একটি শীতের সকাল রচনা | Ekti Shiter Shokal Rachana
একটি শীতের সকাল রচনা - বন্ধুরা পরীক্ষায় বেশির ভাগ সময় এই Shiter Shokal Rachana টি এসে থাকে বা দিয়ে থাকে। বিশেষ করে শীতকালে পরীক্ষার সময়। যাইহোক বন্ধুরা শীতের সকাল রচনাটি অনেক সুন্ধর ভাবে দেওয়া রয়েছে আমাদের এই আর্টিকেলে। বন্ধুরা আমরা আপনাদের সুবিধার কথা চিন্তা করে একটি শীতের সকাল রচনাটি দুইভাবে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। যাইহোক আপনাদের উপকার হবে তাই স্কিপ করবেন না দয়া করে।
![]() |
একটি শীতের সকাল রচনা | Ekti Shiter Shokal Rachana |
একটি শীতের সকাল রচনা | একটি শীতের সকাল রচনা শ্রেণী ৩,৪,৫,৬,৭,৮,৯,১০,১১,১২ | একটি শীতের সকালের অভিজ্ঞতা
ভূমিকাঃ ঋতুচক্রের আবর্তে এ দেশে আসে শীত। হেমন্তের ফসল ভরা মাঠ যখন শূন্য ও রিক্ত হয়ে পড়ে, তখনই বুঝা যায়, ঘন কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে আসছে শীত। উত্তরে হিমেল হাওয়া হাড়ে কাঁপন লাগিয়ে সে আসে তার নিজস্ব রূপ নিয়ে। প্রকৃতি তখন তার সমস্ত আবরণ খুলে দীন-হীন বেশ ধারণ করে। তবু বাংলার বুকে শীতের রয়েছে যতন্ত্র বৈশিষ্ট্য। তখন প্রকৃতি জগতে সৃষ্টি হয় এক ভিন্ন সৌন্দর্য। এ সৌন্দর্য দেখা যায় বিশেষ করে সকালে।
শীতের সকালের আগমনঃ শীতের রাতে মানুষ লেপ কাঁথা মুড়ি দিয়ে নিশ্চুপ শুয়ে থাকে। তারপর কুয়াশার বুক ভেদ করে ফুটে ওঠে আলোর রেখা। প্রভাত হয়, ভেসে আসে মুয়াজ্জিনের আযানের ধ্বনি। তীব্র শীতের কামড় উপেক্ষা করে ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ ছুটে চলেন মসজিদে। গৃহত্যাগী গবাদি পশুর ডাক আর রাখালের পদচারণা শুরু হয়। লাঙ্গল ও গরু নিয়ে কৃষকরা মাঠে যায়। গায়ে তাদের সামান্য শীত বস্ত্র। অনেকের হয়ত তাও নেই। কাঁপতে কাঁপতে চলে মাঠে।
শীত সকালের দৃশ্যঃ শীতের সকাল থাকে কুয়াশায় ঢাকা। দিগন্ত বিস্তৃত সাদা শাড়ি পড়ে কে যেন প্রকৃতিকে ঢেকে রাখে কুয়াশার আড়ালে। পড়ির দিকে তাকালে বুঝা যায় বেলা হয়েছে। সমস্ত প্রকৃতি থাকে শিশির সিক্ত। বাইরে হাড় কাপানো কনকনে শীত। কাঁথা ছেড়ে উঠতে কিছুতেই মন চায় না। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা সূর্যের মুখ দেখার জন্য বার বার জানালার ফাঁকে উঁকি মারে। কোথাও বা আগুন পোহাবার দৃশ্য চোখে পড়ে।
