ফোড়ার মলম এর নাম | Bish fora treatment bangla

ফোড়ার মলম এর নাম - ফোড়া যাকে ইংলিশে বলা হয় "abscess" এবং লাতিন ভাষায় বলা হয় "abscessus"। শরীরে টিস্যুর মধ্যে পুঁজ জমাকে বলা হয় ফোড়া। ফোড়া দুই ধরনের হয়ে থাকে সেইগুলি হলো কার্বাঙ্কল এবং বয়েল। কার্বাঙ্কল মানে বড় আকারের ফোঁড়া। এই ধরনের ফোড়া বেশির ভাগই লোমকূপের স্থানে হয়ে থাকে।

ফোড়ার মলম এর নাম | Bish fora treatment bangla
ফোড়ার মলম এর নাম | Bish fora treatment bangla

লালচে ভাব,ব্যথা,ফোলা এই লক্ষণ গুলি দেখা গেলে মনে করবেন ফোড়া হয়েছে। ফোড়া কতদিন থাকে এইটা বলা যায় না। ফোড়া রোগনির্ণয়ের জন্য সিটি স্ক্যান এবং আল্ট্রাসাউন্ড করা হয়।

মূলত ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের কারণে ফোড়া হয়ে থাকে। ভিন্ন ভিন্ন জীবাণু মিশে বিষাক্ত ফোড়া তৈরি হয়। ফোড়ার মূল চিকিৎসার হলো ফোড়া টি কেটে করে পুঁজ বের করে ফেলা। আমরা অনেকে সুইচ দিয়ে ফোঁটা করে পুঁজ বের করি এইটি মারাত্বক ক্ষতি হবে।

পুঁজ বের করার পর ঐ স্থানে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে এরপর জীবাণুমুক্ত ওষধ ব্যাবহার করতে হবে।

ফোড়ার মলম এর নাম

বন্ধুরা বিশেষজ্ঞরা বলে, ফোড়ার জন্য মলম এর দরকার নেই। তার জন্য নিয়মিত জীবাণুনাশক সাবান আক্রান্ত স্থান ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিলে হয়। এই ছাড়াও পরিষ্কার কাপড় নিয়ে সেটি গরম পানিতে ভিজিয়ে আক্রান্ত স্থানে হলকা ভাবে চেপে ধরলে ফোড়াটি গেলে যেতে পারে।

এই ছাড়াও বন্ধু আপনি যদি চান কোন ঔষধের দোকানে গিয়ে তাদের থেকে একটি জীবাণুমুক্ত মলম কিনে ফোড়ার ওপর এবং চারপাশে লাগিয়ে নিতে পারেন।

অথবা আপনি যদি ঔষধের দোকানদার কে বলেন তাহলে অনি আপনাকে একটি ফোড়ার জন্য মলম দিবে। তবে বন্ধুরা আমরা চাই না আপনি মলম ব্যাবহার করেন। কারন ফোড়া হওয়া যেমনটা স্বাভাবিক তেমনি ফোড়া নিজে নিজে গেলে যাওয়াটা স্বাভাবিক। তাই বন্ধুরা মলম ব্যাবহার করার দরকার নেই।

প্রিয় বন্ধু আপনি নিজে নিজে ফোঁড়া গলিয়ে দিবেন না এতে আপনার স্কিনের / ত্বকের ক্ষতি হবে। সাধারনত ৭ থেকে ১৪ দিনের মাথায় একটি ফোঁড়া নিজে নিজে গেলে যায়। তাই আপনার কিছু করার দরকার নেই।

যদি ফোড়াই বিষ করে তাহলে আপনি একটি পরিষ্কার কাপড় নিয়ে আক্রান্ত স্থানে ঘন ঘন চেপে দরুন। তবে বন্ধুরা আপনি চাইলে ফোঁড়া গলে যাওয়ার পর মলম / ঔষধ ব্যাবহার করতে পারেন। যখনি আপনার ফোঁড়া গলে যাবে তখন আপনি ঐ স্থানে পরিষ্কার করে অ্যান্টিবায়োটিক মলম লাগিয়ে নিন। এতে আপনার স্কিন ভালো থাকবে। (ইনশাআল্লাহ)!

