প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন - আমাদের দেশে সকল জেলা / প্রায় ৬৪ টি জেলার মধ্যে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এর শাখা রয়েছে। শুধু তাই নয় এই প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের এর সাহায্যে দেশের প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক দেশের বাইরে অবস্থান করেছে। তাই বলা যাই প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এর অনেক সুবিধা রয়েছে প্রবাসী দের ক্ষেত্রে।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বাংলাদেশ সরকার দ্বারা প্রতিষ্টিত / পরিচালিত। প্রবাসী কল্যাণ দের মূল উদ্দেশ্য প্রবাসী দের সাহায্য করা। যেই ব্যাক্তি পাসপোর্ট তৈরি করার পর বিদেশ যেতে চাই এবং যারা বিদেশের জমিন থেকে চলে এসে দেশে ব্যাবসা করতে চাই তাদেরকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোনের সুবিধা দিয়ে থাকবে।

ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে এই ব্যাংকের চাহিদা। যাইহোক আপনি যদি প্রবাসী ব্যাংক লোনের জন্য আবেদন করতে চান তাহলে নিচের দেওয়া সকল প্রক্রিয়া দেখে নিন / শিখে নিন।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন করতে পারবেন তারাই যারা বিদেশ যেতে চাই কিন্তু আর্থিক সমস্যার কারনে বিদেশ যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না তাদের জন্য শুধু মাত্র প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোনের সুবিধা রয়েছে। আশা করি এর চেয়ে বেশি কিছু বুঝাতে হবে না। বর্তমানে অনলাইনের মাধম্যে আপনিও আবেদন করতে পারবেন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোনের জন্য।


প্রবাসী বলতে আপনার থেকে পাসপোর্ট থাকতে হবে। অনলাইনের মাধ্যমে আপনি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোনের জন্য আবেদন করতে চাইলে আপনার থেকে পাসপোর্ট এর তথ্য থাকা লাগবে বা প্রয়োজন হবে। যারা পাসপোর্ট তৈরি করেছেন কিন্তু আর্থিক সমস্যার কারনে বিদেশ যেতে পারতেছেন না অথবা ভিসা করতে পারতেছেন না তাদের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক অভিবাসন লোন ব্যাবস্থা করেছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।


আপনিও নিশ্চয়ই আপনার পরিবারের হাল ধরতে বিদেশের জমিনে যেতে চান, কিন্তু সমস্যা হলো আপনার ভিসা নেওয়ার টাকা নেই তার জন্য আপনি চাচ্ছেন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন এর মাধ্যমে ঋণ নেওয়ার জন্য। তার আগে আপনার থেকে জানতে হবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া এবং বিভিন্ন নিয়ম কানুন সম্পর্কে। আপনার থেকে জানতে হবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুবিধা এবং অসুবিধা সম্পর্কে।


যাইহোক আমরা এই আর্টিকেলে চেষ্টা করেছি সকল বিষয় সংক্ষিপ্ত ভাবে তুলে ধরতে। যায় হোক আমরা এতে সফল হয়েছি। আপনাদের এই আর্টিকেলে সকল তথ্য জানতে পেরেছি। যাইহোক তার জন্য এই আর্টিকেলটা শেষ পর্যন্ত পড়ুন এবং ভুল তথ্য থাকলে আমাদের জানিয়ে দিন কমেন্ট করে। 

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন কত প্রকার এবং কি কি?

