বই পড়ার আনন্দ রচনা | Boi porar anondo rochona Class 6,7,8,9

বই পড়ার আনন্দ রচনা - আমরা এই আর্টিকেলে আলোচনা করেছি Boi porar anondo rochona সম্পর্কে। আমরা দুই ভাবে বই সম্পর্কে রচনাটি আলোচনা করেছি। খুব সহজে বুঝতে পারেন বা শিখতে পারেন তার জন্য দুই ভাবে আলোচনা করা হয়েছে বই পড়ার আনন্দ রচনাটি। বই পড়া প্রবন্ধ প্রমথ চৌধুরী / শিশুদের পাঠ্য বই ছাড়া অন্য বই পড়ার প্রয়োজনীয়তা / বই পড়ার অনুভূতি / বই পড়ার গুরুত্ব নিয়ে চিঠি। আশা করি আপনাদের Boi porar anondo rochona টি উপকার হবে।

বই পড়ার আনন্দ রচনা | Boi porar anondo rochona Class 6,7,8,9
বই পড়ার আনন্দ রচনা | Boi porar anondo rochona Class 6,7,8,9

বই পড়ার আনন্দ রচনা | Boi porar anondo rochona Class 6,7,8,9 | বই পড়ার নেশা

ভূমিকাঃ মানুষ সামাজিক জীব। সে প্রতিনিয়ত অন্যের সঙ্গ ও সান্নিধ্য কামনা করে আসছে। মানুষের সঙ্গ লাভের এ প্রবৃত্তি কেবল মানুষকে কেন্দ্র করেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। যুগ যুগ ধরে সে গ্রন্থের সঙ্গও কামনা করে আসছে। মানুষ তার আত্মার আত্মীয়ের তথা বিশ্ব মানবের সাহচর্য ও সঙ্গ লাভ করে গ্রন্থের মাধ্যমে। অনাদিকাল থেকেই গ্রন্থ পাঠে মানুষ অনাবিল শান্তি লাভ করে আসছে।

গ্রন্থ পাঠের উপকারিতা

গ্রন্থ পাঠের উপকারিতাঃ গ্রন্থ পাঠে মানুষের মনে আসে আনন্দ- বেদনার কাব্যিক দার্শনিক সত্যবোধ। গ্রন্থ পাঠের প্রভাবেই মানব জীবন সুন্দর ও নিখুঁত থাকে। গ্রন্থ পাঠই আমাদের মনে এনে দেয় নতি, সহানুভূতি, মায়া-মমতা ও প্রেম-প্রীতি। যুগে যুগে গ্রন্থ এনেছে ত্যাগের দীক্ষা, সত্য ও সুন্দরের সাধনা। ইতিহাস, ভূগোল, রাজনীতি, অর্থনীতি ইত্যাদি গ্রন্থ পাঠ করে মানুষ মেটাচ্ছে তার মনের ক্ষুধা। গ্রন্থ পাঠ মানুষের দৃষ্টিকে করে উদার, মনকে করে উন্নত। দুঃখ-কষ্ট, শোক-তাপ, হতাশা-অবসাদ, দ্বন্দ্ব-সংঘাতপূর্ণ পৃথিবীতে গ্রন্থ পাঠেই মানুষ আনন্দ লাভ করতে পারে।

গ্রন্থ পাঠে আনন্দ / আনন্দ কেন

গ্রন্থ পাঠে আনন্দ / আনন্দ কেনঃ মানুষের আনন্দ লাভের পথ বহু বিচিত্র। গ্রন্থ পাঠ আনন্দ লাভের শ্রেষ্ঠ পথ। এটা আমাদের নানাভাবে আনন্দ দান করে থাকে। এটি কর্মক্লান্ত দিনের ব্যস্ততা ও হানাহানির মধ্যে ক্লিষ্ট-পীড়িত চিত্তের ক্লান্তি দূর করে এনে দেয় অনাবিল প্রশান্তি। এটা মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে কাজ করে। জীবনের নানাবিধ অভিঘাত আমাদেরকে যখন উন্মাদ করে তোলে তখন আমরা সান্ত্বনা, সহানুভূতি ও আনন্দের জন্য ছুটে চলি গ্রন্থাগারের দিকে। গ্রন্থই দুঃখ- বেদনায় এনে দেয় বিশুদ্ধ মত্ততা।

