প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ
প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ সম্পর্কে আজকে আমরা আলোচনা করব। যারা বেকার ঘরে বসে আছেন অথবা যারা ব্যাবসা করতে চান কিন্তু টাকা নেই তাহলে খুব সহজে প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ এর মাধ্যমে ঋণ নিতে পারবেন। যারা বেকার ঘরে বসে থাকতে চান না তাদের জন্য এই ঋণে অনেক উপকার হবে। প্রধানমন্ত্রী লোন থেকে চাইলে সর্বনিম্ন ৫০ হাজার থাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত নিতে পারবে।

আমাদের দেশে বেকার এর সংখ্যা অনেক। অনেকে বেকার ঘরে বসে থাকে। নিজের বাবা - পরিবারের টাকায় চলে। ঘুরে বেড়ায়। কোন কাজ কর্ম করে না। তাদের কথা চিন্তা করে এবং দেশের বেকার অবস্থা দূর করার জন্য প্রধানমন্ত্রী লোন এর সুবিধা চালু করা হয়। এই ঋণের সুদের হার অনেক কম অন্যান্য ব্যাংকের চাইতে। একজন শিশু থেকে শুরু করে যে কেউ এই লোন নিতে পারবেন।
যা জানতে পারবেন
- প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ
- প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ আবেদন করার পদ্ধতি
- প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ কত প্রকার
- প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ সুবিধা
- প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ অসুবিধা
- প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ ২০২২ - ২৩
প্রধান মন্ত্রী লোন এই লোন সম্পর্কে অনেকে জানেন আবার অনেকে জানেন না। বেশির ভাগই লোকেরা এই লোনের সম্পর্কে জানে না। প্রধান মন্ত্রী লোন তিন ধরনের হয়ে থাকে অর্থাৎ তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে সেইগুলি হলোঃ কিশোর ঋণ, শিশু ঋণ, তরুন্য ঋণ। বাংলাদেশ থেকে আপনি প্রধান মন্ত্রী লোন নিতে চাইলে আপনার থেকে কিছু যোগ্যতা থাকা লাগবে তাহলে আপনি প্রধান মন্ত্রী লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ গ্রামে বাড়ি করার জন্য ব্যাংক লোন।
বাংলাদেশে অবস্থানকারী তিন প্রজন্মের একজন মানুষ বাংলাদেশ টাকা লোনের জন্য আবেদন করতে পারবে। এই লোনের মাধম্যে আপনি চাইলে সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা ঋণ নিতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা লোনে মাধম্যে আপনি এই ঋণ টি নিতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনায় সুদের হার অনেক কম হয়ে থাকে অন্যান্য ব্যাংক এর তুলনায়। অনেক সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায় এই ঋণে।
প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ আবেদন করার পদ্ধতি
প্রধানমন্ত্রী লোন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে অথবা আবেদন করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে আপনি চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্ক অথবা আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাংক ইত্যাদি ব্যাংকের মাধ্যমে।
আরো পড়ুনঃ গরু খামার করার জন্য ব্যাংক লোন।
যখন একজন প্রার্থী এই লোনের জন্য যোগ্য হবে সে চাইলে প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা অনলাইনে আবেদন করতে পারবে। এই ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ আবেদন করার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হেল্পলাইন নম্বর এর মাধম্যে কল করে জানতে পারেন। হেল্পলাইন নাম্বারঃ ১৮০০১৮০১১১১।
প্রধানমন্ত্রী লোন কত প্রকার
প্রধানমন্ত্রী লোন তিন প্রকার অর্থাৎ তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর লোন বাংলাদেশ। প্রধান মন্ত্রী লোন গুলি হলোঃ কিশোর ঋণ, শিশু ঋণ, তরুন্য ঋণ। যাইহোক আপনি এখন জেনে নিন এই ঋণ গুলির সম্পর্কে। নিচে সবগুলি ঋণের সম্পর্কে আলাদা আলাদা ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ ৩৬ মাসের কিস্তিতে বাইক কিনুন।