শীত সকালে গ্রামগঞ্জঃ শীতের সকাল গ্রামগঞ্জের মানুষের জন্য খুব কষ্টদায়ক। শীত নিবারণের মত প্রয়োজনীয় কাপড় অনেকেরই থাকে না। শীতের তীব্রতা উপেক্ষা করে খুব সকালে তাদেরকে মাঠে ময়দানে কাজে যেতে হয়। কিষাণ বধূরাও তখন ধান মাড়াই, ধান সিদ্ধ ইত্যাদি নানা কাজে ব্যস্ত থাকে। সকালে সোনার রোদ হীরক জ্যোতি ছড়িয়ে দেয় দুর্বার মাঠে। সূর্যালোকিত শিশির কণাগুলো চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। এই দৃশ্য বড়ই মনোরম। শীত সকালের নদীর দৃশ্য আর এক সুন্দরের প্রতিচ্ছবি। নদী থেকে জলীয়বাষ্প যখন কুয়াশার সঙ্গে মিশে বাতাসে ভেসে বেড়ায়, তখন এক অপূর্ব দৃশ্যের অবতারণা হয়।
শীত সকালে শহরঃ শীত সকালে শহরের অবস্থা ভিন্নতর। গ্রামের অনাবৃত দিগন্ত বিস্তৃত প্রকৃতির মাঝখানে শীতের সকাল যে সৌন্দর্য মহিমায় সেজে ওঠে, শহরের ইট পাথর ঘেরা কৃত্রিম পরিবেশে তার আভাস নেই।। নিত্য দিনের কর্মচঞ্চলতা নিয়ে জেগে ওঠে শহর। শিশির ভেজা কালো পীচের রাস্তায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চালাতে হয় গাড়ি। রিক্সাওয়ালা ঘন কুয়াশা কাটিয়ে ধীরে ধীরে রিক্সা চালায়। রাস্তার মোড়ের চায়ের দোকানগুলোতে জমে ওঠে ভিড়। হকার পত্রিকা নিয়ে ছুটে যায় দ্বারে দ্বারে। শিশির সিক্ত পথে শীতের কাপড় জড়িয়ে রাস্তায় বের হয় লোকজন। তাদের পোশাকের কতনা বৈচিত্র্য। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা নানা রং বেরঙের শীতের পোশাক পরে ছুটতে থাকে বিদ্যালয় পানে। অপরদিকে শহরের বস্তিতে শীত আসে নির্মমতা নিয়ে। শীত নিবারণের কোন ব্যবস্থা তাদের থাকে না। বস্ত্রহীন এসব মানুষের গায়ে কামড় বসায় সে। নির্মম শীতে কাঁপতে থাকে ঠক্ ঠক্ করে।
শীত সকালের উপভোগঃ শীত সকালে চিড়া, মুড়ি খেতে খুব ভাল লাগে। কোচর ভরা চিড়া, মুড়ি নিয়ে শীতের সকালের রোদকে উপভোগ করার দৃশ্য গ্রাম বাংলায় প্রায়ই দেখা যায়। এসময় ঘরে ঘরে হরেক রকম পিঠা তৈরি হয়। শীতে গরম পিঠা খেতে ভারী মজা।
শীতের সকালে গাছি খেজুরের তাজা রস যে কতটা তৃপ্তিকর তা বলে শেষ করা যায় না। আর খেজুর রসের পিঠা পায়েস খুবই মজাদার। শীতের সকালের আরো অনেক উপভোগ্য জিনিস রয়েছে। সকালে রোদের বিপরীতে বসে জমাট বাঁধা মাছের তরকারী দিয়ে পান্তা ভাত খাওয়ার মধ্যেও রয়েছে এক অনাবিল সুখ ও আনন্দ।
উপসংহারঃ শীতের সকাল তেমন দীর্ঘস্থায়ী হয় না। এক সময় সূর্য ওঠে, আস্তে আস্তে রোদ ছড়িয়ে পড়ে, উত্তাপ বাড়তে থাকে। রাতের ঝরা শিশির তার কর্তব্য শেষে উধাও হয়ে যায়। শীতের প্রভাব কাটিয়ে মানুষ বেরিয়ে পড়ে নিজ নিজ কাজে। শুরু হয় কর্মমুখর জীবনের ব্যস্ততা। মুছে ফেলে শরীর থেকে কুয়াশা ঘেরা শীতের সকাল।
আরো পড়ুনঃ
- অধ্যবসায় রচনা।
- বঙ্গবন্ধু জীবনী রচনা।
- বাংলাদেশ পোশাক শিল্প রচনা।