বিশ্বের সাথে যোগাযোগের উত্তম উপায় গ্রন্থপাঠ / বইয়ের সাথে সম্পর্ক যে জন্য

বিশ্বের সাথে যোগাযোগের উত্তম উপায় গ্রন্থপাঠ / বইয়ের সাথে সম্পর্ক যে জন্যঃ গ্রন্থের মাধ্যমেই আমরা বিশ্বের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারি। সমগ্র বিশ্বকে জানতে হলে গ্রন্থ পাঠের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। গ্রন্থ পাঠের মাধ্যমেই আমরা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মনীষীদের সান্নিধ্য লাভ করতে পারি। মানুষের জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিল্পকলা ও সাহিত্য সাধনার নীরব সাক্ষী বিশ্বের অজস্র গ্রন্থ। উন্নত ধরনের জ্ঞান-বিজ্ঞান ও সভ্যতার সাথে রাখীবন্ধন স্থাপন করে গ্রন্থ পাঠ। এটা অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের সেতু গড়ে তোলে। অতীতের ঐতিহ্য, নানা সৎ চিন্তার অনুশীলন ও বিচিত্র ভাবধারা নিহিত রয়েছে গ্রন্থরাজিতে। তাই বিচিত্র জাতি, দেশ ও সমাজের সাথে পরিচিত হওয়ার জন্য গ্রন্থের সাহায্য ছাড়া গত্যন্তর নেই। এ প্রসঙ্গে কবি গুরু যথার্থই বলেছেন-

“বিশাল বিশ্বের আয়োজন
মন মোর জুড়ে থাকে অতিক্ষুদ্র,
তারি এক কোণে,
সেই ক্ষোভে পড়ি গ্রন্থ ভ্রমণ বৃত্তান্ত আছে,
যাহে অক্ষয় উৎসাহে।”

বইয়ের বৈচিত্র্য / যে ধরণের বই

বইয়ের বৈচিত্র্য / যে ধরণের বইঃ সভ্য মানুষের প্রয়োজন অসংখ্য গ্রন্থরাজির সান্নিথ্য ও সঙ্গ। বিচিত্র বইয়ের বাহারি বৈচিত্র্য থেকে মানুষ আনন্দের নির্যাস পান করে। ইতিহাস, দর্শন, বিজ্ঞান, সাহিত্য ইত্যাদি বইয়ের পাতায় পাতায় মিশে আছে বিভিন্ন জাতির জ্ঞান, বিজ্ঞান ও শিল্প সাহিত্যের স্রোতধারা। সে ধারার মোহনায় সঙ্গম ঘটাতে পারলেই মানুষের আত্মপ্রসার ঘটে। তাই স্বীয় রুচি মত বই বেছে নিয়ে পাঠ করতে হবে।

পাঠকচিত্তে গ্রন্থপাঠের প্রভাব / আনন্দের বিশেষত্ব

পাঠকচিত্তে গ্রন্থপাঠের প্রভাব / আনন্দের বিশেষত্বঃ গ্ৰন্থ প্রভাব পাঠক চিত্তে একটা বিরাট অংশ জুড়ে থাকে। মহাকবি গ্যায়টে পাঠের মাধ্যমেই আনন্দ খুঁজে পেতেন। পারস্যের কবি ওমর খৈয়াম নিভৃতে বৃক্ষতলে স্বর্গ রচনার জন্য উপকরণের যে তালিকা প্রস্তুত করেছিলেন, তাতে একখানি কাব্যেরও স্থান ছিল। তাঁর মতে, গ্রন্থ ছাড়া স্বর্গীয় আনন্দ অপূর্ণ থেকে যায়। তিনি বলতেন, “রুটি মদ ফুরিয়ে যাবে, প্রিয়ার কাল চোখ ঘোলাটে হয়ে যাবে; কিন্তু একখানা বই অনন্ত যৌবনা যদি তেমন বই হয়।”

উপসংহার

উপসংহারঃ গ্রন্থ পাঠে মানুষ আনন্দ লাভ করে থাকে সত্য, তবে আনন্দ উপলব্ধির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হয়। গ্রন্থের জগৎ থেকে আনন্দ লাভের জন্য মানুষকে অধ্যবসায়ী হতে হবে। উৎকৃষ্ট গ্রন্থই মানুষকে প্রকৃত সুখ ও আনন্দ দান করতে পারে। গ্রন্থ পাঠের আনন্দ দীর্ঘদিন মানুষের মনকে সুরভিত করে রাখে।

জনপ্রিয় আর্টিকেল গুলি দেখুন !!


