কৃষি কাজে বিজ্ঞান রচনা - কৃষিকাজে বিজ্ঞান
কৃষি কাজে বিজ্ঞান রচনা - কৃষিকাজে বিজ্ঞান - আমরা এই আর্টিকেলে আলোচনা করেছি কৃষি কাজে বিজ্ঞান রচনা সম্পর্কে। যাদের এই রচনাটি প্রয়োজন তারা আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। এই আর্টিকেলে কৃষি কাজে বিজ্ঞান রচনা টি একসাথে তিন ভাবে দেওয়া হয়েছে। তাহলে দেখে নিন আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি বিজ্ঞানের অবদান এই রচনাটি।

কৃষিকাজে বিজ্ঞান রচনা 20 পয়েন্ট - কৃষি কাজে বিজ্ঞান রচনা jsc
সূচনাঃ বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ। বর্তমান মানব সভ্যতা বিজ্ঞানের দান। বিজ্ঞানের বিস্ময়কর সৃষ্টি মানব জীবনের সর্বত্র তার কল্যাণ স্পর্শ রেখেছে। সর্বত্র এখন বিজ্ঞানের অব্যাহত জয়যাত্রা। এই জয়যাত্রা কৃষিক্ষেত্রেও সমানভাবে প্রসারিত হচ্ছে। সারা বিশ্বে বিজ্ঞানের অভিনব আবিষ্কারের প্রেক্ষিতে কৃষিক্ষেত্রে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। তাই আমাদের দেশে কৃষির মত একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে বিজ্ঞানকে কিভাবে কাজে লাগানো যায় সে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
আমাদের কৃষির অবস্থাঃ
আমাদের কৃষির অবস্থাঃ আমাদের কৃষির অবস্থা মোটেও ভাল নয়। উন্নত দেশগুলোতে কৃষিকাজে বিজ্ঞানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠলেও আমাদের দেশে কৃষির সাথে বিজ্ঞানের সেই সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি। মান্ধাতার আমলের চাষাবাদ ব্যবস্থা এখনও বিদ্যমান। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির চাষাবাদের সাথে নিরক্ষর চাষী এখনও পরিচিত হয়ে উঠতে পারেনি। আধুনিক কৃষি ব্যবস্থা প্রয়োগের মত জ্ঞান ও অর্থ তাদের নেই। বদের ফলে জমি থেকে ফসল বেশি আসছে না। তাই ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার সাথে সঙ্গতি, আর রক্ষা করতে আমাদের কৃষি ব্যবস্থা ব্যর্থ হচ্ছে।
কৃষিতে বিজ্ঞানের অবদানঃ
কৃষিতে বিজ্ঞানের অবদানঃ অন্যান্য ক্ষেত্রের মত কৃষি কাজেও বিজ্ঞানের অবদান রয়েছে। বর্তমানে কৃষি কাজে বিজ্ঞানের প্রয়োগ হওয়ায় কৃষির যথেষ্ট উন্নতি সাধিত হয়েছে। চাষাবাদ পদ্ধতি এখন যান্ত্রিকীকরণ করা হয়েছে। আদিম লাঙ্গল-মই প্রযুক্তি পরিহার করে বর্তমানে ট্রাক্টরের সাহায্যে অতি স্বল্প সময়ে, স্বল্প পরিশ্রমে অধিক পরিমাণ জমি চাষাবাদ করা হচ্ছে। কৃষি উৎপাদনের সামগ্রিক ব্যবস্থায় বিজ্ঞান অবদান রেখেছে। বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণে বিজ্ঞানের সহায়তা নেয়া হচ্ছে। সার, সেচ ইত্যাদি ক্ষেত্রেও বিজ্ঞানের ব্যবহার হচ্ছে। সর্বোপরি বিভিন্ন কৃষিজ ফসল নিয়ে গবেষণা করে উন্নত মানের ও বেশি পরিমাণে ফলনের বীজ আবিষ্কার করা হয়েছে। শুষ্ক মরুভূমির মত জায়গাতেও সেচ, সার ও অন্যান্য বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ায় চাষাবাদ করে সোনার ফসল ফলানো হচ্ছে। এসব অগ্রগতির ফলে বিশ্বের বহু দেশে কৃষি উৎপাদন অনেক বেড়েছে। এক কথায় বর্তমানে বিজ্ঞান কৃষিক্ষেত্রে সূচনা করেছে এক যুগান্তকারী বিপ্লব।
আমাদের কৃষি কাজে বিজ্ঞানঃ
