ছাত্রজীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য রচনা
ছাত্রজীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য রচনা - বন্ধুরা আমরা এখন আলোচনা করব ছাত্রজীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য pdf সম্পর্কে। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে ছাত্রজীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য রচনা ১৫ পয়েন্ট এই আর্টিকেলটা। ছাত্রজীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য এই রচনাটি দুইভাবে দেওয়া হয়েছে এই আর্টিকেলের মধ্যে।

আপনারা যারা গুগলে সার্চ করেন - ছাত্রজীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য রচনা, ছাত্রজীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য রচনা class 4, ছাত্রজীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য রচনা class 6, ছাত্রজীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য রচনা ১৫ পয়েন্ট, ছাত্রজীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য রচনা ২০০ শব্দ, ছাত্রজীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য রচনা কবিতা সহ, ছাত্রজীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য রচনা class 10, ছাত্রজীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য রচনা ক্লাস ৭, ছাত্রজীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য pdf, ছাত্রজীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য বাংলা রচনা class 12, এই কীওয়ার্ড গুলি লিখে তাদের জন্য এই আর্টিকেলটা। নিচে দেওয়া আছে ছাত্রজীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য রচনাটি।
ছাত্রজীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য রচনা class 4,6,7,8- ছাত্রজীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য রচনা ১৫ পয়েন্ট
ভূমিকাঃ মানব জীবনের যে সময়টুকু শিক্ষার্থীরা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যাল প্রভৃতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মাধ্যমে নিজেকে যোগ্য নাগরিক ও যথার্থ আনা করে তোলার কারো ব্যাপৃত থাকে, তাকে ছাত্রজীবন বলে। ছাত্র জীবনকে জীবন সংগ্রামের প্রস্তুতির সময়ও বলা হয়।
ছাত্রজীবনের মূল্য
ছাত্রজীবনের মূল্যঃ ছাত্রজীবনের মূলা অত্যধিক। ছাত্রজীবন মানব জীবনের সর্বোৎকৃষ্ট সময়। এ সময়কে ভবিষ্যৎ জীবনের বীজ বপনের সময়ও বলা যায়। এ সময়ে যেমন বীজ বপন করা হয়, ভবিষ্যতে তেমন ফলই পাওয়া যায়। এ সময়ে নিয়মিত আনানুশীলন করলে ভবিষ্যৎ জীবন উজ্জ্বল ও সুখময় হয়ে ওঠে।
ছাত্রজীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য
ছাত্রজীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্যঃঅধ্যয়নই ছাত্রদের প্রধান কর্তব্য। সংস্কৃতে একটি কথা আছে- "ছাত্ৰ নং অধ্যয়ন তপঃ" অর্থাৎ অধ্যয়নই ছাত্রের অপস্যা। শুধু পাঠ্যপুস্তক অধ্যয়নে সীমাবদ্ধ থাকলেই চলবে না। পাঠ্য বিষয়ের সাথে সাথে তাদের বহির্জগতের জ্ঞানভান্ডার হতে জ্ঞান আহরণেরও চেষ্টা করতে হবে। নিজকে কর্মী ও জ্ঞানী করে তোলাই ছাত্রজীবনের মূল লক্ষ্য।