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন।
- চট্টগ্রাম ব্যাংক লোন।
- প্রধান মন্ত্রী লোন বাংলাদেশ।

Ekti Shiter Shokal Rachana | Ekti Shiter Shokal Rachana Class 6,7,8,9,10,11,12 | Shiter shokal paragraph in bengali
ভূমিকাঃ ষড়ঋতুর অপূর্ব লীলাবৈচিত্রের এক বিস্ময়ভূমি আমাদের এই বাংলাদেশ। ঋতুচক্রের ডালি সাজিয়ে একের পর এক আসে গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত ঋতু। বাংলা প্রকৃতি বিভিন্ন ঋতুর আগমনে বিভিন্ন রূপে ও সাজে সজ্জিত হয়। মাঠ-ঘাট প্রান্তর, নদী-নালায়, পাখির কাকলিতে লক্ষ্য করা যায় অপূর্ব পরিবর্তন। হেমন্তের অবসানে হিম শীতল উত্তরের হাওয়ায় চাদর গায়ে দিয়ে কাঁপতে কাঁপতে এসে হাজির হয় শীত ঋতু। পৌষ ও মাঘ এ দুই মাস শীত ঋতু। এসময় প্রকৃতি ধারণ করে সন্ন্যাসীর রূপ। কুছুটিকার ধূসর পর্দায় নিজেকে আড়াল করে প্রকৃতি তখন এক এক করে সব আভরণ খুলে ফেলে দিয়ে দীনহীন বেশ ধারণ করে। সর্বত্রই দেখা যায় একটা মালিন্যের ছায়া। শীত ঋতুর স্বকীয় স্বরূপটি সবচেয়ে স্পষ্টরূপে ফুটে ওঠে সকালবেলা। শীতের সকাল সত্যি এক ব্যতিক্রমধর্মী সকাল।
শীতের সকালের আগমনঃ পূর্ব দিগন্তে আলো পরিপূর্ণভাবে ফুটে ওঠার আগেই বন-বনান্তরে পাখির কণ্ঠে ধ্বনিত হয়ে ওঠে নিবারম্ভের কলমুখরিত আনন্দ রাগিণী। তখন আবির্ভূত হয় স্নিগ্ধ শীতের সকাল। তাকে স্বাগত জানানোর জন্য পাখির কণ্ঠে শুনতে পাওয়া যায় মধুর আবাহন গীতি সেই আনন্দের জোয়ারে প্লাবিত হয় কুয়াশা-জড়িত বনভূমি। তাদের গানের সুর ছড়িয়ে পড়ে দিক-দিগন্তে। এসময় বাতাসে ভেসে আসে পথচারীদের দু-একটি বিচ্ছিন্ন সংলাপ। অথচ তখনো চারপাশের পৃথিবী এক আশ্চর্য নিস্তব্ধতায় মগ্ন।
রূপ বদলঃ ধীরে ধীরে বেলা বাড়তে থাকে। শীতের সূর্য কুয়াশার জাল ছিন্নভিন্ন করে পূর্ব দিগন্তে গভীর আলস্যে উপরে উঠতে থাকে। তার কিরণবাণে পর্যুদস্ত হয় শীতের তীব্রতা। সোনালি রোদে চারদিক ভেসে যায়। সেই রোদের স্পর্শ শীতের সকালে যেন এক বিন্দু শিশিরের মত টলমল করে কাঁপতে থাকে।
শীতের সকালে প্রকৃতির বৈরাগ্য মূর্ত্তিঃ ততক্ষণে বাইরের পৃথিবীর ঘুম ভেঙে যায়। দিকে দিকে কর্মের মুখরতায় শীতের সকাল কর্মব্যস্ত হয়ে ওঠে। পাখিরা ডানায় বাতাস কেটে কুয়াশার ভিতর দিয়ে ছুটে চলে অজানার পানে। শীতের সকাল যেন এক প্রৌঢ় কুলবধূ। পত্রপল্লবহীন গাছপালাকে মনে হয় অলংকারশূন্য বিধবা। শীতের সকালের হাতে যেন এক বৈরাগীর একতারা। সে তার একতারার নিঃসঙ্গ তারে আঘাত হানে নির্মমভাবে। এর ফলে বনের শুষ্ক বিবর্ণ পাতাগুলো একে একে করে পড়ে। উত্তরের হিমগর্ভ হাওয়ায় তাদের দু হাতে লুফে নিয়ে উড়িয়ে দেয় অবলীলায়।