আমাদের কৃষি কাজে বিজ্ঞানঃ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের দেশে কৃষিকাজে বিজ্ঞানের ব্যাপক ব্যবহার এখনও সম্ভবপর হয়নি। তবে ইতোমধ্যে বিজ্ঞানের প্রভাব আমাদের কৃষি ক্ষেত্রেও পড়েছে। সীমিত আকারে হলেও কোন কোন দিক দিয়ে বিজ্ঞানের অবদানে আমাদের কৃষি ব্যবস্থার উন্নতি সাধিত হচ্ছে। জমি কর্ষণের জন্য ট্রাকটার ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রকৃতির ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল না হয়ে পাম্প এবং গভীর ও অগভীর নলকূপের সাহায্যে পানি সেচ দেওয়া হচ্ছে। পোকামাকড় দমনের জন্যেও সাহায্য নেয়া হচ্ছে বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তির। শস্য মাড়াই এবং শস্য ভাঙ্গানোর কাজ হচ্ছে কলের সাহায্যে। ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে উন্নতমানের রাসায়নিক সার। বীজ সংরক্ষণ ব্যবস্থাও হচ্ছে বৈজ্ঞানিক প্রণালীতে। পূর্বে যে জমিতে এক ফসল ফলানো হত সেখানে বিজ্ঞানের সাহায্যে তিন ফসল ফলানো হচ্ছে।
কৃষিকার্যে বিজ্ঞানের সফল প্রয়োগের উপায়ঃ
কৃষিকার্যে বিজ্ঞানের সফল প্রয়োগের উপায়ঃ কৃষিভিত্তিক দেশ হিসেবে কৃষির উন্নতির ওপরই আমাদের দেশের সামগ্রিক উন্নতি নির্ভরশীল। কিন্তু কৃষকদের অজ্ঞতার জন্য বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি এবং যন্ত্রপাতি আমরা ব্যাপকভাবে ব্যবহার করতে পারছি না। তাই প্রথমেই দেশে শিক্ষার হার বাড়াতে হবে। কৃষকদের আধুনিক কৃষি পদ্ধতির সঙ্গে পরিচয় করাতে হবে। বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি কৃষি সংস্থা বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে এবং প্রযুক্তিতে কৃষির ওপর গবেষণা চালাচ্ছে। দেশের কৃষকদের এ পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফল জানিয়ে দেবার ব্যবস্থা করতে হবে এবং তারা যাতে বিজ্ঞানসম্মতভাবে কৃষিকাজ করতে পারে সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। কৃষিবিদ্যায় উচ্চ শিক্ষাপ্রাপ্ত কৃষি কর্মীদের গ্রামে গ্রামে কৃষকদের আধুনিক পদ্ধতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে। হাতে-কলমে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রতিটি কৃষককে সচেতন ও দক্ষভাবে গড়ে তুলতে পারলে বাংলাদেশের কৃষি কাজে বিজ্ঞানের সর্বাঙ্গীন প্রয়োগ ত্বরান্বিত হবে এবং এদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি অধিকতর নিশ্চিত হবে। অবশ্য বর্তমানে সরকার ও বিভিন্ন এন. জি. ও. গ্রাম্য যুবকদের কৃষি বিষয়ক পদ্ধতি সম্বন্ধে কিছু কিছু প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে। তবে এটি প্রয়োজনের তুলনায় অতি নগণ্য। সেজন্য সহযোগিতা ও আন্তরিকতার মনোভাব নিয়ে কৃষি উন্নয়নে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বনে দেশবাসীসহ সরকারকেও এগিয়ে আসা উচিত।
উপসংহারঃ
উপসংহারঃ কৃষিক্ষেত্রে বিজ্ঞানের অবদান অসামান্য। তবে কৃষিক্ষেত্রে বিজ্ঞানের সর্বাঙ্গীন সফল প্রয়োগ তখনই সার্থক হবে, যখন ব্যাপকভাবে বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারাদির সাহায্যে শস্য উৎপাদন ও সংরক্ষণের মাধ্যমে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে দেশের অর্থনৈতিক বুনিয়াদ দৃঢ় ও মজবুত করা যাবে।
অন্যান্য আর্টিকেল দেখুন !!
