টিকটক ভিডিও কিভাবে বানাবো - কিভাবে টিকটক ভিডিও ভাইরাল করবো

টিকটক ভিডিও কিভাবে বানাবো? - টিকটক ভিডিও কিভাবে ভাইরাল করবো - আমাদের মনে এই প্রশ্ন গুলি থাকে। আপনি এইসব জানতে চাইলে আজকের এই আর্টিকেল টি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। কারন আমরা আপনাকে জানাব টিকটক ভিডিও কিভাবে বানাবেন এবং টিকটক ভিডিও ভাইরাল করার জন্য আপনাকে কোন কোন ধাপগুলো আপনাকে অনুসরণ করতে হবে? 

টিকটক ভিডিও কিভাবে বানাবো - কিভাবে টিকটক ভিডিও ভাইরাল করবো

টিকটক ভিডিও ভাইরাল করার সবচাইতে গুরুত্বপূর্ন বিষয় হলো যথেষ্ট পরিশ্রম করে কৌশলী হতে হবে। সাথে নিয়মিত পোস্ট আপলোড করতে হবে।

টিকটক ভিডিও তৈরি করে লাভের আশা দেখার জন্য নিয়মিত ট্রেন্ডিং ভিডিও তৈরি করতে হবে।

আমরা এই আর্টিকেলে আপনাকে যা যা জানানোর চেষ্টা করব সেইগুলো হলো ; টিকটক ভিডিও কিভাবে বানাবো, কিভাবে টিকটক ভিডিও ভাইরাল করবো, TikTok ভিডিও ভাইরাল করার ১৩ টি টিপস, বাংলাদেশের সেরা টিকটকার, টিকটক কি হারাম, টিকটক থেকে কি টাকা ইনকাম হারাম, টিকটক কি টাকা দেয়, টিকটক কিভাবে করতে হয়, Tik Tok কেন জনপ্রিয়, কিভাবে টিকটক ভিডিও ডিলিট করব ইত্যাদি সম্পর্কে। 

টিকটক ভিডিও কিভাবে বানাবো ?

আজকের আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন কিভাবে টিকটক ভিডিও কিভাবে বানাবো সেই সম্পর্কে। তাহলে জেনে নিন টিকটক ভিডিও বানানোর নিয়ম।

আপনি যদি একজন নতুন হয়ে থাকেন এবং জানতে চান টিকটক ভিডিও কিভাবে বানাবো তাহলে নিচের নিয়ম গুলি ফলো করুন।

১. প্রথমে স্ক্রিনের নীচে ‘+’ বাটনে ট্যাপ করুন।
২. এরপর আপনার মোবাইলের গ্যালারি থেকে কনটেন্ট আপলোড করুন।
৩. অথবা আপনি যদি চান সরাসরি ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও বানাবেন তাহলে TikTok-এর নিজস্ব ক্যামেরা ব্যবহার করুন।
৪. সাউন্ড, এফেক্ট, ফিল্টার এইসব টুলগুলো যোগ করুন।
৫. আপনার ভিডিও রেকর্ড শুরু করার জন্য ‘Record’ বাটনে প্রেস করুন।
৬. আপনার কনটেন্ট রেকর্ড করুন।
৭. ‘check mark’-এ ট্যাপ করুন।
৮. ‘Post Page’-এ অতিরিক্ত সম্পাদনা করে নিন।
৯. এইবার আপনার ভিডিও পোস্ট করুন।

আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন এবং আপনি যদি না জানেন কিভাবে টিকটক ভিডিও তৈরি করতে হয় তাহলে উপরের নিয়ম গুলি অনুসরন করুন।
এইছাড়াও আপনাদের সুবিধার কথা চিন্তা করে নিচে একটি ভিডিও দেওয়া "টিকটক ভিডিও কিভাবে বানাবো" সেই সম্পর্কে।


কিভাবে টিকটক ভিডিও ভাইরাল করবো - TikTok ভিডিও ভাইরাল করার ১৩ টি টিপস

আপনি কি চিন্তা করতেছেন কিভাবে টিকটক ভিডিও ভাইরাল করবো। যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটা আপনার জন্য। কারন আমরা আপনার জন্য আজকে আলোচনা করব কিভাবে টিকটক ভিডিও ভাইরাল করবেন সেই সম্পর্কে। এটি এমন একটি প্লাটফর্ম যা এক কথায় অসাধারন। 

কিভাবে TikTok ভিডিও ভাইরাল হবে। এক কথায় বলা যায় লোকেদের আপনার প্রতি আগ্রহী করা বা আপনাকে অনুসরন করা। 

অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় চাইতে টিকটক প্লাটফর্ম অনেক জনপ্রিয়। তাই টিকটক ভিডিও ভাইরাল করার জন্য আপনাকে খুবই চালাক হতে হবে।