কিশোর ঋণ বাংলাদেশঃ একজন কিশোর চাইলে খুব সহজে প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার সাহায্যে লোন বা ঋণ নিতে পারেন। একজন কিশোর চাইলে ৫০ হাজার টাকা থেকে পাঁচ লক্ষ ( ৫ লাখ ) টাকা পর্যন্ত ঋণ বা লোন নিতে পারবে। সে যদি উদ্যোক্তা হতে চায় এবং যোগ্য হয়। কিশোর ঋণ শিশুর ঋণ এর চেয়ে বেশি সুবিধা হয়ে থেকে। অর্থাৎ শিশু ঋণের চাইতে কিশোর ঋণ এর টাকা বেশি হয়ে থাকে।
শিশু ঋণ বাংলাদেশঃ কোন শিশু যদি ব্যাবসা করতে চাই এবং ব্যাবসার জন্য লোন নিতে চাই তাহলে সে চাইলে প্রধানমন্ত্রী লোন নিতে পারবে। সেইক্ষেত্রে তাকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা লোন দিবে বাংলাদেশ সরকার। এর চেয়ে বেশি লোন বা ঋণ নিতে পারবে না শিশু ঋণে। এবং এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে ৫ বছরের মধ্যে। সুদের হার হবে ১০% শতাংশ।
তরুণ ঋণ বাংলাদেশঃ প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনায় সবচেয়ে বেশি লোন পেয়ে থাকে তরুণ ঋণটিতে। একজন তরুণ চাইলে প্রধানমন্ত্রী লোন থেকে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবে। কিন্তু সেই তরুণ বেকার হলে হবে না। তার থেকে ব্যাবসা থাকতে হবে অথবা ইনকাম এর একটু সোর্স থাকতে হবে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে একজন তরুণ চাইলে এই ঋণ টির জন্য আবেদন করতে পারবে।
প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ সুবিধা
- অন্যান্য ব্যাংকের চেয়ে প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ সুবিধা বেশি হয়ে থাকে।
- প্রধানমন্ত্রী লোন এ সর্বোচ্চ কম সুদের হার সুবিধা দেওয়া হয়।
- প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনায় সুদের হার অনেক কম অন্যান্য ব্যাংকের চাইতে।
- যে কেউ প্রধানমন্ত্রী লোনের সুবিধা পাবে ( কৃষক থেকে শুরু করে গাড়ি চালক)।
- সর্বনিম্ন ৫০০০০ টাকা লোন নেওয়া যাবে।
- সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা ঋণ নেওয়া যাবে।
- প্রধানমন্ত্রী লোনের পরিশোধের মেয়াদকাল থাকবে তিন থেকে পাঁচ বছর।
- কোন ফ্রি প্রদান করতে হবে না।
- শিশু থেকে শুরু করে তরুণ যে কেউ এই লোনের সুবিধা পাবে।
- ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক বন্ধকের প্রয়োজন নেই।
- শহর ও গ্ৰাম এর যে কারো জন্য এই লোনের সুবিধা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ অসুবিধা
- প্রধানমন্ত্রী লোন অনেক সময় পাওয়া যায় না।
- মূদ্রা লোন এর কোনো নির্দিষ্ট সুদের হার নেই।
- বিভিন্ন কাগজ পত্র লাগে।
প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
প্রধানমন্ত্রী লোন নেওয়ার সময় কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকা লাগবে সেইগুলি হলোঃ
- ভোটার কার্ড
- আধার কার্ড
- প্যান কার্ড
- ব্যাংক অ্যাকাউন্ট
- ব্যবসার ঠিকানা প্রমাণ
- ব্যবসার বিবরণ
আমাদের শেষ কথা
এইখানে শেষ হলো আমাদের লেখা "প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ" এই আর্টিকেলটা। প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সকল তথ্য জানানোর চেষ্টা করেছি। যদি আমরা কোন ভুল তথ্য দিয়ে থাকি তাহলে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানান। প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা লোনের ব্যবস্থা বা সুবিধা দেওয়ার একটিই কারন সেটি হলো আমাদের দেশের বেকার অবস্থা দূর করা।
শিশু থেকে শুরু করে যেই কেউ এই লোনের সুবিধা পাবে। বিশেষ করে যারা ব্যাবসা করতে চাই তাদের জন্য এই লোনের সুবিধা বেশি হয়ে থেকে। তার জন্য আবেদনকারীকে একজন যোগ্য প্রার্থী হতে হবে। যার কাছে প্রধানমন্ত্রী লোন নেওয়ার যোগ্যতা থাকবে না সেই চাইলেও ঋণ নিতে পারবে না। যাইহোক এই সম্পর্কে আপনার কোন মতামত থাকলে নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে বলুন।