বই পড়ার আনন্দ রচনা | Boi porar anondo rochona Class 6,7,8,9
বই পড়ার আনন্দ রচনা | Boi porar anondo rochona Class 6,7,8,9

Boi porar anondo rochona | বই সম্পর্কে রচনা | বই পড়ার ইতিহাস | একটি গল্পের বই পড়ার অভিজ্ঞতা রচনা

ভূমিকাঃ প্রখ্যাত দার্শনিক ও সাহিত্যিক টলস্টয়কে জীবনের প্রয়োজনীয় বস্তু সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেছিলেন, “জীবনে তিনটি বস্তু প্রয়োজন, তা হচ্ছে বই, বই আর বই।” আর বইয়ের এ প্রয়োজন জ্ঞানবৃদ্ধ হবার জন্য যতখানি নয়, তার চেয়ে অনেক বেশি আনন্দ লাভের জন্য। প্রকৃতপক্ষে গ্রন্থপাঠ আনন্দের মধ্যদিয়ে মানুষকে বহুমুখী কল্যাণের ছোঁয়া দিয়ে থাকে। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স)-এর নিকট জিবরাঈল (আ) এসে সর্বপ্রথম যে ওহী পৌঁছে দিয়েছিলেন তাতে আল্লাহতায়ালা বলেন, “পড়, তোমার প্রভুর নামে।”

আনন্দ ও বই

আনন্দ ও বইঃ মানুষ আনন্দসন্ধানী। সে অমৃতের সন্ধানও করে বটে। তবে জাগতিক জীবনে অমৃতের সন্ধান পাওয়া যায় না। আনন্দ আর অমৃত যা-ই বলা হোক না কেন, তা এক ধরনের অনুভূতির ব্যাপার। আনন্দ মানে ভালোলাগা এবং তা অবশ্যই নির্ভেজাল-নিষ্কলুষ হতে হয়। আনন্দঘন জীবন স্বর্গ-সুষমায় ভরা। তাই জাগতিক জীবনকে বস্তুগত ভোগ কিছুতেই প্রকৃত আনন্দ দিতে পারে না। নিষ্কলুষ ও নিষ্পাপ আনন্দের জন্য মানুষের সামনে নীরব হৃদয় মেলে ধরে আছে অগণিত বই। বস্তুত বই আনন্দের আধার, অমৃতের সুধাভাণ্ডার।

মানবজীবনে বইয়ের ভূমিকা

মানবজীবনে বইয়ের ভূমিকাঃ সভ্যতার ঊষালগ্নে মানুষের সুকুমারবৃত্তির বিকাশকালে সে পশুত্বকে ঝেরে ফেলেছে। হৃদয়লোকের অমরাবতীকে সে সাজাতে চেয়েছে আনন্দময়তার ফুল ফুটিয়ে। তখন মানুষ হয়ে ওঠে সৃষ্টিশীল ও অন্যকথায় মন পিপাসু। এ মনন অনুশীলনের প্রক্রিয়ায় সে সাহিত্য রচনায় ব্রতী হয়েছে। সৃষ্টির আনন্দকে অনুভূতির রঙে রাঙিয়ে সে বইয়ের পাতাকে ভরিয়ে তুলেছে নীরব আনন্দ সাগর রূপে। তাই সুপ্রাচীনকাল থেকে আনন্দ-অনুষঙ্গরূপে মানুষের পাশে পাশে রয়েছে বই। জীবনের সকল বস্তুগত উপকরণ হারিয়ে যায়, ফুরিয়ে যায় কিংবা হয়ে যায় ধুলো-মলিন কিন্তু বই রয়ে গেছে চির নতুন, চির যৌবনারূপে। মানবজীবনে বইয়ের স্থানকে কবি-দার্শনিক ওমর খৈয়াম নির্ধারণ করেছেন এভাবে- "রুটি মদ ফুরিয়ে যাবে, প্রিয়ার কালো চোখ ঘোলাটে হয়ে আসবে, কিন্তু বইখানা অনন্তযৌবনা যদি তেমন বই হয়।”

