বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা | Bongobondhu Jiboni Rochona
বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা - আমরা এই আর্টিকেলে আলোচনা করেছি বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা সম্পর্কে। বঙ্গবন্ধুর জীবনী সম্পর্কে জানতে পারবেন এই আর্টিকেলটা শেষ পর্যন্ত পড়লে। এই ছাড়াও বঙ্গবন্ধুর জীবনী, বঙ্গবন্ধুর জন্ম তারিখ, বঙ্গবন্ধুর কখন মৃত্যু বরন করেন সকল তথ্য দেওয়া হয়েছে এই আর্টিকেলে। বঙ্গবন্ধুর ছিলেন একজন অবিসংবাদিত নেতা।
![]() |
বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা | Bongobondhu Jiboni Rochona |
বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনাটি শুধুমাত্র তাদের জন্য যারা ক্লাস, 6,7,8,9,10,11,12 এ পড়াশুনা করতেছেন। যাইহোক নিচে রচনাটি ছাড়াও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে আরো অনেক তথ্য দেওয়া হয়েছে যেই তথ্য গুলি আপনাদের পরীক্ষায় কাজে আসতে পারে অর্থাৎ আপনাদের উপকার হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ বন্ধ সিমের লোকেশন জানার উপায়।
বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা | Bongobondhu Jiboni Rochona | বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা ২০০ শব্দের | বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা pdf download | বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা ১০০০ শব্দ | বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা ৩০০ শব্দ | বঙ্গবন্ধুর জীবনী ইতিহাস | বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচনা প্রতিযোগিতা | বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচনা ৫০০ শব্দের | বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচনা pdf | Bongobondhu sheikh mujibur rahman jiboni | Bongobondhu rochona bangla 200 words | Bongobondhu o bangladesh rochona 300 words | Bongobondhu sheikh mujibur rahman rachana.

বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা | জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচনা | Bongobondhu Jiboni Rochona PDF
ভূমিকাঃ বাংলার ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক অনবদ্য নাম। তিনি বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ নেতা এবং বিশ্বের শ্রেষ্ঠ নেতাদের অন্যতম। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বেই ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। বাংলার এই অবিসংবাদিত নেতা আজীবন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাবার চেষ্টা করে গেছেন। তাই তো কবি কণ্ঠে উচ্চারিত হয়
"যতদিন রবে
পদ্মা, মেঘনা, যমুনা,
গৌরি বহমান ততদিন রবে কীর্তি তোমার
শেখ মুজিবুর রহমান।”
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ পোশাক শিল্প রচনা।
জন্ম ও শিক্ষাঃ ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমান গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় এক মধ্যবিত্ত শিক্ষিত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। গ্রামের স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে শেখ মুজিব গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে ভর্তি হন এবং সেখান থেকেই তিনি মেট্রিকুলেশন পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। ১৯৪৭ সালে শেখ মুজিব কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ বিদায়ের পর শেখ মুজিব ঢাকা চলে আসেন এবং তিনি এই ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন।
আরো পড়ুনঃ পৃথিবির সবচেয়ে খারাপ মানুষ কে ছিলেন।
রাজনীতিতে দীক্ষা লাভঃ ছাত্র জীবনেই তাঁর রাজনীতিতে হাতে ঘড়ি ঘটে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে শেখ মুজিব অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র থাকাকালীন সময়ে প্রথম জেলে যান। পাকিস্তান আন্দোলনের সময়ে তিনি মুসলিম পর ফেডারেশনের নেতা হিসেবে বিশেষ অবদান রাখেন। তিনি দেখেছিলেন বাংলার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে। তিনি বাংলার গৌরব ও গর্ব নেতাজী সুভাষ চন্দ্ৰ বসু, শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী , শেরে বাংলা আবুল কাসেম ফজলুল হক, এবং মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী প্রমুখের সাহচর্যে এসেছিলেন।
আরো পড়ুনঃ পরিবেশে দূষণ ও তাঁর প্রতিকার রচনা।
সংগ্রামী জীবনঃ শেখ মুজিব তদানীন্তন আওয়ামী মুসলিম লীগে যোগদান করেন। এ সময়ে তিনি মওলানা ভাসানীর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পান। দেশের আপামর জনসাধারণের ন্যায্য দাবি আদায় করতে গিয়ে শেখ মুজিব বহুবার কারারুদ্ধ হয়েছেন। যুবক বয়সে তিনি একবার মন্ত্রী হয়েছিলেন, কিন্তু দলকে শক্তিশালী করার জন্য তিনি মন্ত্রীত্ব ত্যাগ করেন। ১৯৬৬ সালে তিনি যখন আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন তখন জাতীয় মুক্তি ও স্বায়ত্তশাসনের জন্য ৬ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুনঃ Narration রুল বাংলা।
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাঃ পাকিস্তানের সামরিক ডিক্টেটর বাঙালির গণতান্ত্রিক চেতনাকে নস্যাৎ ও ৬ দফার আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে বাঙালির প্রাণপ্রিয় নেতা শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে মিথ্যা রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দায়ের করে। এ মামলাই ইতিহাসে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা হিসেবে অভিহিত। ১৯৬৯ সালের জানুয়ারি মাসে। পূর্ব বাংলায় গণ অভ্যুত্থান ঘটলে ষড়যন্ত্রকারীরা শেখ মুজিবকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।
