কাশির ট্যাবলেট এর নাম | Kashir Tablet Name

কাশির ট্যাবলেট এর নাম - বন্ধুরা এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে Kashir Tablet Name সম্পর্কে। শীতকাল আসলে মানুষের কাশি, জ্বর, সর্দি বেশি হয়ে থাকে। বিশেষ করে জ্বর, সর্দি ভালো হলেও কিন্তু কাশি ভালো হয় না। যাইহোক আপনারা যারা জানতে চান কাশির ট্যাবলেট এর নাম কি তাহলে এই আর্টিকেলটা শেষ পর্যন্ত দেখুন।

কাশির ট্যাবলেট এর নাম | Kashir Tablet Name
কাশির ট্যাবলেট এর নাম | Kashir Tablet Name

কাশির ট্যাবলেট এর নাম কি? কাশির ট্যাবলেট এর নাম নিচে দেওয়া হলো। যাইহোক বন্ধুরা আমরা শুধু আপনাদের কাশি ট্যাবলেট এর সাথে পরিচয় করে দেওয়া জন্য আজকের এই আর্টিকেলটা। কিন্তু আমরা আপনাদের কাশির ট্যাবলেট গুলি খাওয়ার জন্য অনুমতি দি না। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এই ট্যাবলেট বা ওষধ গুলি খেতে পারবেন না, অন্যথায় অনেক ক্ষতি হতে পারে যার জন্য আমরা কোন ভাবে দায়ী থাকব না।


বন্ধুরা আপনাদের কাশি যদি ৩-৫ দিনের মধ্যে ভালো না হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন এইটা সব থেকে বুদ্ধিমানের কাজ হবে। তবে আমরা আপনাদের কথা দিতে পারি,, নিচে আমরা কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আলোচনা করেছি যদি এইগুলি মেনে চলতে পারেন ইনশাআল্লাহ দুই দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে আপনার কাশি। ইনশাআল্লাহ আমরা আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটা আপনি স্কিপ করবেন না শেষ পর্যন্ত দেখবেন।

কাশির ট্যাবলেট এর নাম

বেনজোনাটেট, ডেক্সট্রোমেথরফান, keto A 100 ( কেটো এ ১০০), Sedno (5 MG), Ambrox 75SR, Fexo 120, Sedno (5 MG), Encilor (10 MG), Axodin 180, Klarix, Brolyt (3 MG), Askorel SR (50 MG) ইত্যাদি কাশির জন্য অনেক উপকারী ঔষধ।

সতর্কঃ উপরের কাশির ট্যাবলেট গুলির সাথে পরিচিত হওয়ার জন্য আজকের এই আর্টিকেলটা, তাই বলে আপনারা এই ট্যাবলেট গুলি সেবন করবেন তা কিন্তু নয়। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এই ট্যাবলেট গুলি খেতে পারবেন না, অন্যথায় আমরা দায়ী নয়।


কাশির ট্যাবলেট এর নাম | কাশির ট্যাবলেট এর নাম স্কয়ার | কাশির ট্যাবলেট এর নাম বাংলাদেশ

  • Keto A 100 → কেটো এ (১০০)।
  • Fexo 120 → ফেক্সো (১২০)।
  • Ambrox 75SR → অ্যামব্রোএক্স (৭৫ এস আর)
  • Klarix → ক্লারিক্স।
  • Acorex (15 MG) → অ্যাকোরেক্স (১৫ এম জি)।
  • Brolyt (3 MG) → ব্রোলাইট (৩ এমজি)।
  • Askorel SR (50 MG) → অস্করেল এস আর (৫০ এম জি)।
  • Sedno (5 MG) → সেডনো (৫ এম জি)।
  • Axodin 180 → অক্সোডিন ১৮০।
  • Encilor (10 MG) → এন্সিলোর (১০ এম জি)।

কাশির ওষুধের নাম কী?

কাশির ওষুধের নাম কী?
কাশির ওষুধের নাম কী? | কাশির ট্যাবলেট এর নাম

বেনজোনাটেট (Benzonatate) কাশি উপশম করতে বা ভালো করতে খাওয়া হয়। বেনজোনাটেট (Benzonatate) এই ট্যাবলেট বা ওষুধটি এক শ্রেণীর ওষুধের মধ্যে রয়েছে যাকে বলা হয় অ্যান্টিটুসিভস বা (কাশি দমনকারী)। Benzonatate ফুসফুস এবং বায়ু প্যাসেজে কাশি রিফ্লেক্স কমিয়ে কাজ করে।


এই ট্যাবলেট বা ঔষধটি ছাড়াও উপরের আরো অনেক ট্যাবলেট এর নাম বলা হয়েছে এইগুলি ভালো কাজ করে তবে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া যাবে না। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খেলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