জীবনের সব ক্লান্তি, হতাশা, অবিশ্বাস দূর করে দৃঢ় প্রত্যয় ও সৎ সাহস নিয়ে ছাত্রদেরকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। ত্যাগ ও সত্যের অভিমুখী হওয়া ছাত্রদের উচিত। তাদেরকে সুস্থ ও সবল মনের অধিকারী হতে হবে
ছাত্রদের উচিত অনাড়ম্বর জীবনযাপন করা। উচ্চ চিন্তা ও সহজ জীবনাচরণ তাদেরকে প্রকৃত মানুষ করতে সহায়তা করবে। মিথ্যা পরিহার করা, নকল প্রবণতাকে ঘৃণার চোখে দেখা ছাত্রদের দায়িত্ব। সৎকথা, সদাচরণ, সদালাপ ছাত্রদের ভূষণ। সবরকম লোভ-মোহ ত্যাগ করে সত্য ও ন্যায়ের পথে চলা ছাত্রদের প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য। কারণ ছাত্ররা পথভ্রষ্ট হলে জাতির ভবিষ্যৎ অন্ধকারে নিমজ্জিত হতে বাধ্য।
চরিত্র গঠন
চরিত্র গঠনঃ চরিত্র মানব জীবনের শ্রেষ্ঠ অলংকার। চরিত্রহীন ব্যক্তি পশুর সমান। ছাত্রদের চরিত্রের ওপরই জাতীয় চরিত্র নির্ভরশীল। তাই চরিত্র গঠনের দিকে ছাত্রদের বিশেষ তৎপর হতে হবে। লেখাপড়ার সাথে সাথে তাদেরকে বিনয়, শিষ্টাচার, সত্যবাদিতা, কর্তব্যপরায়ণতা ইত্যাদি সদগুণের অধিকারী হতে হবে।
সাস্থ্য গঠন
সাস্থ্য গঠনঃ স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। তাই সাস্থ্য গঠনের দিকে ছাত্রদের বিশেষ নজর দিতে হবে। যাথা ভাল না থাকলে জীবন অর্থহীন হয়ে পড়ে। প্রত্যেক ছাত্রকে সাস্থ্য গঠনের নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে। তাছাড়া নিজের কাপড় চোপড়, আসবাবপত্র ইত্যাদি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
শিক্ষক ও পিতা-মাতার প্রতি কর্তব্য
শিক্ষক ও পিতা-মাতার প্রতি কর্তব্যঃ পিতামাতা ও শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধাভক্তি প্রদর্শন করা ছাত্রদের আর একটি প্রধান কর্তব্য। তাঁরা যা আদেশ বা নিষেধ করেন তা প্রত্যেক ছাত্রকে সানন্দে পালন করা উচিত। পিতামাতা আছেন বলেই পৃথিবীতে তাদের আবির্ভাব ঘটেছে। পিতামাতা ও শিক্ষকদের মাধ্যমেই ছাত্ররা খুঁজে পায় ভবিষ্যৎ জীবনের পথ।
সমাজের প্রতি কর্তব্য
সমাজের প্রতি কর্তব্যঃ সমাজ সেবায়ও ছাত্ররা অশেষ অবদান রাখতে পারে। ছাত্ররা সমাজেরই মানুষ। তাই সমাজের কল্যাণ সাধন ও সমাজের অজ মানুষকে আলোর পথে আহবান করা তাদের কাজ। আত্মসচেতন নাগরিক হিসেবে ছাত্রদের উচিত মানুষের মনে দেশপ্রেম জাগিয়ে তোলা। শিক্ষার আলো ছড়ানোর কাজেও তাদের আত্মনিয়োগ করার যথেষ্ট অবকাশ আছে। নিপীড়িত মানুষের পাশে বিপদের দিনে ছাত্ররা দাঁড়াতে পারে। তাছাড়া সমাজ উন্নয়নে ও দেশ গঠনের কাজে ছাত্ররা এগিয়ে আসতে পারে।
উপসংহার
উপসংহারঃ ছাত্ররাই দেশের আশা-ভরসা। একটা দেশের ভবিষ্যৎ উন্নতি ও অবনতি নির্ভর করে ছাত্রদের ওপর। আজ যারা ছাত্র দু'দিন পরে তারাই হবে দেশের নেতা ও কর্মী। তাই প্রত্যেক ছাত্রকে তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যে আত্মনিয়োগ করে একজন আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠা উচিত।

অন্যান্য আর্টিকেল দেখুন !!