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন ( Bank Loan ) সাধারনত ৪ প্রকার হয়ে থাকে। এখন জেনে নিন এই গুলি কি কি? যায় হোক নিচে আলোচনা করা হয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন ৪ প্রকার কি কি তার সম্পর্কে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন গুলি হলোঃ

  • অভিবাসন ঋণ / মাইগ্রেশন লোন
  • বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ
  • পূণর্বাসন ঋণ (রিহাবিলিটেশন লোন)
  • বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ

যাইহোক আপনি আজকে জানতে পারবেন এই চার প্রকার প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সম্পর্কে। তবে আপনার থেকে অভিবাসন ঋণ / মাইগ্রেশন লোন সম্পর্কে জানা থাকলে হবে। আপনি চাইলে অভিবাসন ঋণ / মাইগ্রেশন Loan এর মাধ্যমে ঋণ নিতে পারবেন। এই চার প্রকার প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন গুলি কিভাবে নিতে হয় সমস্ত বিষয় জানতে পারবেন এই একটি আর্টিকেলে। আগেও বলছিলাম আপনি এই পোস্টে সকল তথ্য পেয়ে যাবেন এমনকি আপনিও আরো ভালোভাবে বুঝতে একটি ভিডিও দেওয়া হবে।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিতে কি কি কাগজ লাগে?

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিতে কি কি কাগজ লাগে?

চার প্রকার প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন ( Bank Loan ) সম্পর্কে জানার আগে আপনি জেনে নিন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিতে কি কি কাগজ লাগে? আপনি যখন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন আবেদন ফর্ম টি ডাউনলোড করবেন তখন আপনার থেকে কিছু তথ্য দিতে হবে ঐ ফর্ম টিতে। তাই জেনে নিন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিতে কি কি লাগে।


প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ( probashi kallyan bank ) থেকে অভিবাসন লোন ( Bank Loan ) পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র সমূহঃ

১. করোনা ভাইরাসের ঠিকা সনদ ( যদিও এখন কম লাগে ) যদি লাগে তবে।
২. যে আবেদন করবেন তার জাতীয় পরিচয় পত্র।
৩. ( ০২ - ০৩ ) কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি লাগবে।
৪. দই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
৫. আবেদনকারীর National ID কার্ড এর ছবি।
৬. ইউনিয়ন পরিষদ অথবা পৌরসভার সার্টিফিকেটের সত্যায়িত ফটোকপি লাগবে।
৭. আবেদনকারীর বিভিন্ন সনদ পত্র ( বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা ) ফর্ম এ বলে দেওয়া হবে।
৮. মেডিকেল সার্টিফিকেট অথবা শারীরিক যোগ্যতা।
৯. আবেদন করার সময় একজন জামিনদার থাকা লাগবে সেইটা হতে পারে পরিবারের কেউ। তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ( Bank Account ) এর চেক এর ৩ টি পাতা লাগবে এবং জাতীয় পরিচয় পত্র থাকা লাগবে।
১০. শিক্ষাগত যোগ্যতার সত্যায়িত ফটোকপি।
১১. কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট এর সত্যায়িত ফটোকপি। ( যদি লাগে ) অনেক সময় লাগে না এইটি স্কিপ করতে পারেন।
১২. লোন ফেরতের হলফ নামা (ষ্ট্যাম্পে লিখিত)।
১৩. বিমান Ticket ফটোকপি ( যদি প্রয়োজন হয় তাহলে)

উপরের এই কাগজ গুলি আপনার থেকে থাকা লাগবে। আর আপনি যদি ঘরে বসে অনলাইনে আবেদন করতে না পারেন তাহলে দোকানে গিয়ে যারা এইসব কাজ করে থাকে তাদের দিয়ে করাতে পারেন। আপনি ফর্ম এ আরো অপশন দেখতে পারবেন যেইগুলো আপনার নেই সেইগুলি স্কিপ করতে পারেন, তবে উপরের সকল কাগজ পত্র থাকা লাগবে। এইগুলি বাদ দেওয়া যাবে না।


আপনার একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে। তাহলে আপনাকে Bank Loan এর সুবিধা দিবে না হলে আপনি loan পাবেন না। আপনার যদি আগে থেকে একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকে তাহলে আবেদন করতে পারবেন, না হলে নতুন পাসপোর্ট করে নিতে পারেন। পাসপোর্ট ছাড়া আপনাকে loan দিবে না। আর যদি আপনার থেকে এই বিষয়টি জামেলা লাগে তাহলে আপনার নিকটে কোন ব্যাংক এ যেতে পারেন, আপনি যেকোনো ব্যাংকের সাহায্যে আবেদন করতে পারেন।