নোটঃ ফোঁড়া হলে বিশেজ্ঞরা আক্রান্ত স্থানে ঘন ঘন গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করার কথা বলে।

অন্যায় আর্টিকেল দেখুনঃ

ফোড়া পাকানোর ট্যাবলেট | ফোড়ার মলম এর নাম

অনেকে জানতে চাই ফোড়া পাকানোর ট্যাবলেট এর নাম কি। তার জন্য বন্ধুরা আমরা বলব ফোড়া পাকানোর জন্য ট্যাবলেট এর কোন প্রয়োজন নেই। যদি আপনার ঔষধ ব্যাবহার করতে ইচ্ছা করে তাহলে অ্যান্টিবায়োটিক মলম ইউজ করতে পারেন।

তবে বন্ধুরা ফোড়া পাকানোর জন্য আপনার কিছু করার দরকার নেই, কোন ট্যাবলেট খাওয়ার ও দরকার নেই। শুধু মাত্র নিয়মিত একটি পরিষ্কার কাপড় গরম পানিতে ভিজিয়ে নিয়ে ফোঁড়া বা ঐ আক্রান্ত স্থানে চেপে দরুন দেখবেন ২-৭ দিনের মধ্যে ফোড়া পেকে যাবে ইনশাল্লাহ

ফোড়া হলে কি করনীয়?

ফোড়া হলে বেশি কিছু করার দরকার নেই এবং জন্য ট্যাবলেট বা ওষধ সেবন করার ও দরকার নেই। আমরা আপনাকে কিছু টিপস শিখিয়ে দিব। তাহলে দেখে নিন ফোড়া হলে কি করনীয়ঃ

  • ফোড়া হয়ে নিজে নিকে গলার চেষ্টা করবেন না। তাহলে স্কিনের সমস্যা হবে।
  • যেই স্থানে ফোড়া হবে সেই স্থানে নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন।
  • একটি পরিষ্কার দিয়ে সাথে কুসুম কুসুম গরম পানিরে কাপড়টি ভিজিয়ে নিন, এরপর হাল্কা করে ফোড়ার ওপর চেপে দরুন দেখবেন ফোড়া গলে যাবে।
  • আপনি চাইলে ফোড়া গলে হওয়ার পর ফোড়ার ওপর এবং চারপাশে জীবাণুনাশক মলম লাগিয়ে নিতে পারেন যাতে ব্যাথা কমে যায় এবং স্কিন ভালো থাকে।
  • ফোঁড়া গলার সময় না পুঁজ বের করার সময় পরিষ্কার কাপড়ের খণ্ড বা তুলা বা গজ ব্যাবহার করবেন।
  • হতে ফোড়া গলা থেকে বিরত থাকবেন।
  • ফরা গলার পর বা ফোড়া ধরার পর হাত ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিবেন না হলে সংক্রমন ছড়াতে পারে।
  • পোশাক-আশাক, বিছানার চাদর, এবং আপনার ব্যাবহার করা সকল জিনিস যতটুকু সম্ভব গরম পানিতে ধুয়ে ইস্ত্রি করে নেবেন।
  • বেশির ভাগ সময় মুখে ফোড়া হয়ে থাকে। এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে এইটি বেশি হয়ে থাকে। তাই দাড়ি কামানোর পর অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম ব্যবহার করুন।
  • বারবার ফোড়া হলে / এক জায়গায় বেশি বেশি ফোড়া হলে ডাক্তারের সাথে দেখা করুন।
  • ফোড়া হওয়ার পর জ্বর হলে জটিল সমস্যা হতে পারে তাই স্কিনের বা যেকোনো ডাক্তারের সাথে দেখা করুন।

ফোড়ার লক্ষণ কি? | Bish fora treatment bangla

ফোড়ার মলম এর নাম | Bish fora treatment bangla
ফোড়ার মলম এর নাম | Bish fora treatment bangla

ফোড়ার লক্ষণ গুলি হলো ফুলে যায়, লাল রঙ, গরম হয়, ব্যথা হয়, ফোলা ভাব, ব্যথা, ত্বকের কার্যকারিতা হ্রাস ইত্যাদি। যদি কোন স্থানে আপনি ব্যাথা অনুভব করেন বা বিষ করে এই ছাড়াও উপরের এই লক্ষণ গুলি দেখেন তাহলে মনে করবেন ফোড়া হয়েছে।

ফোঁড়া কেন হয় | ফোঁড়া হওয়ার কারন

ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণই হলো ফোঁড়া হওয়ার সবচেয়ে সাধারন লক্ষন। এই ছাড়াও ইন্ট্রাভেনাস ড্রাগের ব্যাবহার ফলে ফোড়ার ঝুঁকির অন্যতম কারন। মেথিসিলিন-প্রতিরোধী স্ট্যাফালোকক্কাস অরিয়াস এই ধরনের ব্যাকটেরিয়া গুলি হলো ফোঁড়া অন্যতম কারন।

ফোড়া কোথায় হয় | ফোড়া লক্ষণ

যে কোনও ধরণের টিস্যুতে ফোড়া হয়ে থাকে। যাইহোক মানুষের শরীরের বেশির ভাগই ত্বকের পৃষ্ঠে হয়ে থাকে। মানুষে শরীরের যেই স্থানে বেশি ভাগই ফোড়া হয়ে থাকে সেইগুলি হলোঃ মস্তিষ্ক, দাঁত, ফুসফুস, বৃক্ক এবং টনসিলে।

