর কথাই ধরা যাক, সে বার বার চেষ্টার পর বসতে শেখে, হাঁটতে শেখে, কথা বলতে শেখে। ভিয়েতনামের স্বাধীনতার জন্য সে দেশের লোকেরা বছরের পর বছর গাছের পাতা খেয়ে পর্যন্ত সংগ্রাম করেছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতাও একদিনে আসে নি বহু যুগের আন্দোলন ও শেষ পর্যন্ত সুদীর্ঘ নয় মাসের নিরলস সংগ্রামের ফলেই আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি।

অধ্যবসায়ের দৃষ্টান্তঃ একমাত্র অধ্যবসায়ের বলেই জগতে মানুষ কত কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন তা বলে কি শেষ করা যাবে? আজকের যে বিজ্ঞানের অজস্র অবদান তা কি বিজ্ঞানীদের একদিনেরই কৃতিত্ব? নিশ্চয়ই না। এর পেছনে অনেক অনেক দিনের সাধনা ও অধ্যবসায় কাজ করেছে। হযরত মুহম্মদ (স), যিশুখ্রিস্ট, মহামানব গৌতম বুদ্ধ ও শ্রীচৈতন্য প্রমুখের সত্য ধর্ম প্রচারের জন্য দীর্ঘকালের অক্লান্ত শ্রম ও সাধনার খবর কে না জানে? স্কটল্যান্ডের রাজা রবার্ট ব্রুস অধ্যবসায়ের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সামান্য একটা প্রাণী মাকড়সার অধ্যবসায়ের উদাহরণ তাঁকে উজ্জীবিত করেছিল। পর পর ছয় বার যুদ্ধে পরাজিত হয়ে তিনি যখন আশাহত তখনই দেখলেন যে, মাকড়সা কড়িকাঠে সূত্র স্থাপনের চেষ্টায় সপ্তমবারে সফল হয়েছে। এ থেকে শিক্ষা লাভ করে তিনি ইংরেজদের বিরুদ্ধে সপ্তমবারের মত যুদ্ধে অবতীর্ণ হন এবং তাদের পরাজিত করতে সক্ষম হন। পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অধ্যবসায়ের কি তুলনা হয়? দরিদ্র ব্রাহ্মণ সন্তান হয়েও কঠোর সাধনার বলে ঊনবিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বাঙালি সন্তানের গৌরব অর্জন করেছিলেন। আমেরিকা আবিষ্কারের প্রধান নায়ক কলম্বাস সর্ববিধ বাধাকে উপেক্ষা করে মাত্র কয়েকজন সাথী নিয়ে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে আকাঙ্ক্ষিত স্থানে পৌঁছেছিলেন। আব্রাহাম লিঙ্কন, ব্রেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন প্রমুখ মহাপুরুষের জীবন ঐ একই সত্যের পরিচয় বহন করছে।

উপসংহারঃ অধ্যবসায় মানুষের জীবনে সাফল্য বয়ে আনে। তাই আমাদের প্রত্যেকেরই দুর্জয় অধ্যবসায়ী হতে হবে। ব্যর্থতা থাকে থাকুক— এই ব্যর্থতাই শেষে সাফল্য এনে দেয়; এনে দেয় মানুষের মনে দুর্বার গতি, যোগায় দুর্জয় শক্তি। একমাত্র অধ্যবসায়ই নগণ্য জাতিকে অসামান্য ও অসাধারণ করে তুলতে পারে। নাম-গোত্রহীন অপরিচিত দীন-দরিদ্র মানুষকে অধ্যবসায়ই পৃথিবীতে বরণীয় ও স্মরণীয় করে তোলে।

অধ্যবসায় রচনা ২০০ শব্দ | অধ্যবসায় রচনা class ৬,৭,৮,৯,১০ | অধ্যবসায় রচনা পয়েন্ট
অধ্যবসায় রচনা সহজ | Oddhobosay Rochona Class 6,7,8,9,10

অধ্যবসায় রচনা ২০০ শব্দ | অধ্যবসায় রচনা class ৬,৭,৮,৯,১০ | অধ্যবসায় রচনা পয়েন্ট

সূচনাঃ এ পৃথিবীতে সফলতার জন্য চাই সাধনা; সাধনার জন্য চাই একাগ্রতা এবং নিষ্ঠা। বারবার কোন কাজের ব্যর্থতার গ্লানি মুছে ফেলে নিজেকে সাফল্যের দ্বারে পৌঁছে দেয়ার জন্য যে মহান প্রচেষ্টা, তারই নাম অধ্যবসায়। অর্থাৎ পরম ধৈর্যের সাথে কঠোর পরিশ্রমের নামই অধ্যবসায়। এই পৃথিবীতে যাঁরা বড় হয়েছেন, খ্যাতনামা হয়েছেন, তাঁরা সবাই অধ্যবসায়ের দ্বারাই হয়েছেন। অধ্যবসায়ী হতে না পারলে জীবনে পরম আকাংখিত দ্রব্যটি মরীচিকার মতই থেকে যায়।