কৃষি কাজে বিজ্ঞান রচনা ssc - কৃষি কাজে বিজ্ঞান রচনা ২৫ পয়েন্ট
কৃষি কাজে বিজ্ঞান রচনা ssc - নিচে শেয়ার করা হয়েছে ssc দের জন্য আরেকটি "কৃষি কাজে বিজ্ঞান রচনা"।
আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি বিজ্ঞানের অবদান - কৃষি ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার রচনা
ভূমিকাঃ বিজ্ঞান মানবজাতির জন্য এক মহান আশীর্বাদ। মানবজীবনের এমন কোন দিক নেই যেখানে বিজ্ঞানের কল্যাণ-স্পর্শ লাগে নি। অনিবার্যভাবে মানবজাতির আদিম পেশা কৃষিক্ষেত্রেও বিজ্ঞান তার আশীর্বাদ ঢেলে দিয়েছে। ফলে আধুনিক পদ্ধতির চাষাবাদের মাধ্যমে মানুষ তার ভাগ্য ফিরিয়েছে। তবে কৃষিকাজে বিজ্ঞানের এই নীরব বিপ্লব উন্নয়নশীল দেশগুলোতে তেমন একটা প্রভাব ফেলে নি। বাংলাদেশেও কৃষিক্ষেত্রে বিজ্ঞানের ব্যবহার কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় হয় নি। ফলে কৃষিক্ষেত্রে অর্জিত হয় নি পর্যাপ্ত উন্নয়ন ।
কৃষি ও কৃষিকাজঃ
কৃষি ও কৃষিকাজঃ মাটি কর্ষণ করে ফসলের সম্ভার ফলানোর প্রক্রিয়াটিই কৃষিকাজ নামে পরিচিত। আদিকালে মানুষ অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রামে কৃষিকাজের উদ্ভাবন করে। প্রকৃতির দানকে নিজের শক্তি ও সৃষ্টিক্ষমতায় রূপান্তর ঘটিয়ে সে গড়ে তুলেছে কৃষি ব্যবস্থা। কৃষির প্রথম উদ্দেশ্য মুখের আহার জুটানো হলেও পরবর্তীতে মানুষ শিল্প কাঁচামাল থেকে শুরু করে জীবনের সকল প্রকার উপকরণ কৃষি থেকে সংগ্রহ করতে শিখেছে। শিল্পযুগে এসে কৃষিক্ষেত্রেও মানুষ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ও উপকরণের ব্যবহার করেছে। ফলে আজ ভোঁতা কর্ষণ সামগ্রী ও পশুশক্তির পরিবর্তে ব্যবহৃত হচ্ছে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি। ফলে আদিম এই পেশাটিতে আজ এসেছে বৈচিত্র্য ও গতির ছোঁয়া ।
কৃষিকাজের গুরুত্বঃ
কৃষিকাজের গুরুত্বঃ কৃষিকাজ দিয়েই মানুষ পৃথিবীতে স্বপোষিত অর্থনৈতিক জীবনের সূত্রপাত করেছিল এই পৃথিবীতে এবং এখনও কৃষির ওপর নির্ভর করে মানবজীবনের ধারা বয়ে চলেছে। সারা বিশ্বের মানুষের খাদ্য, শিক্ষা উপকরণ, গৃহ ও অবকাঠামোগত উপকরণের মুখ্য যোগানদাতা কৃষি। বিশ্বের মোট আয়ের ২৭ ভাগ আসে কৃষি থেকে। মানুষের প্রয়োজন বিবেচনা করে কৃষিক্ষেত্রে অনবরত গবেষণা চলছে এবং এর পরিণামে উন্নত দেশগুলো তাদের কৃষিক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করেছে। বেশি করে ফলন বাড়িয়ে উন্নত দেশ একদিকে যেমন নিজেদের অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্য আনছে, তেমনি ঘাটতি দেশের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সরবরাহ করে মানবজাতিকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করছে।
কৃষিক্ষেত্রে বিজ্ঞানের অবদানঃ
কৃষিক্ষেত্রে বিজ্ঞানের অবদানঃ বিজ্ঞানের জয়যাত্রা আজ সর্বত্র স্বীকৃত। বিজ্ঞানের কল্যাণে অন্ধকার ধরণী আজ আলোকাভায় ঝলমল করছে। বিজ্ঞানের বদৌলতেই আজ ঊষর মরু হয়েছে সরস ও উর্বর, দুর্গম পাহাড়ের খাড়াই-উৎরাই পরিণত হয়েছে দিগন্ত বিস্তৃত সমভূমিতে, নদী পেয়েছে নতুন গতি, শুকনো ভূমিতে চলছে জল সিঞ্চন। জীবনের কর্মপ্রবাহের প্রতিটি স্তরে বিজ্ঞান তার অবদানের স্বাক্ষর বহন করে চলেছে। বিজ্ঞান গবেষণার মাধ্যমে উন্নত প্রযুক্তি ও নতুন নতুন প্রজাতির ফসল উদ্ভাবনের মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্রেও আজ বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। এখন কৃষি আর প্রকৃতিনির্ভর নয়। এক সময় একশ কোটি মানুষের খাদ্য বিশ্ব জোটাতে পারত না । অথচ বর্তমানে ছয়শ কোটি বিশ্ববাসীর জন্য উৎপাদিত হচ্ছে উদ্বৃত্ত খাদ্য সম্ভার। আর তা সম্ভব হয়েছে বিজ্ঞানেরই কল্যাণে ।