কাশি থেকে মুক্তির উপায় | শুকনো কাশি থেকে মুক্তির উপায় | কাশি থেকে বাঁচার উপায়

কাশি থেকে মুক্তির উপায়
কাশি থেকে মুক্তির উপায় | কাশির ট্যাবলেট এর নাম

প্রিয় পাঠক, শীত কাল আসলেই শীত কালের সাথেই সাথেই সর্দি-কাশি শুরু হয়ে যায় মানুষের। বেশির ভাগ সময় জ্বর হয়ে থাকে। তবে অনেক সময় দেখা যায় এক সাথে সর্দি, জ্বর, কাশি হয়ে থাকে। এর মধ্যে সর্দি, জ্বর ভালো হয়ে গেলেও কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া অনেক কঠিন হয়ে যায়। অনেক সময় দেখা যায় ৩-৪ সপ্তাহ মতো এই কাশি থেকে যায়। যাইহোক অ্যাজমা, শুষ্ক আবহাওয়া, অ্যালার্জি ও ধূমপানের কারণেও কাশি হয়ে থাকে। তাই এইগুলি থেকে বেঁচে থাকতে পারলে বা বিরত থাকতে পারলে কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে খুব সহজে। 

কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায়

কাশি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চলতে হবে। তবে এর আগে বলে রাখি কাশি যদি ৩ দিনের মধ্যে ভালো না হয় তাহলে ডাক্তারের সাথে দেখা করুন খুব তাড়াতাড়ি। এন্টি-বায়োটিক মানুষ এই ওষধ টি বেশি খাওয়ার চেষ্টা করে কিন্তু এই ওষধ যে অনেক ক্ষতিকর সেটা বুজে না। তাই কাশি হলেই হুট করে এন্টি-বায়োটিক খাওয়া যাবে না। শুধু তাই নয় কোন ওষধ খাওয়া যাবে না ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার আগে।


তাহলে প্রিয় বন্ধুরা জেনে নেওয়া যাক কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কেঃ


গার্গল করাঃ→ আশা করি এইটা সবাই বুজি। যাইহোক এই উপায় টি অনেক সহজ এবং এই কাজে বিরক্তিকর নেই। গলার ব্যথা এবং কাশি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য গার্গল করা অনেক উপকারী একটি উপায়। খুব সহজে মুক্তি পাওয়া যাবে কাশি থেকে যদি গার্গল করেন।

নিয়মঃ গার্গল করা জন্য প্রথমে এক গ্লাস পানি নিন অব্যশই কুসুম কুসুম গরম নিবেন এই পানি গুলি। এর পর এই পানির সাথে আধা / অর্ধেক চা চামচ লবণ মিশিয়ে ১০/১৫ মিনিট ধরে গার্গল করুন। সকাল, দুপুর, বিকাল, সন্ধ্যা, রাতে নিয়মিত করতে থাকুন। তাহলে দেখেন কাশির সাথে সাথে গলা ব্যাথাও ভালো হয়ে যাবে। (ইনশাআল্লাহ) ঠাণ্ডা পানি খাওয়া যাবে না।


বাসক পাতাঃ→ আশা করিবাসক পাতা সবাই কম বেশি চিনে থাকি। যাইহোক কাশির জন্য বাসক পাতার উপকারিতা অনেক।

নিয়মঃ সামান্য পরিমাণ বা আপনার ইচ্ছা মত পানিতে বাসক পাতা সেদ্ধ করে, সেই পানি ছেঁকে নিয়ে কুসুম গরম অবস্থায় খেলে কাশি আল্লাহ রহমতে ভালো হয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ


তুলসী পাতাঃ→ আশা করি আমরা সবাই কম বেশি তুলসী পাতা চিনি। যায় হোক এই তুলসী পাতা প্রতিদিন দুই তিনবার খেলে কাশি ভালো হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ

নিয়মঃ প্রথমে তুলসী পাতা থেঁতো করে নিন এরপর কিছু পরিমাণ বা কয়েক ফোটা মধু সাথে তুলসী পাতা মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরী করতে হবে এরপর সেইগুলি খেতে হবে। ইনশাআল্লাহ দেখবেন কাশি ভালো হয়ে যাবে।


গরম দুধে হলুদের মিশ্রণ করে খাওয়াঃ→ গরম দুধে হলুদের মিশ্রণ করে খেলে কাশি দূর করতে সাহায্য করে।

নিয়মঃ তার জন্য আপনি কিছু পরিমাণ দুধ কে গরম করে নিন এরপর অল্প হলুদের সাথে সেইগুলি মিশিয়ে পান করুন ইনশাআল্লাহ কাশি থেকে মুক্তি পাবেন।