শীতের সকালের ভাবরূপঃ বাংলার শীত কাব্যে উপেক্ষিত। মেঘ-মেদুর চিত্তহারিণী বর্ষা, শরতের স্বর্ণমাধুর্য, বসন্তের আনন্দ হিল্লোলে মুখরিত কবিকূল। বিষ্ণু সর্বস্ব, রুক্ষ, কঠোর ও শ্রীহীন শীত। তবু তারও আছে আপন সম্পদ- সরষে ক্ষেতের শীত মাধুরী, অতসী, গাঁদা, দোপাটি, ডালিয়ার রূপের ডালি- তৃণশীর্ষে একটি শিশিরবিন্দু। সত্যি শীতের সকাল বড়ই আমেজি। কি গ্রামে, কি শহরে শীতের রাত ভোর হলেও ভোরের আমেজ তাতে আসে না। অপূর্ব শান্ত প্রকৃতি ভোরের আবছা আলো-আঁধারিতে কেমন যেন রহস্যঘন রূপ ধারণ করে হাতছানি দেয় প্রকৃতির উদার বুকে আশ্রয় নিতে। কিন্তু শহরে রাজধানীতে কোথায় সে অনন্ত আকাশের নিঃসীমতা যে হারিয়ে যাব তাতে।
শীতের সকালে মানবজীবনঃ শীতের সকালে মানবকুলের মধ্যে লক্ষ্য করা যায় এক অভূতপূর্ব সাড়া ও পরিবর্তন। শীতে আড়ষ্ট নর নারী কিমাতে ঝিমাতে প্রতীক্ষা করে রৌদ্রকরোজ্জ্বল উষ্ণ দিবসের। হঠাৎ লাল ও হলুদ রঙের রৌদ্র ভূঁইয়ে দেয় সোনার কাঠি। চঞ্চল জীবনে শুরু হয়ে যায় ছোটাছুটি। কৃষক ভাবে ভাবে কাটা ধান নিয়ে হাসিমুখে গৃহপানে ছুটে চলে। ঢেঁকিতে ধান ভানার মহোৎসব পড়ে যায় কৃষাণীদের মধ্যে। গান জাগে মানুষের মনে →
"পৌষ তোদের ডাক দিয়েছে আয়রে চলে
আয় আয় আয়
ভালা যে তোর ভরেছে আজ পাকা ফসলে
মরি হায় হায় রে ।"
গ্রামীণ জীবনে শীতের সকালঃ পল্লীতে শীতের সকাল উপস্থিত হয় ভিন্ন মূর্তিতে। বাড়িতে বাড়িতে আগুনের কুণ্ড জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করা হয়। শীতের পিঠায় কামড় দিতে দিতে অথবা কোঁচড় ভরা মুড়ি আর পাটালি গুড় নিয়ে শীতের সকালের রোদকে অভ্যর্থনা জানানোর দৃশ্য গ্রামের সর্বত্রই দেখা যায়। কৃষকরা লাঙল-জোয়াল কাঁধে নিয়ে শিশির সিক্ত ঘাসের উপর হেঁটে চলে যায় নিজ নিজ কাজে। শীতের কোন এক সকালে গ্রামের এরূপ দৃশ্য অবলোকন করলে মন আনন্দে ভরে ওঠে। তবে শীতের তীব্রতায় গ্রামের দরিদ্র মানুষের জীবন অনেক সময় অসহনীয় হয়ে ওঠে।
শহরে শীতের সকালঃ শহরে শীতের সকালের স্মৃতি ভিন্নরূপ। ভোনো কাকের ডাকে ঘুম ভাঙলেও উঠি উঠি করে আর উঠতে ইচ্ছে করে না। গরম বিছানার স্বরচিত উত্তাপ ছেড়ে উঠে গেলেও মনে পড়ে কবির সেই উক্তি →
"হিম হিম শীত শীত
শীত বুড়ি এল রে
কনকনে ঠাণ্ডায়
দম বুঝি গেল রে।"
শহরে সবুজ ঘাসে শিশির মিশে থাকে না। উত্তরের হিমেল হাওয়ায় ও খেজুরের রসে শহর আমোদিত হয় না। গ্রামের স্নিগ্ধ রূপটি এখানে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। পথে ফুটপাথে যাদের ঠিকানা তাদের দুর্ভোগ দৃশ্য নগর জীবনের আরেক অন্ধকার দিককেই ফুটিয়ে তোলে।
