ছাত্র ও সমাজ সেবা
ছাত্র ও সমাজ সেবা - নিচে আলোচনা করা হলো "ছাত্র ও সমাজ সেবা" এই আর্টিকেলটা। আমরা আশা করি ছাত্র ও সমাজ সেবা এই আর্টিকেলে সঠিক তথ্য দিতে পেরেছি যদি ছাত্র ও সমাজ সেবা এই আর্টিকেলে কোন ভুল তথ্য থাকলে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানান।

সমাজসেবা কি
ছাত্রদের সমাজসেবার সুযোগ
ছাত্রদের সমাজসেবার সুযোগঃ বর্তমানে সংসারের বয়স্কনের সংসার পরিচালনার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। - তাই অন্যদের সম্পর্কে ভাববার অবকাশ থাকে না। এক্ষেত্রে ছাত্রদের সমাজসেবা করার অনেক সুযোগ রয়েছে। পড়াশুনা ছাড়াও, তাদের খেলাধুলা এবং বিনোদনের জন্য প্রচুর সময় থাকে। তারা অবসরের কিছুটা সময় সমাজসেবায় ব্যয় করতে পারে। তারা এ কাজ ব্যক্তিগত বা দলবদ্ধভাবে করতে পারে।
বিভিন্ন ধরনের সমাজসেবা
বিভিন্ন ধরনের সমাজসেবাঃ ছাত্রগণ বিভিন্ন উপায়ে সমাজসেবা করতে পারে। তাদের অবসর সময়ে তারা ভিন্ন ভিন্ন দলে নিরক্ষর ব্যক্তিবর্গকে শিক্ষা দিতে পারে। এ উদ্দেশ্যে ষষ এলাকায় ছোট ধরনের নৈশ বিদ্যালয় স্থাপন করা যেতে পারে। যদি তারা কাজে আন্তরিক হয়, তাহলে নিরক্ষরতা দূর হতে পারে। এটাই হবে মহৎ সমাজসেবা, কেননা, সমাজ-উন্নতিতে অশিক্ষাই হল প্রধান অন্তরায়। অজ্ঞ জনগণ স্বাস্থ্যবিধি জানে না। ফলে তারা নানা রোগে আক্রান্ত হয়। যদি ছাত্রগণ তাদেরকে স্বাস্থ্যনীতি পালন সম্পর্কে শিক্ষা দেয়, তাহলে তারা নানা রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারে।
এগুলো ছাড়াও, ছাত্রগণ অন্যভাবেও সমাজসেবা করতে পারে। দেশের কোন কোন অংশ দুর্ভিক্ষ, প্লাবন বা ভূমিকম্পে ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। তখন সকলের বিশেষ করে ছাত্রদের আর্ত-মানবতার সেবা করার অনেক দায়িত্ব থাকে। তাদের নাম সাহায্যের জন্য ত্রাণ সমিতি গঠন করা হয়। ছাত্রদের ঐ সংস্থার স্বেচ্ছাসেবক হওয়া উচিত। তারা চাঁদা, পোশাক, খাদ্য, ঔষধ এবং গৃহ নির্মাণ সামগ্রী সংগ্রহ করতে পারে। তারা সে স্থানে গিয়ে এসব সামগ্রী দ্বারা দুঃস্থ মানুষদের সাহায্য করতে পারে। একজন সহায়হীন লোক মরে যেতে পারে। ছাত্রগণ তাকে কবর দেওয়া বা অগ্নিদাহ করার ব্যবস্থা করতে পারে। এ ধরনের কাজও সমাজসেবা।
মাঝে মাঝে বড় ধরনের সামাজিক, ধর্মীয়, রাজনৈতিক বা অন্য কোন উপলক্ষে বহু লোক সমবেত হতে পারে। ছাত্রগণ এই লোকদের বিভিন্নভাবে সেবা করতে পারে। দীর্ঘ ছুটিতে ছাত্রগণ গ্রামে গিয়ে নানা ধরনের গঠনমূলক কাজ করতে পারে। যেমন—রাস্তা সংস্কার, মজা পুকুর পুনঃখনন, জঙ্গল পরিষ্কার, স্কুল ভবন নির্মাণ ইত্যাদি।
আরো পড়ুনঃ
উপসংহার
উপসংহারঃ ছাত্রগণই দেশের শক্তির উৎস। তাদের রয়েছে আদর্শ, শক্তি ও কাজ করার ক্ষমতা। তাদের সঠিকভাবে পরিচালিত করণে তারা সমাজে বহু মূল্যবান সেবা প্রদান করতে পারে। জনগণকে সেবা করার জন্য তাদেরকে নিঃস্বার্থ নেতা হতে হবে।