আধুনিক জীবনের জটিলতা ও বই

আধুনিক জীবনের জটিলতা ও বইঃ সভ্যতার ক্রমবিকাশে মানুষের জীবনে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে কিন্তু জীবন থেকে ধীরে ধীরে হারিয়ে গেছে স্বস্তি ও প্রশান্তির আশ্বাস। ক্রমশ জীবন হয়ে পড়েছে জটিল থেকে জটিলতর। যন্ত্র সভ্যতার নাগপাশ মানুষকে যান্ত্রিকতার আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলেছে। এতটুকু ফুরসত তার নেই যে নীরব-আনন্দে অবগাহন করবে। আনন্দের জন্য উন্মুখ হয়ে সে যখনই হাত বাড়িয়েছে তখনই তার সামনে হাজির হয়েছে পাপ-পঙ্কিল বিকৃতি এবং নোংরামির বীভৎসতা। ফলে ব্যস্ত ও জটিল জীবন হারিয়ে ফেলেছে নিষ্পাপ আনন্দের সন্ধান। এমনিতরো পাপ-পঙ্কিল পারিপার্শ্বিকতায় নিঃশব্দ অথচ নিষ্পাপ আনন্দের ডালি মেলে ধরে তাকে শান্তি দিতে চেয়েছে বই। জীবনের রুঢ় বাস্তবতা ও জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে আমাদের বইয়ের মাঝে ডুব দিতে পরামর্শ দিয়েছেন দার্শনিক-নাট্যকার বার্ট্রান্ড রাসেল। রবীন্দ্রনাথ স্বীকার করেছেন, “মানুষ বই দিয়ে অতীত ও ভবিষ্যতের মধ্যে সাঁকো। বেঁধে দিয়েছে।"

মানববন্ধু গ্রন্থ

মানববন্ধু গ্রন্থঃ মানুষ মানুষের শত্রু হতে পারে, তাকে প্রবঞ্চনা করতে পারে; কিন্তু বই কখনও মানুষের সাথে প্রবানা বা শত্রুতা করে না। যে জাতির জ্ঞানের ভাণ্ডার শূন্য, সে জাতির ধনের ভাণ্ডারও শূন্য। তাই জ্ঞানার্জন ও ধনার্জনের জন্য বই পড়া প্রয়োজন। বই পড়ার আনন্দ সার্থক হয়ে ওঠে ব্যক্তির সাথে বইয়ের সম্পৃক্ততায়। বইয়ের সান্নিধ্যে আসা মানেই মহামনীষীদের সান্নিধ্য লাভ। দুঃখ ও দ্বন্দ্ব, সংশয় ও চাঞ্চল্য, হতাশা ও নৈরাজ্য মানুষের জীবন বিষিয়ে তোলে। তখন প্রয়োজন পড়ে চালিত ও উদ্দীপিত করার, আশা ও সান্ত্বনার বাণী শোনাবার মত কোন ঘনিষ্ঠ বন্ধুর। বই সেই অকৃত্রিম বন্ধু। বইয়ের নির্দেশনায় মানুষ খুঁজে পায় সঙ্গতি ও সামঞ্জস্য, অগ্রগমনের পন্থা। জীবনের দুঃসহ মুহূর্তে কিংবা অখন্ড অবসরে বই আমাদের পাশে থাকে নীরব বন্ধুরূপে। আনন্দের প্রলেপে সে আমাদের শক্তি, সাহস কিংবা প্রেরণা যোগায় দেখায় সঠিক পথের দিশা।

মুক্তবুদ্ধির চর্চায় বই

মুক্তবুদ্ধির চর্চায় বইঃ সুষম খাদ্য যেমন মানুষের স্বাস্থ্যের বিকাশ ঘটায়, তেমনি তার চিত্তের বিকাশ ঘটায় ভালো বই। মানুষের প্রকৃত মুক্তি তার বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে ও মানসিক ঔদার্যে। গত শতাব্দীর শুরুতে 'শিখা' নামক সাড়া জাগানো পত্রিকার শীর্ষদেশে ছাপা হত— “জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।" বলা বাহুল্য, মানুষের বুদ্ধিগত এ মুক্তির অবলম্বন যে বই, সে বিষয়ে কারো কোন দ্বিমত নেই। আজকের বিজ্ঞানশাসিত যুগে বুদ্ধিবৃত্তিক পরিচর্যায় পুস্তকের গুরুত্ব মোটেই হ্রাস পায় নি।