অভিবাসন ঋণ / মাইগ্রেশন লোন | প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক অভিবাসন ঋণ ( Loan )

এখন জেনে নিন আপনি কিভাবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে অভিবাসন ঋণ বা মাইগ্রেশন লোন নিবেন। অভিবাসন ঋণ নেওয়ার জন্য আপনার থেকে প্রথমে একটি ফর্ম ডাউনলোড করতে হবে যদি আপনি অনলাইনের মাধম্যে লোনের ( Loan ) জন্য আবেদন করতে চান।

ফর্মটি ডাউনলোড করতে চাইলে আপনি এই লিঙ্কে ক্লিক করে ফর্মটি ডাউনলোড করে নিন। এই ফর্ম ( Form ) টি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে অভিবাসন ঋণ এর জন্য। 


যাইহোক আপনি চাইলে এইটি মোবাইলের মাধ্যমে পূরন করতে করবেন তার জন্য আপনার থেকে ফর্ম টি ডাউনলোড করতে হবে এবং কোন কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে প্রিন্ট করে নিতে হবে এই ফর্ম টি। ফর্ম টি নেওয়া হলে আপনি উপরের বলা সমস্ত কাগজ পত্রের তথ্য অনুযায়ী পূরন করে নিন এবং যেকোনো ব্যাংক এ গিয়ে যোগাযোগ করুন। এর আগে এই লিঙ্কে ক্লিক করে জেনে নিন প্রবাসী কল্যান ব্যাংকের সকল শাখা সমূহ।

অভিবাসন ঋণ কারা পাবে?

যারা বিদেশ যেতে চান কিন্তু আর্থিক সমস্যার কারনে যেতে বিদেশ যেতে পারতেছেন না বা ভিসা নিতে পারতেছেন তাদের জন্য অভিবাসন ঋণ এর সুবিধা ব্যাবস্থা করা হয়েছে। যাইহোক জেনে নিন অভিবাসন ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা কি?

অভিবাসন ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা কি?

অভিবাসন ঋণ নেওয়ার জন্য কিছু যোগ্যতা থাকা লাগবে সেইগুলি হলোঃ

১. আবেদনকারী বিদেশে চাকরীর বৈধ ভিসা থাকতে হবে।
২. আবেদনকারীর আর্থিক ভাবে সচ্ছলতা থাকতে হবে।
৩. ১৮ বছরের বেশি হতে হবে আবেদনকারী।
৪. সমস্ত লোন পরিশোধ করার দায়িত্ব গ্রহণ (গ্যারান্টার) থাকতে হবে।
৫. বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।

উপরের এইসব যোগ্যতা আপনার থেকে থাকলে আপনি অভিবাসন ঋণ নেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

অভিবাসন ঋণ ( Loan ) সীমা, মেয়াদ এবং সুদের হার

নতুন ভিসা দের ক্ষেত্রে আপনাকে সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা দিবে অভিবাসন ঋণ এর ক্ষেত্রে। আর সেই ক্ষেত্রে এই ঋনের মেয়াদ থাকবে সর্বোচ্চ ৩ বছর পর্যন্ত।

আর রি-এন্ট্রি ভিসা দের ক্ষেত্রে আপনাকে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা দিবে অভিবাসন ঋণ এর ক্ষেত্রে। আর সেই ক্ষেত্রে এই ঋনের মেয়াদ থাকবে সর্বোচ্চ ২ বছর পর্যন্ত।


অভিবাসন ঋণ এর ক্ষেত্রে ছেলে এবং মেয়ে উভয় ক্ষেত্রে সুদের হার ৯ % শতাংশ।

বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ

বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ এই ঋণের সুবিধা পাবেন কোন প্রবাসী যদি বিদেশে চাকরি করে থাকে, যদি তার পরিবারের কারো ঋণ প্রয়োজন হয় তাদের এই ঋণের ব্যাবস্থা করা হবে। ( বাবা, মা, ভাই, বোন, স্বামী, স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে, পরিবারের কেউ )। এইরকম প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ঋণের সুবিধা কে বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ বলা হয়ে থাকে। আশা করি আপনাদের বুঝাতে পেরেছি বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ এই ঋণের সম্পর্কে।

বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা, কাগজ পত্র, নিয়ম?