তবে বন্ধুরা অনেক সময় ফোড়া শনাক্ত করা বেশ কঠিন হয়ে থাকে। কারন আমাদের শরীরে বেশির ভাগই সময় ছোট ছোট ফোঁড়া হয়ে থাকে যা আমরা বুজতে পারি না।


ফোড়া হলে বেশি জ্বর হয়ে থাকে এবং যেই স্থানে ফোড়া হয়ে থাকে ঐ স্থানে বিষ / ব্যথা করে। ফোড়া হলে অসুস্থ বোধ করে অনেকে। কিছু কিছু ফোড়া খুব তাড়াতাড়ি নিজে থেকে গলে যায় আবার কিছু কিছু ফোড়ার ক্ষেত্রে প্রায় ২ সপ্তাহ থেকে ৩ সপ্তাহ মতো লাগে।

ফোড়ার জন্য কি ঔষধ খাব | ফোড়ার ঔষধের নাম বাংলাদেশ | ফোড়ার এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম

ফোড়ার জন্য কোন ঔষধ খাওয়া লাগে না। ফোড়ার ঐ স্থানে নিয়মিত গরম পানি দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করলে ফোড়া গলে যাবে তবে আপনি চাইলে ফোড়া গলে যাওয়ার পর জীবাণুনাশক মলম ব্যাবহার করতে পারেন ফোড়ার ঐ স্থানে।

ফোড়া মুখে কেন হয়?

মুখে ফোড়া হওয়ার কারন মানুষের ত্বকে অনেক ধরনের ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেই তার মধ্যে একটি অন্যতম ব্যাকটেরিয়া হলো (স্ট্যাফিলোকক্কাস অরিউস) যেটি বেশির ভাগই সময় মুখে আক্রান্ত করে থাকে। এই ব্যাকটেরিয়ার ফলে মানুষের শরীরের ইনফেকশন তৈরি করে ফলে মুখে ফোড়া হয়ে থাকে। 

কার্বাংকল কি?

কার্বাংকল হলো একধরনের ফোড়া। তবে এইটি সাধারন ফোড়া নই। এই ফোড়া টি অনেক বড় আকারে হয়ে থাকে। একাধিক ফোঁড়া একসঙ্গে মিশে গিয়েও কার্বাঙ্কল তৈরি করে থাকে, চিকিৎসকরা বলে।

পুঁজ কি?

পুঁজ একটি প্রোটিন-সমৃদ্ধ তরল পদার্থ, পাতলা এবং দেহের ইমিউন সাড়ার ফলে (Immune response) মৃত শ্বেত কণিকা (বেশিরভাগই নিউট্রোফিল) দ্বারা গঠিত।

ফোঁড়া ভালো হতে কত দিন লাগে?

বেশির ভাগই, ফোড়া নিজে থেকেই গলে যায় এবং পুঁজ বের হয়। তবে তার জন্য ২ দিন থেকে ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তাই নিজে নিজে কিছু করার চেষ্টা করিয়েন না।

ফোঁড়া গলার ঘরোয়া উপায় | ফোড়ার মলম এর নাম

বন্ধুরা নিজে থেকে ফোঁড়া গলানোর চেষ্টা করলে অনেক বিপদে পড়বেন। যেমনঃ জ্বর হবে, ব্যথা করবে, ত্বক নষ্ট হয়ে যাবে। বন্ধুরা তার জন্য নিচে একটি উপায় দেওয়া হলোঃ

তার জন্য এক থেকে দেড় চা চামচ হলুদের গুঁড়ো নিয়ে তাতে পানি বা দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ফোড়া / আক্রান্ত স্থানে লাগান। কমপক্ষে ৩০ মিনিট এই পেস্টটি ফোড়ার মধ্যে রাখুন।

ফোঁড়া দেখতে কেমন? | ফোড়ার ছবি

একটি ত্বকের ফোড়া প্রায়শই ত্বকের পৃষ্ঠের নীচে পুঁজে ভরা একটি ফোলা পিণ্ডের মতো দেখায়।

ফোঁড়া হলে কি খাওয়া উচিত?

বন্ধুরা ফোরা হলে বেশি বেশি শাকসবজি, ভিটামিন জাতীয় খাবার খেতে হবে। ফোঁড়া ভালো করার জন্য বেশি বেশি নিমের পানি খেতে পারেন অনেক উপকার হবে।

এই ছাড়াও ফোঁড়া , ফুসকুড়ি, দাদ বা চুলকানির স্থানে মুলার বীজ পানিতে পিষে গরম করলে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।

অভিযোগঃ বন্ধুরা "ফোড়ার মলম এর নাম কি" এই আর্টিকেল কোন ভুল তথ্য থাকলে এবং "Bish fora treatment bangla" এই আর্টিকেল সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকলে নিচে কমেন্ট করুন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরো পড়ুনঃ