বাংলাদেশের কৃষিঃ
বাংলাদেশের কৃষিঃ সর্বক্ষেত্রে আমাদের পশ্চাৎপদতার পটভূমিতে কৃষিক্ষেত্রেও আমাদের প্রত্যাশিত অগ্রগতি আসে নি। কৃষি ও কৃষক বলতেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে জীর্ণ-দীর্ণ কৃষকের মুখ, কংকালসার বলদ আর প্রকৃতিনির্ভর উৎপাদন প্রক্রিয়া। কিশোর কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য কৃষকের ছবি অঙ্কন করেছেন এভাবেই—
"বহুদিন উপবাসী নিঃস্ব জনপদে,
মাঠে মাঠে আমাদের ছড়ানো সম্পদ,
কাস্তে দাও আমার এ হাতে।”
এ লেখা আজ থেকে অর্ধশত বছর আগে। আজও যে অবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে তা জোর দিয়ে আমরা বলতে পারি না। অথচ -- সনাতনভাবে কৃষিনির্ভর আমাদের এ দেশটিতে কৃষিক্ষেত্রে অগ্রগতি সাধনই ছিল সবচেয়ে জরুরি। বিস্ফোরণোম্মুখ জনসংখ্যার ভারে বাংলাদেশ আজ হিমশিম খাচ্ছে। জনসংখ্যার গুরুভার সৃষ্টি করেছে প্রকট খাদ্য সমস্যা। আমাদের দেশের প্রচলিত প্রাচীন পদ্ধতির চাষাবাদের কারণে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সমতা বজায় রেখে ফসল উৎপাদন করা যাচ্ছে না। তবে কৃষিকাজের প্রতিটি পর্যায়ে বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে কৃষি উৎপাদনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটানো যেতে পারে। শিল্পোন্নত জাপানও কৃষিপ্রধান দেশ। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আমাদের চেয়ে প্রায় ছয় গুণ অধিক ফসল উৎপাদন করছে তারা। অথচ আমাদের কৃষক সম্প্রদায় জমি চাষের জন্য গবাদি পশুচালিত সনাতন লাঙল ব্যবহার করে। কৃষি প্রযুক্তি এখনও আমাদের দেশে সুলভ নয়। প্রযুক্তি জ্ঞানও আমাদের সীমিত। ফলে আমাদের কৃষি আজও পিছিয়ে রয়েছে।
কৃষিক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহারঃ
কৃষিক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহারঃ কৃষিক্ষেত্রে বিজ্ঞানের বহুমুখী ব্যবহার লক্ষণীয়। কর্ষণ কাজে ব্যবহৃত হয় ট্রাক্টর। মেশিন দিয়ে বীজ বপন, চারা রোপণ, নিড়ানি দেওয়া, ফসল কর্তন, মাড়াই ও পরিবহন কাজ যন্ত্র দ্বারা করা যায়। ভূগর্ভ থেকে পানি উত্তোলন করা হয় পাম্প বসিয়ে। তাছাড়া নদীতে বাঁধ দিয়ে বড় বড় সেচ প্রকল্প গড়ে তোলা হয়েছে বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে। রাসায়নিক সার ও কীটনাশক কৃষিক্ষেত্রে বিপ্লব এনে দিয়েছে। সংকরায়ন প্রক্রিয়ায় উদ্ভাবন করা হচ্ছে নতুন নতুন উচ্চ ফলনশীল বীজ। ফসল ছাড়াও গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগি পালন এবং মৎস্য চাষেও বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে ব্যাপক উৎপাদন বৃদ্ধি করা হয়েছে। কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে উন্নত প্রজাতির পশু-পাখি জনপ্রিয় করে তোলা হচ্ছে। সবশেষে Genetic Technology ব্যবহার করে শস্য উৎপাদনে অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জনের পথে রয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এক্ষেত্রে চূড়ান্ত সাফল্য অর্জিত হলে পৃথিবীর খাদ্য উৎপাদন দ্বিগুণ হয়ে যাবে। সার ও কীটনাশক ছাড়াই উৎপন্ন করা যাবে কৃষিপণ্য।
বাংলাদেশের কৃষিতে বিজ্ঞানের ব্যবহারঃ