অধ্যবসায়ের প্রয়োজনীয়তাঃ ( মানবজীবনে অধ্যবসায়ের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। কারণ, অধ্যবসায় ছাড়া এ জগতে কেউ সাফল্য অর্জন করতে পারে না। পৃথিবীতে যা কিছু মহৎ, যা কিছু সুন্দর, যা কিছু কল্যাণকর সবই অধ্যবসায়ের দ্বারা অর্জিত হয়েছে। তাই অধ্যবসায় মানব সভ্যতার অগ্রগতির চাবিকাঠি ব্যক্তিগত জীবনের উন্নতির সোপান। মানব জীবনে চলার পথে নানা বাধা-বিপত্তি আসতে পারে। এই সমস্ত বাধা বিপত্তিকে পায়ে ঠেলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। তবেই জীবনে উন্নতি আসবে। মনে রাখতে হবে রাতের ঘোর অন্ধকার কেটে গিয়ে যেমন দেখা দেয় সোনালি ঊষা, তেমনি বারবার চেষ্টার ফলে মানুষের ভাগ্যাকাশে উদিত হয় সাফল্যের শুকতারা। অধ্যবসায়ের দ্বারাই মানুষ এ জগতে অসাধ্য সাধন করেছে। বড় বড় শিল্পী, সাহিত্যিক, দার্শনিক, বৈজ্ঞানিক, স্থপতি, সেনানায়ক, ধর্ম প্রচারক সবাই অধ্যবসায়ের ফলে সার্থকতা লাভ করেছে।

ছাত্র জীবনে অধ্যবসায়ঃ ছাত্র জীবনে অধ্যবসায়ের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। আলস্যপরায়ণ এবং শ্রমবিমুখ ছাত্র-ছাত্রী কখনো বিদ্যার্জন করতে পারে না। অধ্যবসায়ী ছাত্র-ছাত্রী অল্প মেধাসম্পন্ন হলেও সফলতা লাভ করতে পারে। কোন ছাত্র একবার বিফল হলে বসে থাকলে চলবে না, পুনরায় দ্বিগুণ উৎসাহে তার অধ্যবসায়ে মনোনিবেশ করা প্রয়োজন। ছাত্র/ছাত্রীদের সবচেয়ে বেশি অধ্যবসায়ী হওয়া দরকার। কারণ তাদের সাফল্যের উপরই জাতির সাফল্য বেশির ভাগ নির্ভর করে। তাই ছাত্রদের স্লোগান হওয়া প্রয়োজন→

'আসবে পথে আঁধার নেমে
তাই বলে কি রইব থেমে?”

জাতীয় জীবনে অধ্যবসায়ঃ জাতীয় জীবনে অধ্যবসায়ের কোন বিকল্প নেই। ছাত্রজীবনে ও ব্যক্তিগত জীবনে যেমন অধ্যবসায়ের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, একইভাবে জাতীয় জীবনেও অধ্যবসায়ের প্রয়োজনীয়তা বর্তমান। অধ্যবসায়ী না হলে কোন জাতি উন্নতি ও অগ্রগতি লাভ করতে পারে না। একমাত্র অধ্যবসায়ী জাতিই উন্নতির স্বর্ণ শিখরে আরোহণ করতে পারে এবং সার্বিক সাফল্যের প্রতীক হিসেবে বিশ্বের দরবারে পরিচিত হতে পারে। আর এতে করে জাতীয় জীবনে অধ্যবসায়ের গুরুত্ব কতখানি তা সহজেই অনুমেয়।

অধ্যবসায় ও প্রতিভাঃ অধ্যবসায়ের সাথে প্রতিভা যোগ হলেই মানুষ বড় কিছু হতে পারে। অধ্যবসায় না থাকলে শুধু প্রতিভার দ্বারা কিছু হয় না। আবার অধ্যবসায় থাকলে অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী না হলেও বড় কার্য সাধন করা যায়। এজগতে বহু বিখ্যাত লোক আছেন যাঁরা প্রতিভাবান অপেক্ষা অধ্যবসায়ী ছিলেন বেশি। (বৈজ্ঞানিক নিউটন বলেন, “প্রতিতা বলে কিছু নেই। পরিশ্রম এবং সাধনা করে যাও, তাহলে প্রতিভাকে অগ্রাহ্য করতে পারবে।"