১. ফর্ম পুরন করতে হবে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এর যেকোনো শাখায় এই ফর্ম পাওয়া যাবে।
২. আপনার নিকটে যেকোনো প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এর শাখায় গিয়ে আবেদন করতে হবে।
৩. আবেদনকারীর ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে এবং বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, ইউনিয়ন বা পৌরসভা থেকে প্রাপ্ত সনদ পত্র লাগবে ।
৪. একজন জামিনদার লাগবে। হতে পারে; পরিবারের কেউ।
৫. জামিনদারের ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে এবং বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, ইউনিয়ন বা পৌরসভা থেকে প্রাপ্ত সনদ পত্র লাগবে।
৬. আবেদনকারীর ট্রেড লাইসেন্স থাকলে সেটি দেখতে হবে।
৭. ১ বছরের আয় - ব্যয় সকল তথ্য জানতে হবে।

উপরের দেওয়া তথ্য গুলি আপনার থেকে অব্যশই থাকা লাগবে। তবে আরো তথ্য লাগবে বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ এর জন্য আবেদন করার সময়। তবে চিন্তার কারন নেই আপনি ব্যাংকে গেলে আপনাকে ব্যাংক থেকে বলে দেওয়া হবে কি কি লাগবে। আমরা উপরে যেই গুলি বলেছি সেইগুলি বাধ্যতামূলক।

বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার লোনের মেয়াদ, সীমা এবং সুদের হার


এখন জেনে নিন বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার লোন সীমা সম্পর্কে। বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ এর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা প্রধান করা হবে। তবে জামানত ছাড়া সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা নেওয়া যাবে। এই ছাড়াই জামানত প্রধান করা হবে ৫ লাখ টাকা এবং ৫ লাখ টাকার বেশি হলে ঋণ গ্রহীতার স্থাবর সম্পত্তি রেজিস্ট্রি মর্টগেজ মূল্যে ব্যাংকের কাছে সকল কিছু দায়বদ্ধ থাকবে।


এই ছাড়াও জেনে নিন বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ মেয়াদ কাল কত। বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার লোন পরিশোধ করার মেয়াদ থাকে সর্বোচ্চ ১০ বছর। আরো জেনে নিন বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার সুদের হার কত। বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার লোনের সুদের হার ছেলে ক্ষেত্রে আলাদা আবার মেয়েদের ক্ষেত্রে আলাদা। মেয়েদের জন্য ৭ % শতাংশ হবে সুদের হার এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে সুদের হার হবে ৯ % শতাংশ।

পূণর্বাসন ঋণ (রিহাবিলিটেশন লোন)


পূণর্বাসন ঋণ ( Loan ) এই লোনের সুবিধা শুধু তারাই পাবেন যারা বিদেশে গেছেন কিন্তু দুঃখের বিষয় কোন কারনে বিদেশ থেকে দেশে ফিরে আসতে হচ্ছে এবং দেশে এসে আপনি কিছু করতে চান কিন্তু আপনার থেকে ভালো পরিমাণ টাকা নেই কিছু করার জন্য সেই ক্ষেত্রে আপনি চাইলে পূণর্বাসন ঋণ এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।


তাহলে বুঝতে পেরেছেন পূণর্বাসন ঋণ কারা নিতে পারবেন এবং কাদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য। যাইহোক এখন জেনে নিন পূণর্বাসন ঋণ নেওয়ার নিয়ম, যোগ্যতা।