বাংলাদেশের কৃষিতে বিজ্ঞানের ব্যবহারঃ দেরিতে হলেও বাংলাদেশের কৃষিতে আধুনিক বিজ্ঞানের কিছুটা ছোঁয়া লেগেছে। কর্ষণ কাজে ট্রাক্টর ব্যাপকভাবে ব্যবহারের সুযোগ আমাদের দেশে কম। কারণ আমাদের খণ্ডবিখণ্ড জমি ট্রাক্টরের সাহায্যে চাষ দেওয়ার জন্য অনুপযুক্ত। তবে এদেশে পাওয়ার টিলার জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কৃষি গবেষণা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা বেশ কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। বেশ কিছু ফসলের উন্নত জাত তারা উদ্ভাবন করেছেন। নতুন নতুন ধান বীজ উৎপন্ন করায় চালের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০ লক্ষ টন খাদ্য ঘাটতি বর্তমানে প্রায় কাটিয়ে ওঠার পথে। যান্ত্রিক সেচ কাজ ব্যাপকভাবে প্রচলিত হয়েছে। রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারেও জনগণের আগ্রহ বাড়ছে। এভাবে বাংলাদেশের কৃষিতে ধীরে ধীরে বিজ্ঞানের ছোঁয়া লাগছে। তবে তা কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় পৌঁছতে আরও সময় লাগবে।
উপসংহারঃ
উপসংহারঃ কৃষিই বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড। দেশের শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ কৃষিনির্ভর জীবনযাপন করে থাকে। দেশের অভ্যন্তরীণ মোট উৎপাদনে কৃষির অবদান সর্বাধিক। তাই কৃষিকে আধুনিকীকরণে সর্বতোভাবে সচেষ্ট হতে হবে। সাম্প্রতিককালে কৃষিতে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ও প্রযুক্তির ব্যবহার জনপ্রিয়তা পেলেও তার মাত্রা খুবই সীমিত। ফলে এ দেশ কৃষিক্ষেত্র থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা লাভ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। বিষয়টি আমাদের জন্য মোটেই সুখের নয়।
কৃষি কাজে বিজ্ঞান রচনা for hsc - কৃষি কাজে বিজ্ঞান রচনা ২৫ পয়েন্ট
কৃষি কাজে বিজ্ঞান রচনা ২৫ পয়েন্ট। নিচে আপনাদের সাথে আরেকটি "কৃষি কাজে বিজ্ঞান রচনা" শেয়ার করেছি। hsc দের জন্য এই রচনাটি।

কৃষি কাজে বিজ্ঞান রচনা পয়েন্ট - কৃষি ও বিজ্ঞান
সূচনাঃ কৃষকদের ঐকান্তিক চেষ্টা ও অক্লান্ত শ্রমেই বাংলাদেশ সোনার ফসলে পূর্ণতা লাভ করে। বিষয়টি উপলব্ধি করে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ একদা এ দেশকে 'সোনার বাংলা' আখ্যা দিয়েছিলেন। কেননা তখন কৃষি ও কৃষকই ছিল এ দেশের অর্থনৈতিক অবকাঠামো গঠন ও উন্নয়নের প্রধান কান্ডারি। শুধু তা-ই নয়, আজও বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেকাংশেই কৃষিনির্ভর। তাই কৃষির ওপরই এ দেশের অধিকাংশ মানুষের জীবন-জীবিকা নির্ভর করছে। এজন্য জাতীয় ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে কৃষির গুরুত্ব অনস্বীকার্য।
বাংলাদেশের কৃষি ও কৃষক সমাজঃ
বাংলাদেশের কৃষি ও কৃষক সমাজঃ প্রাগৈতিহাসিক কালেই পৃথিবীতে কৃষির সূচনা হয়। সে সময় থেকেই মানুষ কৃষিকর্মের গুরুত্ব বুঝতে পারে এবং কৃষির মানোন্নয়নে মনোনিবেশ করে। সভ্যতার ক্রমোন্নতির সঙ্গে সঙ্গে অন্য সব বিষয়ের মতো কৃষিব্যবস্থার উন্নয়নেও মানুষ ব্যাপক অগ্রগতি সাধন করেছে। আর তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের কৃষিতেও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। আধুনিককালে জ্ঞান-বিজ্ঞানের অভাবনীয় উন্নতির ফলে পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই কৃষিব্যবস্থার আধুনিকায়ন