বিশ্ব সংযোগ সৃষ্টিতে বই

বিশ্ব সংযোগ সৃষ্টিতে বইঃ মানুষ দু'চোখ ভরে সমগ্র বিশ্বের প্রকৃতিকে অবলোকন করতে চায়। সৃষ্টি রহস্যের অপার বিস্ময় দর্শনে পুলকিত কিংবা চমকিত হতে চায়, কিন্তু জীবনবাস্তবতা তাকে ঘরের কোণে বেঁধে রাখে। বিশ্বসংস্কৃতির সাথে সংযোগ রক্ষা কিংবা স্রষ্টার সৃষ্টিলীলা দর্শনে ব্যর্থতাকে পুষিয়ে দিতে পারে কেবল বই। তাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর উচ্চারণ করেছেন-

"বিশাল বিশ্বের আয়োজন
মন মোর জুড়ে থাকে
অতি ক্ষুদ্র তারি এক কোণে,
সেই ক্ষোভে পড়ি গ্রন্থ ভ্রমণ বৃত্তান্ত আছে
যাহে অক্ষয় উৎসাহে"

বইয়ের বিচিত্র সম্ভার

বইয়ের বিচিত্র সম্ভারঃ মানুষের আনন্দ অনুষঙ্গরূপে রয়েছে বিচিত্র বিষয়ের, বিচিত্র ধরনের বই। ইতিহাস, সাহিত্য, দর্শন, ভূগোল, বিজ্ঞান, আইন প্রভৃতি বিষয়ের বই থেকে মানুষ লাভ করে আনন্দ, শিক্ষা ও জ্ঞান। একেক ধরনের বই মানুষকে একেক ধরনের আনন্দ দিয়ে থাকে। মানুষ তার রুচি ও ঝোঁকের সাথে সঙ্গতি রেখে বই নির্বাচন করে থাকে। অতীতের ঐতিহ্য, নানা চিন্তার অনুশীলন ও বিচিত্র ভাবধারা সংরক্ষিত হয়েছে গ্রন্থরাজির মাঝে। বইয়ে স্থান পেয়েছে বিভিন্ন জাতির ইতিহাস-ঐতিহ্য, বিচিত্র জ্ঞান-বিজ্ঞান ও শিল্প-সাহিত্যের স্রোতধারা। সে ধারার সঙ্গে মিলনেই ঘটে মানুষের আত্মপ্রকাশ। মোটকথা, বিচিত্র বই পাঠ করেই মানুষ আনন্দের অনুভূতি লাভ করে থাকে।

পুস্তক নির্বাচনে সতর্কতা

পুস্তক নির্বাচনে সতর্কতাঃ সাময়িক সুখ কিংবা তাৎক্ষণিক আনন্দের জন্য মানুষ কখনো কখনো 'একটুখানি' বলে মাদকের স্বাদ নেয়। পরবর্তীতে সে আর সুস্থতায় ফিরে আসতে পারে না। মাদক তাকে নিয়ে যায় স্থলনের অতলে। পুস্তকের মধ্যেও কিছু বই রয়েছে সেগুলো মানুষের জীবনকে ধ্বংস করতে পারে। তাই বন্ধু নির্বাচনের মত গ্রন্থ নির্বাচনেও সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। সৃষ্টিশীল, জীবনধর্মী, নীতিকথামূলক ও সুপাঠ্য বই সংগ্রহ করে পড়তে হবে। এ ধরনের বই ব্যক্তিমানসের যেমন খোরাক যোগায় তেমনি জ্ঞানদান করে মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটায়। কুরুচিপূর্ণ ও অশ্লীল বই পাঠে যুবসমাজ সাময়িক আনন্দ পেলেও তা সার্বিক বিচারে দেশ ও জাতির জন্য ধ্বংস ডেকে আনে।

উপসংহার

উপসংহারঃ শব্দহীন ভাষায় বই আমাদের জীবনকে সুন্দরের গান শোনায়। আমাদের নিষ্কলুষ আনন্দের অর্ঘ্য দিয়ে জীবনকে করে তোলে উপভোগ্য। বই আমাদের বন্ধু ও নিঃস্বার্থ সুহৃদ। জীবনকে পঙ্কিলতামুক্ত সৌন্দর্যস্নাত করার জন্য তাই আমাদের সুনির্বাচিত গ্রন্থাবলি পাঠ করতে হবে।

( বই পড়ার আনন্দ রচনা ) এই আর্টিকেলে কোন ভুল তথ্য থাকলে এবং ( Boi porar anondo rochona ) এই আর্টিকেল সম্পর্কে কোন অভিযোগ বা কিছু জানার থাকলে নিচে কমেন্ট করুন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরো পড়ুনঃ