আরো পড়ুনঃ তোমার প্রিয় কবি রচনা।
১৯৭০ এর নির্বাচন ও ১৯৭১-এর স্বাধীনতা ঘোষণাঃ ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ জাতীয় পরিষদের ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭টি আসনে বিজয়ী হয়ে নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু পশ্চিমা কর্তৃপক্ষ আওয়ামীলীগকে সরকার গঠন করতে না দিয়ে ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে থাকে এবং ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালোরাতে শুরু করে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ। বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রেফতারের আগে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার একটি ঘোষণাপত্র চট্টগ্রাম আওয়ামীলীগ নেতা হান্নান চৌধুরীর কাছে পাঠান। এ ঘোষণাপত্রই ২৬ ও ২৭ মার্চ যথাক্রমে হান্নান চৌধুরী ও মেজর জিয়া চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে পাঠ করেন।
আরো পড়ুনঃ পাইলট হওয়ার যোগ্যতা।
মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুঃ বাংলাদেশে আওয়ামীলীগ সমমনা রাজনৈতিক দল ও দেশের আপামর জনগণের সহযোগিতায় গড়ে তুলে মুক্তিবাহিনী, গঠন করে মুজিবনগর সরকার। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্ত ও ২ লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের হাল ধরেন শক্ত হাতে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির জনক হিসেবে বাংলাদেশ ও বিশ্বে লাভ করেন ব্যাপক পরিচিতি।
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের জন্য কোন চাকরি ভালো।
শাসক হিসেবে বঙ্গবন্ধুঃ সদ্য স্বাধীনপ্রাপ্ত যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে অনেক কিছুর অভাব ছিল। বিশেষ করে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ছিল খুবই নাজুক। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে অল্পদিনের মধ্যেই দেশকে মোটামুটি একটা ভাল অবস্থার মধ্যে নিয়ে আসতে সক্ষম হন। তিনি যখন ব্যাপক অর্থনৈতিক সংস্কারে হাত দেন ঠিক সে মুহূর্তে (১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট) তাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
আরো পড়ুনঃ যুদ্ধ নয় শান্তি চাই রচনা।
উপসংহারঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন ভাগ্যাহত বাঙালি জাতির মুক্তির অকুতোভয় অগ্রদূত। তাঁর বলিষ্ঠ ও সাহসী নেতৃত্বেই ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। আর তাইতো বলা যায়, ব্যক্তি মুজিবের মৃত্যু হলেও মুজিবাদর্শের মৃত্যু নেই।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উপজেলার নাম কি?
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উপজেলার নাম টুঙ্গিপাড়া উপজেলা। জাতীয় সংসদে ২১৭ নং আসনে গোপালগঞ্জ-৩ আসন হিসেবে চিহ্নিত যা টুঙ্গিপাড়া উপজেলা ও কোটালীপাড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টুঙ্গিপাড়া ই - ১৭ মার্চ, ১৯২০ জন্মগ্রহণ করেন। ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ডের ঘটনায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়।
মুজিব শব্দের অর্থ কি?
মুজিব শব্দের অর্থ হলো উত্তরদাতা বা সাড়াদানকারী। আল্লাহর নামসমূহের মধ্যে "মুজিব" নামটি হলো একটি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান | Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman
![]() |
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান | Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman |
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের একজন অবিসংবাদিত নেতা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman) ১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পাকিস্তানি শাসন থেকে মুক্ত করেন। তিনি ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত বাঙালি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪২ সালে গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন, ১৯৪৪ সালে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট এবং ৯১৪৭ সালে একই কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। খুব ছোটবেলা থেকেই মুজিব নেতৃত্বের সম্ভাবনা দেখিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালের গণআন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে তার শক্তিশালী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে কিন্তু পাকিস্তানি শাসক ক্ষমতা হস্তান্তরের বিরোধিতা করেন। পরিস্থিতির ধারাবাহিকতায় তিনি পাকিস্তানি শাসক কর্তৃক গ্রেফতার হওয়ার আগে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এবং, তার ছায়া নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ চলে এবং ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিজয় লাভ করে। দেশের মাটির প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অকৃত্রিম ভালোবাসার জন্য মানুষ তাকে 'বঙ্গবন্ধু' ও 'জাতির জনক' উপাধি দেয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কিছু লাইনচ্যুত সামরিক বাহিনী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে গুলি করে হত্যা করে। এই ঘনটনা টি দেশের এবং বিশ্বের জন্য একটি বড় ক্ষতি ছিল।
আরো পড়ুনঃ এই নাম্বার টা কোথায় আছে।
অভিযোগঃ বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা এই আর্টিকেলে কোন ভুল তথ্য দেওয়া থাকলে অথবা Bongobondhu Jiboni Rochona এই আর্টিকেল সম্পর্কে কোন অভিযোগ বা কিছু জানার থাকলে নিচে "Add Comment" এ ক্লিক করে কমেন্ট করুন।