ছাত্রজীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য pdf - ছাত্রজীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য রচনা class 10, 12
ভূমিকাঃ ছাত্রজীবন একজন ছাত্রের ভবিষ্যৎ জীবনের ভিত্তিভূমি। ছাত্রজীবনের সাধনাই ভবিষ্যৎ জীবনে দিতে পারে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য। ছাত্ররাই দেশের ভবিষ্যৎ কাণ্ডারী। ছাত্রজীবনের এই মূল্যবান সময়ের সঠিক ও যথাযথ ব্যবহারের ওপরই নির্ভর করে পরবর্তী সময়ে দেশ, সমাজ ও নিজের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি। জীবনের এই মূল্যবান সময় বৃথা নষ্ট করলে আগামী জীবনে সাফল্যের পরিবর্তে নেমে আসে ব্যর্থতা আর দুঃখের গ্লানি; যা বইতে হয় আজীবন। ছাত্ররা সমাজের আলোকিত ও সচেতন অংশ। তাদের কাছে দেশের মানুষের আশা অনেক। তাই তারা তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন থাকবে এটাই সবার প্রত্যাশা।
ছাত্রজীবনের মূল্য
ছাত্রজীবনের মূল্যঃ ছাত্রজীবন ভবিষ্যৎ কর্মজীবনের পটভূমি আর এই পটভূমির মূল্য অপরিসীম। ছাত্রজীবন মানুষের সবচেয়ে মূল্যবান সময়। এই মূল্যবান সময়ে জ্ঞানার্জনে আত্মনিয়োগ করা একজন ছাত্রের প্রথম ও প্রধান দায়িত্ব। ছাত্রজীবনে মনোযোগের সাথে প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জন ও সদভ্যাস আয়ত্ত করলে ভবিষ্যৎ জীবন হবে কল্যাণময় ও সমৃদ্ধ। ফসলের মাঠে যেরূপ বীজ বপন করা হয় শস্যাদিও সেরূপ জন্মে, তদ্রূপ ছাত্রজীবনে যে শিক্ষা লাভ করা হয় এবং যে অভ্যাস আয়ত্ত করা হয়, তাই ভাবীজীবনে ফলপ্রসূ হয়ে থাকে। ভবিষ্যৎ জীবনে সাফল্য ও সমৃদ্ধি অর্জন করতে হলে ছাত্রজীবন থেকে কঠোর অনুশীলন ও পরিশ্রমের মাধ্যমে শক্ত ভিত্তি রচনা করতে হবে। ছাত্রজীবনে প্রকৃত জ্ঞানলাভ করে চিন্তা ও মননশক্তির বিকাশের জন্য বিবিধ শাস্ত্রের অনুশীলন একান্ত আবশ্যক। শুধু গুটিকয়েক সিলেবাসকেন্দ্রিক বিষয় মুখস্থ করে পরীক্ষায় পাস করাটাই বড় কথা নয়। ছাত্রজীবনের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে প্রকৃত শিক্ষা অর্জন- যে শিক্ষার মাধ্যমে দেশ, সমাজ, সংস্কৃতি তথা গোটা জাতি উপকৃত হবে। প্রকৃত শিক্ষিত ছাত্ররাই দেশের ভবিষ্যৎ কর্ণধার।
ছাত্রজীবনের ভবিষ্যৎ
ছাত্রজীবনের ভবিষ্যৎঃ আজকের শিশু-কিশোর আগামী দিনের ভবিষ্যৎ কাণ্ডারী। আজকের শিশু-কিশোররাই প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ভবিষ্যতে দেশের দায়িত্বশীল নাগরিক হবে। একজন দায়িত্ববান নাগরিক হতে হলে অবশ্যই একজন ছাত্রকে কঠোর অনুশীলন, পরিশ্রম ও অধ্যয়ন করতে হবে। যে কোন দেশ ও জাতির উন্নতির মূল চাবিকাঠি হল শিক্ষা। শিক্ষা অর্জনের জন্য প্রয়োজন কঠোর অধ্যবসায় আর নিরলস পরিশ্রম। ছাত্রসমাজের দায়িত্ব শুধু পড়াশুনার মাঝে সীমাবদ্ধ থাকলেই চলবে না। অধ্যয়নের সাথে সাথে তাকে মানব চরিত্রের নানাবিধ সদগুণাবলিও অর্জন করতে হবে। তাই এ সময়েই উন্নত চরিত্র লাভের জন্য আত্মনিয়োগ করা প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর কর্তব্য।
ছাত্রজীবনের মূল লক্ষ্য