অধ্যবসায়ীর জীবনাদর্শঃ জীবন সংগ্রামে সাফল্য লাভের মূলম অধ্যবসায়। রাজা রবার্ট ব্রুস ছয়বার যুদ্ধে পরাজিত হয়েও সপ্তম বারের চেষ্টায় জয় লাভ করেন। অর্ধ পৃথিবীর অধীশ্বর নেপোলিয়ন তাঁর জীবনের কার্যকলাপের জন্য রেখে গিয়েছেন অধ্যবসায়ের অপূর্ব নিদর্শন। কোন কাজকে তিনি অসম্ভব বলে মনে করতেন না। তাই তিনি একটি দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেও ফরাসী জাতির ভাগ্যবিধাতা হতে পেরেছিলেন। শুধু অধ্যবসায়ের বলেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শেরেবাংলা এ. কে. ফজলুল হক, জগদীশচন্দ্র বসু ও নজরুল ইসলাম বিশ্ববিখ্যাত হতে পেরেছিলেন।

অধ্যবসায়হীনের অবস্থাঃ অধ্যবসায়ের অভাবে অনেক সম্ভাবনা অকালে শেষ হয়ে যায়। অধ্যবসায়হীন ব্যক্তি জগতের কোন কাজেই সফলতা লাভ করতে পারে না। তার জীবন ধ্বংস হয়, ব্যর্থ হয়। তার স্মৃতি বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে যায়। সমাজের আস্তাকুড়ে নির্ধারিত হয় তার ঠিকানা।

উপসংহারঃ আমাদের সবাইকে হতে হবে কঠোর অধ্যবসায়ী। যখনই কোন ব্যর্থতা, কোন দুঃখ, কোন বিপদ এসে আমাদের জীবনকে বিষময় করে তোলে, তখনই অধ্যবসায়ী মহৎপ্রাণ ব্যক্তিদের কথা স্মরণ করে তাদের আদর্শ অনুসরণ করা উচিত। মনে রাখতে হবে আল্লাহ তাদেরই সাহায্য করেন, যারা অধ্যবসায়ী এবং পরিশ্রমী।


অন্যান্য আর্টিকেল পড়ুনঃ

অধ্যবসায় শব্দের অর্থ কি | অধ্যবসায় ইংরেজী কি | অধ্যবসায় সমার্থক শব্দ

অধ্যবসায় ইংরেজী হলো Perseverance, weariless, sustained effort etc.

Noun

  • perseverance → অধ্যবসায়, ঐকান্তিকতা, উদ্যম, উদ্যমশীলতা
  • diligence → অধ্যবসায়, পরিশ্রম, শ্রম, শ্রমশীলতা
  • persistence → অধ্যবসায়, বিদ্যমানতা, অস্তিত্ব, জিদ, অটলভাবে চালাইয়া যাওয়া, নিবন্ধ
  • assiduity → অধ্যবসায়, উত্সাহ, প্রয়াস, উদ্যম, পরিশ্রম, যত্নপরতা
  • industry → শিল্প, শ্রম, শ্রমশীলতা, শ্রমশিল্প, অধ্যবসায়, উদ্যোগ
  • assiduousness → অধ্যবসায়, পরিশ্রম, যত্নপরতা, উত্সাহ, প্ৰয়াস
  • persistency → জিদ, অস্তিত্ব, অটলভাবে চালাইয়া যাওয়া, অধ্যবসায়, নির্বন্ধ, বিদ্যমানতা

Adjective

  • diligent → পরিশ্রমী, ক্রিয়াশীল, অধ্যবসায়, নিরলস, সযত্ন, অনলস
  • weariless → অধ্যবসায়, পরিশ্রমী
  • industrious → পরিশ্রমী, খাটিয়ে, নিরলস, করিতকর্মা, কর্মঠ, অধ্যবসায়
  • stamina → মনোবল, সহনশক্তি, টিকে থাকার ক্ষমতা, কষ্টসহিষ্ণুতা, অধ্যবসায়
  • sustained effort → অধ্যবসায়
  • application → দরখাস্ত, লিখিত আবেদন, প্রয়োগ, অধ্যবসায়, প্রযত্ন, একাগ্রতা
  • preseverance → অধ্যবসায়

অভিযোগঃ অধ্যবসায় রচনা সহজ শিখে নিন এই আর্টিকেলে কোন ভুল তথ্য থাকলে এবং Oddhobosay Rochona Class 6,7,8,9,10 এই আর্টিকেল সম্পর্কে কোন অভিযোগ বা কিছু জানার থাকলে নিচে কমেন্ট করুন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরো পড়ুনঃ