পূণর্বাসন ঋণ নেওয়ার নিয়ম, যোগ্যতা


১. ফর্ম পুরন করতে হবে। প্রবাসী Bank বা পূণর্বাসন লোন ব্যাংক থেকে এই ফর্মটি নিতে হবে।
২. আবেদনকারীর ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, জাতীয় পরিচয় পত্র, এবং বর্তমান স্থায়ী ঠিকানা, পৌরসভার অথবা ইউনিয়ন থেকে প্রাপ্ত সনদ পত্র জমা দিতে হবে।
৩. একজন জামিনদার লাগবে। এবং তার ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, জাতীয় পরিচয় পত্র, এবং বর্তমান স্থায়ী ঠিকানা, পৌরসভার অথবা ইউনিয়ন থেকে প্রাপ্ত সনদ পত্র জমা দিতে হবে।
৪. আবেদনকারীর যদি ট্রেড লাইসেন্স থাকে তাহলে ফটোকপি জমা দিতে হবে।
৫. কমপক্ষে ২ বছরের আয়-ব্যয় সকল তথ্য লাগবে।

পূণর্বাসন ঋণ নেওয়ার জন্য উপরের তথ্য গুলি অব্যশই থাকা লাগবে। তবে এই তথ্য গুলি বা কাগজ পত্র ছাড়াও আরো অনেক তথ্য দরকার হবে সেইগুলি ব্যাংক থেকে আপনি জেনে নিতে পারবেন।

পূণর্বাসন ঋনের মেয়াদ, সীমা ও সুদের হার

এখন জেনে নিন পূণর্বাসন ঋনের ( Loan ) এর সীমা সম্পর্কে। একজন ব্যাক্তি বা আবেদনকারী সর্বোচ্চ পূণর্বাসন ঋণ এর মাধ্যমে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত লোন ( Loan ) নিতে পারবেন।


তবে আরেকটি কথা জেনে নিন। জামানত ছাড়াই একজন ব্যাক্তিকে সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা দেওয়া হবে। আর যদি জামান এর মাধ্যমে নিতে চান তাহলে ৩ লাখ টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হবে।

পূণর্বাসন ঋনের পরিশোধ এর সময় সর্বোচ্চ ১০ বছর এবং পূণর্বাসন ঋনের মেয়ে এবং ছেলে উভয়ের ক্ষেত্রে সুদের হার ৯ % শতাংশ।

বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ


২০২০ সাল থেকে এই লোনের সুবিধা চালু হয়েছে অর্থাৎ করোনা ভাইরাসের কারনে এই লোনের সুবিধা চালু করা হয়েছে। যখন করোনা ভাইরাসে কারনে সকল বিদেশি দের বাড়িতে চলে আসতে হচ্ছে এবং অনেকে মারা যাচ্ছে। সেই ক্ষেত্রে তার পরিবারের কোন একজনকে পুর্নবাসনের জন্য যে ঋণ সুবিধা দেওয়া হবে সেইটা বিশেষ পুর্নবাসন ঋণ। আশা করি বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ এর সম্পর্কে বুজতে পেরেছেন।

বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ নেওয়া যোগ্যতা, কাগজ পত্র, নিয়ম

১. এই ঋণ টি শুধু ২০২০ সালের জানুয়ারি ১ তারিখের পর দেশে ফিরে আশা ব্যাক্তি দের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ( যদি করোনা ভাইরাস থাকে )।
২. আবেদনকারীর পাসপোর্ট এর ফটো কপি।
৩. BMET স্মার্ট কার্ড যদি থাকে।
৪. আবেদনকারীর ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, জাতীয় পরিচয় পত্র, এবং বর্তমান স্থায়ী ঠিকানা, পৌরসভার অথবা ইউনিয়ন থেকে প্রাপ্ত সনদ পত্র জমা দিতে হবে।
৫. একজন জামিনদার লাগবে। এবং তার ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, জাতীয় পরিচয় পত্র, এবং বর্তমান স্থায়ী ঠিকানা, পৌরসভার অথবা ইউনিয়ন থেকে প্রাপ্ত সনদ পত্র জমা দিতে হবে।


বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ নেওয়ার জন্য বা আবেদন করার জন্য উপরের বলা সকল কাগজ পত্র থাকা লাগবে। এই ছাড়াও আরো অনেক তথ্য এবং কাগজ পত্র লাগবে যেইগুলো ব্যাংক থেকে বলে দেওয়া হবে।

বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ এর সীমা, মেয়াদ, সুদের হার


বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ এই ঋণের নিয়ম উপরের বাকি ঋণের মতো। তবে বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ এর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে ( একক ঋণের ক্ষেত্রে )। এই ঋণের মেয়াদ ৫ বছর এবং সুদের হার ৪ % শতাংশ।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুবিধা

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুবিধা

প্রবাসী ব্যাংক লোন এর সুবিধা তো আপনি নিজেই বুঝতে পারতেছেন। একজন বিদেশি দের জন্য এই ঋণের কোন বিকল্প নেই।

বিদেশে থাকা অবস্থায় যদি কোন প্রবাসী কষ্টে পরে আর্থিক দিক দিয়ে সেই ক্ষেত্রে তাকে প্রবাসী ব্যাংক থেকে ঋণের সুবিধা দিবে।


কোন প্রবাসী যদি পুনরায় দেশে ফিরে আসেন এবং দেশে কোন ব্যাবসা করতে চান তাহলে তাদের প্রবাসী ব্যাংক ঋণ এর সুবিধা দেওয়া হবে। এই ছাড়াই বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। সুদের হার মোটামুটি ভালো বলা যাই। অনেক দিয়ে সুবিধা রয়েছে এই লোনের ক্ষেত্রে।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক হেল্প লাইন নাম্বার | Probashi Kallyan Bank helpline Number

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক হেল্প লাইন নম্বর হলো + ৮৮-০২-৪৮৩২২৮৭৩। Probashi Kallyan Bank helpline Number টি সঠিক কিনা যাচাই করতে এইখানে ক্লিক করুন।

  • প্রধান কার্যালয়, হেল্প ডেস্ক : + ৮৮-০২-৪৮৩২২৮৭৩
  • প্রধান কার্যালয়
  • প্রবাসী কল্যাণ ভবন
  • ৭১-৭২ পুরাতন এলিফ্যান্ট রোড, ইস্কাটন, ঢাকা -১০০০
  • ওয়েব : www.pkb.gov.bd
  • ই - মেইল : info@pkb.gov.bd

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ব্রাঞ্চ | Probashi Kallyan Bank all branch list

এই লিঙ্কে ক্লিক করে দেখে নিয়ম Probashi Kallyan Bank all branch list ( প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ব্রাঞ্চ )। এই লিঙ্কে ক্লিক করলে আপনি সমস্ত প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ব্রাঞ্চ এর সম্পর্কে জানতে পারবেন।


আমাদের শেষ কথাঃ

এইখানে শেষ হলো আমাদের লেখা "প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন" এই আর্টিকেলটা। আশা করি আপনারা জানতে পেরেছেন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নেওয়ার নিয়ম, কত প্রকার, মেয়াদ, সীমা ইত্যাদি সম্পর্কে। আপনি চাইলে খুব সহজে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন যদি আপনি উপরের দেওয়া সমস্ত নিয়ম মেনে চলেন।


উপরে বলা হয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র, ফর্ম ইত্যাদি সম্পর্কে। আপনার থেকে এইসব কাগজ পত্র সংগ্রহ করে নিতে হবে এবং যেকোনো ব্যাংক এ গিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তা দের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। আশা করি বিষয় টি পরিষ্কার। যাইহোক আমরা যদি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন এই আর্টিকেলে কোন ভুল তথ্য দিয়ে থাকি তাহলে আমাদের ক্ষমা করবেন এবং কমেন্ট করে আমাদের জানান।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরো পড়ুনঃ