ছাত্রজীবনের মূল লক্ষ্যঃ কতিপয় নির্ধারিত পাঠ মুখস্থ করে পাস করাই ছাত্রজীবনের মূল লক্ষ্য নয়। ছাত্রজীবনে লেখাপড়ার পাশাপাশি নিজেকে মহৎ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। দেশব্রতী, সেবাপরায়ণ, মাতা-পিতা, শিক্ষক-গুরুজনদের প্রতি শ্রদ্ধাভক্তি, সততা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সময়ের সদ্ব্যবহার এবং আত্মবিশ্বাসী মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার সাধনাও ছাত্রজীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। শুধু পুঁথিগত বিদ্যা অর্জনে সার্বিক জ্ঞান লাভ হয় না। বহির্বিশ্বের জ্ঞানভাণ্ডার থেকেও জ্ঞান অর্জন করতে হবে। ছাত্রজীবনের মূল লক্ষ্য অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম ও নিরলস সাধনার কোন বিকল্প নেই।
ছাত্রজীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য
ছাত্রজীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ ছাত্রজীবন শুধু আত্মনির্মাণের সময় নয়, জাতি গঠনেরও সময়। ছাত্রদের সক্রিয় অংশ গ্রহণই জাতির উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে পারে। ছাত্ররাই দেশের ভবিষ্যতে শিক্ষা ও সংস্কৃতির দায়িত্ব বহন করবে, দেশ ও জনগণের সেবায় আত্মনিয়োগ করবে এবং জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেবে। এজন্য ছাত্রসমাজকে জ্ঞান-বিজ্ঞানে উন্নত, শারীরিক শক্তিতে বলীয়ান হতে হবে। জ্ঞান-বিজ্ঞানে ব্যুৎপত্তি লাভ করার জন্য পাঠ্যপুস্তকসমূহ ছাড়াও বাইরের নানা প্রকার গ্রন্থ পাঠ করতে হবে। ছাত্রজীবনের গুরুদায়িত্ব ও কঠোর কর্তব্য পালন করতে হলে শিক্ষার্থীকে পরিশ্রমী ও অধ্যবসায়ী হতে হবে। অধ্যবসায় আর কঠোর পরিশ্রমই সহজাত ক্ষমতার বিকাশ ঘটিয়ে শিক্ষার্থীকে সফলতার পথে এগিয়ে নেয়।
দেশাত্মবোধ
দেশাত্মবোধঃ দেশকে নতুন আঙ্গিকে গড়ার জন্য ছাত্রসমাজকে সঠিক পথ অনুসরণ করতে হবে। ছাত্রসমাজের একটাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত আর তাহল- দেশ, জাতি ও সমাজের কল্যাণ সাধন। ছাত্রজীবনে স্বার্থত্যাগ ও স্বদেশপ্রেমের ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হলে ভবিষ্যতে দেশের জন্য যে কোন সংকট মুহূর্তে ত্যাগ স্বীকারে অনীহা আসবে না। তাই ছাত্রদের দেশপ্রেম, স্বাবলম্বন, ধর্মপরায়ণতা, উদারতা, জনগণের প্রতি ভালবাসা, সাহসিকতা প্রভৃতি গুণের অধিকারী হতে হবে। তবেই দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণ বয়ে আসবে।
নানাবিধ জ্ঞানার্জন
নানাবিধ জ্ঞানার্জনঃ জ্ঞানার্জনের জন্য বিদ্যালয়ের কতিপয় নির্ধারিত পাঠ্যপুস্তকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। শিক্ষার্থীকে পাঠ্যপুস্তকের সাথে সাথে পাঠ্য তালিকাবহির্ভূত ভাল বইপত্র পড়তে হবে। সৃজনশীল সাহিত্য, বিজ্ঞান, ভূগোল, ইতিহাস, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, দর্শনশাস্ত্র প্রভৃতি বিষয়ে প্রভূত জ্ঞান অর্জন করতে হবে। নিজের মানস গঠনের জন্য একদিকে যেমন প্রয়োজন সৎ ব্যক্তির সান্নিধ্য, সদৃগ্রন্থ পাঠ, ধর্মভক্তি, দৈহিক গঠনের জন্য তেমনি প্রয়োজন নিয়মিত শরীরচর্চা, সময়মত খাদ্য গ্রহণ, খেলাধুলার অনুশীলন ইত্যাদি। প্রকৃত জ্ঞান লাভ ও চিন্তাশক্তি বিকাশের পথে নানা বিষয়ে অনুশীলন আবশ্যক।
জনসেবা