হয়েছে। এর ফলে শিল্প ও কৃষির পারস্পরিক মেলবন্ধনের মধ্য দিয়ে তরান্বিত হচ্ছে উন্নয়ন। তবুও বাংলাদেশের অধিকাংশ কৃষক পর্যাপ্ত প্রযুক্তিগত শিক্ষা আর কৃষিকর্মের আধুনিকায়ন থেকে বঞ্চিত। এ কারণে এ দেশের কৃষি সেভাবে বিকশিত হতে পারছে না। যদিও কিছুক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে কৃষকদের আগ্রহ দেখা যাচ্ছে কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় তা খুবই সীমিত। বাংলাদেশের কৃষক বলতেই এখনো অশিক্ষিত, শীর্ণকায় ও দুঃখ-দুর্দশাগ্রস্ত অবহেলিত একটি গোষ্ঠীকে বোঝায় যারা আজও অস্থিচর্মসার একজোড়া বলদের ওপর নির্ভর করেই চাষাবাদ করে। এর ফলে এ দেশের কৃষি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়ে অতি মন্থর ও স্থবির পেশায় পরিণত হচ্ছে। আর এভাবে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেও অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে অনেকেই কৃষিকাজ ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশায় নিয়োজিত হচ্ছে। তাই বর্তমান প্রেক্ষাপটে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটানো একান্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। কেননা এখনই কৃষিক্ষেত্রের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটিয়ে কৃষকদের হৃদয়ে আশার সঞ্চার করতে না পারলে একসময় এ দেশের কৃষি ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে।
বাংলাদেশের কৃষক ও কৃষির গুরুত্বঃ
বাংলাদেশের কৃষক ও কৃষির গুরুত্বঃ বাংলাদেশের কৃষকদের উৎপাদিত কৃষিপণ্যই দেশের বেশিরভাগ খাদ্যশস্যের জোগান দেয়। অথচ অনেকক্ষেত্রেই আমাদের স্মরণে থাকে না যে, এ দেশের কৃষক সমাজ যদি অক্লান্ত পরিশ্রম করে ফসল না ফলাত তাহলে আমাদের অন্ন-বস্ত্রের সংস্থানই হয়ত সম্ভব হতো না। তাছাড়া আমাদের জাতীয় উন্নয়নের ক্ষেত্রে কৃষিপণ্য যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে তা মূলত সম্ভবপর করেছে এ দেশের কৃষক সমাজ। তাদের চেষ্টায় প্রতি বছর বাংলাদেশ কৃষিপণ্য রপ্তানি করে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। উল্লেখ্য যে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের কৃষিপণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশ আয় করেছে ৩৬ কোটি ৬৫ লাখ মার্কিন ডলার। আমাদের দেশের রপ্তানিযোগ্য প্রধান কৃষিপণ্যগুলো হলো— বিভিন্ন রকমের মৌসুমি ফল ও শাকসবজি, দুগ্ধজাত পণ্য, তেল প্রভৃতি। কৃষকদের উৎপাদিত এ সকল কৃষিপণ্যসামগ্রী দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বৈদেশিক অর্থ উপার্জনেও প্রভূত অবদান রাখছে। সুতরাং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতিতে কৃষক ও কৃষির গুরুত্ব অপরিসীম।
কৃষি আর কৃষকদের অতীতাবস্থাঃ
কৃষি আর কৃষকদের অতীতাবস্থাঃ অতীতে বাংলাদেশে জনসংখ্যা কম থাকায় চাষাবাদের জন্য কৃষকের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ আবাদি জমি ছিল। সে সময় এ দেশের পলি ও দোঁআশ মাটিযুক্ত জমিগুলো ছিল খুব উর্বর। তাই কোনোরূপ রাসায়নিক সার বা কীটনাশক প্রয়োগ না করেই ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হতো। এছাড়া সে সময় কীটপতঙ্গের উপদ্রব কম থাকায় সহজেই ফসল ফলত। কিন্তু তখনকার কৃষিব্যবস্থা অনেকাংশেই ছিল প্রকৃতিনির্ভর। ফলে খরা বা বন্যার মতো দুর্যোগে তাদেরকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হত। তাছাড়া সঠিক উপায়ে চাষাবাদ না করায় এবং বৃষ্টির অভাবে ঠিকমতো সেচের ব্যবস্থা করতে না পারায় অনেক সময় তারা ভালো ফলন পেত না। তবুও অল্প জনসংখ্যা আর পরিমিত চাহিদার কারণে সে সময়ে তারা কায়ক্লেশে কোনো রকম জীবিকা নির্বাহ করত।