আদাঃ→ কাশি দূর করার জন্য আদা অনেক উপকারী একটি খাদ্য।

নিয়মঃ তার জন্য একটি আদা নিন অথবা ছোট করে আদা নিন এরপর এই আদাটিকে ছোট ছোট টুকরা করে নিন এবং তার সাথে কিছু লবন মিশিয়ে খান তাহলে দেখবেন কাশি থেকে খুব সহজে মুক্তি পাবেন ইনশাআল্লাহ।


লবঙ্গঃ→ লবঙ্গ রস খেতে পারলে লবঙ্গের রস গলায় আরাম দেবে, জীবাণু দূর করবে।

নিয়মঃ লবঙ্গ মুখে রেখে মাঝেমধ্যে একটু চাপ দিয়ে রস বের করে গিলে ফেলুন তাহলে দেখবেন গলায় আরাম পাবেন ইনশাআল্লাহ।


মধু খানঃমধু অনেক উপকারী একটি খাবার। তবে শিশুদের মধু খাওয়ানো উচিত নয়। 2-3 বছর উপরের যে কেউ মধু খেতে পারেন কাশি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য।

নিয়মঃ প্রথম এক গ্লাস পানি নিন এই পানিতে এক টেবিল চামচ মধু দিব এবং কিছুটা লেবুর রস দিন এরপর সামান্য আদর সাথে মিশিয়ে পান করুন। অব্যশই কুসুম কুসুম গরম পানি খেতে হবে।

অথবা,, গরম দুধের সাথে দুই টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন প্রতি রাতে। ইনশাআল্লাহ কাশি থেকে মুক্তি পাবেন এই নিয়ম গুলি মেনে চললে।

কাশির ভালো ওষুধ কি?

কাশির ভালো ওষুধ হলো গরম পানি, আদা, চা, মধু, লবঙ্গ, ইত্যাদি। আমরা মনে করি কাশির জন্য এইগুলি ছাড়া কোন বিকল্প নেই। এই ছাড়াও যাদের ৩-৫ দিনের বেশি কাশি থাকে তারা খুব দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।

কফ কাশির ঔষধ কি?

গরম পানি, মধু, আদার / লেবুর রস হলো কফ কাশির ঔষধ। এই গুলি সব একসাথে মিশিয়ে খেলে দেখবেন আল্লাহ রহমতে কাশি ভালো হয়ে যাবে।

খুসখুসে কাশির চিকিৎসা কি?

খুসখুসে কাশির চিকিৎসা একটি সেটি হলো দিনে অন্তত ৩ বার গরম লাল চা খাওয়া। এই চা এর সাথে আদা , লেবুর রস, মধু মিশিয়ে খেলে আরো ভালো হবে। 

শিশুদের কাশির সিরাপ কি?

শিশুদের কাশির সিরাপ হলো আদা ও মধুর মিশ্রন সিরাপ। তবে ১ বছরের নিচে বাচ্চাদের মধু খাওয়ানো যাবে না। আমরা বলব শিশুদের ক্ষেত্রে খুব দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

শুকনো কাশি হওয়ার কারণ কি?

শুকনো কাশি হওয়ার কারণ যক্ষ্মা, হাঁপানি, ফুসফুসের সংক্রমণ, দূষণ, ধুলাবালি, ইত্যাদি। তাই আমাদের এইসব থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করতে হবে।

সর্দি-জ্বর, ইনফ্লুয়েঞ্জা ও নিউমোনিয়ার কারণেও শুকনো কাশি হয়ে থাকে।

শোয়ার পর কাশি হয় কেন?

পরিপাকতন্ত্রের সমস্যার কারনে বা ভাইরাসের আক্রমণ জটিলতার কারনে শোয়ার পর বা সকালে ঘুম থেকে উঠলে কাশি হয়ে থাকে। তাই চেষ্টা করবেন ঘুম যাওয়ার ১ ঘণ্টা আগে খাবার খেতে।

অভিযোগঃ প্রিয় পাঠক, "কাশির ট্যাবলেট এর নাম" এই আর্টিকেলে কোন ভুল তথ্য দেওয়া থাকলে বা "Kashir Tablet Name" এই আর্টিকেল সম্পর্কে আপনাদের কোন অভিযোগ বা কিছু জানার থাকলে নিচে কমেন্টে করুন।

Next Post Previous Post
2 Comments
  • Mahi
    Mahi November 7, 2022 at 6:36 AM

    Onek upokar tottho cilo. THANKS

    • Md Abdullah
      Md Abdullah November 7, 2022 at 8:02 AM

      স্বাগতম! ভালো থাকবেন!

Add Comment
comment url
আরো পড়ুনঃ