জনসেবাঃ জনসেবামূলক কাজের মধ্যদিয়ে ছাত্রসমাজ দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারে। ছাত্রদের পল্লীউন্নয়ন কাজে এবং গরিব-দুঃখী, অসহায়, সুবিধাবস্থিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের কাছে ছাত্রসমাজ তাদের সেবার হাত প্রসারিত করতে হবে। গ্রামের অসচেতন ও নিরক্ষর জনসাধারণকে স্বাক্ষর জ্ঞানদান ও স্বাস্থ্যসচেতন করে তোলার দায়িত্বও পালন করতে হবে। সেবা সমিতি গঠনপূর্বক তারা সরকার থেকে বিভিন্ন প্রকার সাহায্য সহায়তা নিয়ে গ্রামের অবহেলিত লোকজন ও অসচ্ছল পরিবারগুলোকে সচ্ছল করে তুলতে পারে।
জনমত গঠন
জনমত গঠনঃ ছাত্ররা জনগণের মধ্যে প্রীতি ও ঐক্য স্থাপন করে জাতি গঠন কাজে দেশবাসীকে উদ্বুদ্ধ করতে পারে। সাহিত্যচর্চার মাধ্যমে জাতির মানস গঠনে সাহায্য করতে পারে। সভা-সমিতি ও নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের শিল্প ও সংস্কৃতিকে জাগিয়ে তুলতে পারে।
ছাত্রজীবনে বর্জনীয়
ছাত্রজীবনে বর্জনীয়ঃ ছাত্রজীবনে যে স্বাধীনতা ও আবেগ থাকে তাতে অনেক সময় বিপথে চলে যাবার সম্ভাবনা থাকে। ছাত্রদেরকে সমাজজীবনে কুসংস্কার, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মূল্যবোধের অবক্ষয়, আলস্য, বিভিন্ন প্রকার দেশা দ্রব্য ও অসৎ সঙ্গ তাদের অবশ্যই পরিহার করতে হবে। বাংলাদেশে বর্তমানে যে অসুস্থ রাজনীতির ধারা প্রবাহিত হচ্ছে তা থেকে অবশ্যই নিজেদেরকে মুক্ত রাখতে হবে। সমাজ থেকে এসব নেতিবাচক প্রবণতা দূর করার জন্য ছাত্রদেরকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। পরীক্ষায় নকলপ্রবণতা থেকে নিজেদের মুক্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে আন্তরিকভাবে।
উপসংহার
উপসংহারঃ ছাত্ররাই দেশ ও জাতির আগামী দিনের কর্ণধার। একটি দেশের ভবিষ্যৎ উন্নতি-অবনতি নির্ভর করে ছাত্রদের উপর। প্রত্যেক ছাত্রকে তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যে আত্মনিয়োগ করে একজন আদর্শ নাগরিকরূপে গড়ে ওঠতে হবে। ছাত্রদের কর্ম প্রেরণার দ্বারাই নির্মিত হবে দেশের প্রগতির ধারা। জ্ঞানার্জন যেমন তাদের দায়িত্ব তেমনি দেশ গঠনও তাদের দায়িত্ব। ছাত্রদের কর্তব্য ও দায়িত্বের সুষ্ঠু সমন্বয়ের মধ্যেই সমাজ ও দেশের মঞ্চঙ্গল নিহিত।
আমাদের শেষ কথা - ছাত্রজীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য pdf
এইখানে শেষ হলো আমাদের লেখা "ছাত্রজীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য রচনা" এই আর্টিকেলটা। Technewsbangla.info এই ওয়েবসাইটের কনটেন্ট ক্রিয়েটররা চাই নতুন তথ্য এবং টিপস সবাইকে জানানো বা শেখানোর জন্য তাই সাথেই থাকুন।
আমরা আশা করি "ছাত্রজীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য রচনা" এই আর্টিকেলটা আপনাদের অনেক উপকার হয়েছে। কারন এই আর্টিকেলে আমরা একসাথে দুই ভাবে "ছাত্রজীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য" রচনা টি শেয়ার করেছি।
ছাত্রজীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য pdf এই আর্টিকেলের মধ্যে আমরা সকল তথ্য সঠিক ভাবে শেয়ার করেছি যদিও কোন ভুল তথ্য থাকে তাহলে ক্ষমা করবেন এবং নিচে "Add Comment" এই লেখাতে ক্লিক করে আমাদের জানান।
Follow my blog with Bloglovin