বর্তমানে বাংলাদেশের কৃষক সমাজঃ
বর্তমানে বাংলাদেশের কৃষক সমাজঃ বাংলাদেশের কৃষকদের মধ্যে কিছুসংখ্যক কৃষক বর্তমানে আধুনিক কৃষি সরঞ্জামসহ বিশেষ সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে। যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এর বিপরীত চিত্রটিই চোখে পড়ে। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে দেশে আবাদি জমির পরিমাণ হ্রাস পাওয়ার, কারণে কৃষকরা দিন দিন ভূমিহীন হয়ে পড়ছে। ফলশ্রুতিতে অন্যের জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করতে গিয়ে লাভবান হতে না পেরে কৃষিকাজের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলছে। তাছাড়া প্রয়োজনীয় কৃষি সরঞ্জাম ক্রয়সহ কীটনাশক বা সার ব্যবহারের অধিক ব্যয় কৃষকদেরকে হতাশাগ্রস্ত করে তুলছে। এমতাবস্থায় সরকারিভাবে কৃষক সম্প্রদায়কে অধিক সহযোগিতা দান অত্যাবশ্যক হয়ে পড়েছে। অবশ্য কিছুক্ষেত্রে কৃষকদের সফলতার চিত্রও চোখে পড়ছে কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় তা সীমিত।
বাংলাদেশের কৃষির দুরবস্থার কারণঃ
বাংলাদেশের কৃষির দুরবস্থার কারণঃ বাংলাদেশের কৃষির সবচেয়ে বড় সমস্যাটি হলো, এ দেশের অধিকাংশ কৃষক এখনো সনাতন পদ্ধতিতেই চাষাবাদ করছে। উন্নত দেশগুলোর কৃষকদের মতো বিজ্ঞানভিত্তিক আধুনিক শিক্ষায় তারা প্রশিক্ষিত নয়। এছাড়া দিন দিন জমির উর্বরতাশক্তি হ্রাস পাওয়ার কারণে বর্তমানে সহজে জমিতে ভালো ফসল ফলছে না। অধিকন্তু এ দেশের কৃষকদের পর্যাপ্ত নিজস্ব জমি নেই বলে অনেক সময় মহাজনদের কাছ থেকে জমি বর্গা নিয়ে তাদেরকে চাষাবাদ করতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যের শিকার হতে হচ্ছে এ দেশের কৃষক সমাজকে। অবস্থা এমন যে অনেকক্ষেত্রে ফসলের নামমাত্র মূল্য পাচ্ছে তারা। দেশের ভোগবিলাসী ধনকুবেরদের দৌরাত্ম্য এবং রাজনৈতিক অপকৌশলও এ দেশের কৃষি ও কৃষক সমাজকে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যেমন- জলোচ্ছ্বাস, খরা, ঘূর্ণিঝড় এসবের কারণেও এ দেশের কৃষি ও কৃষককুল প্রতিবছর মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রয়োজনীয় যুগোপযোগী কৃষি সরঞ্জাম, উন্নত বীজ, সার, কীটনাশক ও সেচের ব্যবস্থা না থাকাও এ দেশে কৃষির দুরবস্থার অন্যতম কারণ।
দুরবস্থা থেকে কৃষি ও কৃষকের উত্তরণের উপায়ঃ
দুরবস্থা থেকে কৃষি ও কৃষকের উত্তরণের উপায়ঃ বাংলাদেশের কৃষিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও বেশি যত্নবান হতে হবে। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একাধিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। উদ্ভূত সমস্যা থেকে কৃষি ও কৃষকদের উত্তরণের জন্য প্রয়োজনে আরও বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে প্রথমেই কৃষকদের জন্য আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর কৃষিভিত্তিক শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে কৃষকদের প্রযুক্তিগত জ্ঞানদান করে তাদেরকে দক্ষ করে তুলতে হবে। এছাড়া উন্নত সার, বীজ, সেচব্যবস্থা, রিপিং মেশিন, হারভেস্টিং মেশিনসহ প্রয়োজনীয় কৃষি সরঞ্জামাদি