শীতের সকালে নদ-নদীর দৃশ্যঃ শীতকালে নদ-নদীর পানি শুকিয়ে যায়। তাই শীতের সকালেও জেলেরা নদীতে মাছ ধরতে ব্যস্ত থাকে। মনে হয় নদীতে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। শীতের সকালে কুয়াশা ভেদ করে নদীতে নৌকা, ফেরী চলতে পারে না । এ সময় মনে হয় নদীগুলো যেন যৌবন হারিয়ে ফেলেছে।
বন-বনানীতে শীতের সকালঃ শীতের সকালের বিচিত্র রূপ বন-বনানীতেও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এ সময় গাছের পাতা ঝরে যায় এবং ধারণ করে দীনহীন বেশ। শীতের সকালের অরুণরায়া আলো এসে শিশিরের বুকে জাগিয়ে তুলে প্রাণের ইশারা মুক্তার মত ঝলমল হাসি ফুটে ওঠে। শির শির ঠাণ্ডা কনকনে উত্তুরে বাতাসে আমলকী বনে কাঁপন লেগে যায়। প্রকৃতি ও মানুষ সেই নাচনে বনের ঝরা পাতার গান শুনতে হয় প্রমত্ত। কবি বলেন
"সেখানে গভীর ভোরে মোনাফল পাকিয়াছে
আছে আতাবন,
পৌষের ভিজে ভোরে,
আজ হায় মন যেন করিছে কেমন →
শীতের সকালের অসুবিধাঃ শীতের সকালের প্রচণ্ড শীতে স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যাহত হয়। কুয়াশার জন্য সবকিছু অস্পষ্ট দেখা যায়। এ সময় রাস্তাঘাটে যানবাহন চালানো ঝুঁকিপূর্ণ। এ সময়টা বস্ত্রহীন গরিব মানুষের জন্য অভিশাপস্বরূপ। চাকরিজীবীরা সকলে শীতের জন্য সময়মত অফিসে যেতে পারে না। তাছাড়া এসময় প্রকৃতির সর্বত্র শূন্যতা পরিলক্ষিত হয়। প্রচণ্ড শীত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পাখিরা প্রহর গুনতে থাকে।
শীতের সকালের আকর্ষণঃ শীতের সকালে গ্রামে ও শহরের সর্বত্র খেজুরের রস এবং রসের পায়েস খাওয়ার ধুম পড়ে যায়।
উপসংহারঃ গ্রীষ্ম, বর্ষা বা বসন্তের সকাল শীতের মত তৎপর হয়ে আসে না। সে সকল ঋতুতে সকাল স্যাঁতস্যাঁতে বা রাত্রি জাগরণের ফলে ক্লান্ত। অপরপক্ষে শীতের একটি সকাল আমাদের জীবনে আসে মহৎ চলমান জীবনের বার্তা নিয়ে। মানবের কর্মচঞ্চলতার সাথে হাত মিলায় কুয়াশাচ্ছন্ন ঝিমিয়ে পড়া প্রকৃতি। ভুলে যাই আমরা নিশীথ রাত্রির হিম করা কুহেলী স্মৃতি, কায়িক অপারগতা সমৃদ্ধ হয় শীতের মোহন সকালের ছোঁয়ায়। পরম সুখ চরম জীবনের হাতছানি দিয়ে ডাকে, তখন আমরা ঘনিষ্ঠ হই একে অন্যের সাথে মিলিত হই মহাজীবনের পরিশুদ্ধ প্রান্তরে।
অভিযোগঃ বন্ধুরা "একটি শীতের সকাল রচনা" এই আর্টিকেল আমরা কোন ভুল তথ্য দিয়ে থাকলে এবং "Ekti Shiter Shokal Rachana" এই আর্টিকেল সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকলে বা কিছুর জানা থাকলে নিচে কমেন্ট করুন।