বিনা মূল্যে বা স্বল্পমূল্যে প্রদান করার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে তাদেরকে অর্থনৈতিক সহায়তাদানের লক্ষ্যে সহজ শর্তে কৃষি ঋনের ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে অতি সামান্য সুদের হার নির্ধারণসহ প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সুদ মওকুফ করার ব্যবস্থা করতে হবে। কৃষকদের কষ্টার্জিত ফসল যাতে সঠিক মূল্যে বিক্রি হয় তার ব্যবস্থাও করতে হবে। এছাড়া মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য বন্ধে যা যা করণীয় তা নিশ্চিত করতে হবে। বন্যা, খরা, ঝড়ে বা জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্তদের সহয়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের হাতকে আরও প্রসারিত করতে হবে। সর্বোপরি বিভিন্ন আগ্রাসী শক্তিকে অবদমিত করে এ দেশের কৃষি ও কৃষক সমাজকে বাঁচাতে তৎপর হতে হবে।
উপসংহারঃ
উপসংহারঃ বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ। এ দেশের কৃষি ও কৃষক বাঁচলে তবেই দেশ বাঁচবে। তাই কৃষকদের উন্নয়নের ওপর দেশের ভবিষ্যৎ অগ্রগতি অনেকখানি নির্ভর করছে। বর্তমানে একই জমিতে বার বার একই ফসল ফলানোসহ মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক ব্যবহারের কারণে ফলন কম হচ্ছে। তাছাড়া উপযুক্ত পারিশ্রমিক না মেলার কারণেও কৃষকের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ছে। তাই কৃষিক্ষেত্রে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি বাজার ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নের দিকেও কর্তৃপক্ষকে জোর দিতে হবে। সর্বোপরি কৃষকের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিলে তবেই এগিয়ে যাবে দেশ। আর তাদের শ্রমনিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দেশ অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী হয়ে প্রকৃত সোনার বাংলা হিসেবে গৌরবময় পরিচিতি লাভ করবে।
আমাদের শেষ কথাঃ
এইখানে শেষ হলো আমাদের লেখা "কৃষি কাজে বিজ্ঞান রচনা" এই আর্টিকেলটি। Technewsbangla.info এই ওয়েবসাইটের সমস্ত কনটেন্ট ক্রিয়েটররা চাই নতুন নতুন তথ্য এবং টিপস সবাইকে জানানো বা শেখানোর জন্য তাই আমাদের সাথেই থাকুন।
আমরা আশা করি আমাদের এই আর্টিকেলটা আপনাদের উপকার হয়েছে কারন আমরা এই আর্টিকেলে একসাথে তিনটি বা তিন ধরনের "কৃষি কাজে বিজ্ঞান রচনা" টি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আমরা জেএসসি ( JSC ) এসএসসি ( SSC ) , এইচএসসি ( HSC ) দের কথা চিন্তা করে একসাথে তিনটি রচনা প্রকাশ করেছি।
কৃষি কাজে বিজ্ঞান রচনা, কৃষিকাজে বিজ্ঞান রচনা 20 পয়েন্ট, কৃষি কাজে বিজ্ঞান রচনা for hsc, কৃষি কাজে বিজ্ঞান রচনা ssc, কৃষি কাজে বিজ্ঞান রচনা ২৫ পয়েন্ট, কৃষি কাজে বিজ্ঞান রচনা পয়েন্ট - কৃষি ও বিজ্ঞান, কৃষি জমির বিজ্ঞান সম্মত ব্যবহার, কৃষি ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার রচনা, আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি বিজ্ঞানের অবদান, কৃষি ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার রচনা, কৃষিকাজে বিজ্ঞান।
"কৃষি কাজে বিজ্ঞান রচনা" আমরা মনে করি এই আর্টিকেলে সকল তথ্য ঠিক আছে যদিও কোন ভুল হয়ে থাকে তাহলে আমাদের ক্ষমা করবেন এবং নিচে "Add Comment" এই লেখাতে ক্লিক করে আমাদের আপনার সমস্যাটি জানান। ভালো থাকবেন এবং আমাদের সাথেই থাকুন।