তাহলে জেনে নিন কিভাবে আপনি আপনার টিক টক ভিডিও ভাইরাল করবেন।
টিকটক ভিডিও ভাইরাল করার জন্য আপনাকে যেই ১৩ টিপস ফলো করতে হবে সেইগুলি হলো ১. নিয়মিত পোস্ট করার চেষ্টা করুন, ২. নিশ / ক্যাটাগরি বেছে নিন, ৩. গল্প বলার উপর ফোকাস করুন, ৪. হাই-কোয়ালিটির ভিডিও তৈরি করুন, ৫. নিজের দক্ষতা দিয়ে ভিডিও তৈরি করুন, ৬. সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ভিডিও শেয়ার করুন, ৭. 'How To’ ভিডিও তৈরি করুন, ৮. পোষা প্রাণী ভিডিওতে দেখানো চেষ্টা করুন, ৯. জনপ্রিয় ভিডিও - গান ব্যাবহার করুণ, ১০. ট্রেন্ডিং হ্যাসট্যাগ ব্যাবহার করুন, ১১. কারেন্ট ইভেন্টগুলো কভার করুন, ১২. লিপ-সিঙ্ক ভিডিও তৈরী করুন, ১৩. মোটিভেশনাল ভিডিও তৈরি করুন।

কিভাবে টিকটক ভিডিও ভাইরাল করবো

নিয়মিত পোস্ট করার চেষ্টা করুন

আপনি যদি খুব তাড়াতাড়ি টিকটক ভিডিও তৈরি করে ভাইরাল হতে চান তাহলে আপনার থেকে নিয়মিত পোস্ট করতে হবে। প্রতিদিন কমপক্ষে ২-৫ টা ভিডিও আপলোড করতে হবে।

কারন টিকটক কোম্পানি চাই তাদের কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা যাতে বেশি করে তাদের প্লাটফর্মে ভিডিও আপলোড করে। এবং রিয়েল ভাবে কাজ করে।

সফল টিকটকাররা বেশি বেশি ভিডিও তৈরি করে আপলোড করে। আপনিও একজন সফল কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হওয়ার জন্য প্রতি ঘন্টা পর পর ভিডিও আপলোড করার দরকার নেই। নিয়ম মেনে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ভিডিও আপলোড করলে যথেষ্ট।

ট্রেন্ডিং ও আকর্ষণীয় ভিডিও তৈরি করতে পারলে খুব তাড়াতেই ভাইরাল হওয়ার যায়। তার জন্য আপনাকে প্রচুর পরিমাণ কষ্ট করতে হবে।

ফলে আপনার ভিজিটররা / দর্শকরা আপনাকে সাপোর্ট করার সুযোগ পাবে। আপনি লক্ষ্য রাখবেন আপনার দর্শকদের মন খুশি করার জন্য। যাতে আপনার প্রতিটা ভিডিও তারা দেখে।
যায় হোক আপনি যদি মনে করেন আপনি একদিনে অনেক গুলো ভিডিও আপলোড করবেন আর কিছুদিন বসে থাকবেন তাহলে আপনার তৈরি করা ভিডিও বেশি ভিসিটর কাছে যাবে না। তার জন্য আপনাকে অল্প অল্প ভিডিও আপলোড করতে হবে নিয়মিত।

সেরা টিকটক অ্যাকাউন্ট গুলো ভাইরাল হওয়ার প্রধান কারণ হলো তারা সারা দিনে কয়েকবার কনটেন্ট পোস্ট করে থাকে।

আপনার ভিডিও উপর নির্ভর করবে আপনার ভিডিও ভাইরাল হবে নাকি সেটা।

সব সময় এমন ভিডিও আপলোড করার চেষ্টা করবেন যাতে আপনার ফলোয়ার বা টার্গেট অডিয়েন্সদের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।

নিশ / ক্যাটাগরি বেছে নিন

টিকটক ভিডিও তৈরি করে সফল হওয়ার জন্য নিয়মিত ভিডিও আপলোড করার পর যেই গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে সেটি হলো নিশ বা ক্যাটাগরি।

অর্থাৎ আপনি কোন ধরনের ভিডিও তৈরি করতে চান সেটি। একটি নির্দিষ্ট নিশ বেছে আপনি ভিডিও তৈরি করলে এতে ফলোয়ার বেড়ে যাবে আর ফলোয়ার বাড়লে ভিজিটর বাড়বে।

তবে এই না যে আপনি এলোমেলো ভিডিও তৈরি করলে ভিজিটর পাবেন না। ভিজিটর পাবেন তবে এই ভিজিটর বেশি দিন পাবেন না। কারন অনেকে এলোমেলো ভিডিও কন্টেট ক্রিয়েটর দের ফলো করে না। 

আপনি যেই সোশ্যাল মিডিয়াতে ভিডিও আপলোড করেন না কেন সেইটা হোক ইউটিউব, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টিকটক, লাইকি, সব সোশ্যাল নেটওয়ার্কে কাজ করার আগে আপনার থেকে অব্যশই একটি নিশ বেছে নিতে হবে।

তবে আমরা আপনাকে কিছু ভালো নিশ এর আইডিয়া দিতে পারি। যায় হোক আমরা আপনাকে হাজার আইডিয়া দিলেও আপনার লাফ হবে না। কারন আপনি যেই কাজটি ভালো করতে পারবেন সেটি নিয়ে কাজ করা ভালো।

নিচে কিছু নিশ দেওয়া হলো:

  • কমেডি ও প্রাঙ্ক
  • ব্লগ
  • গেমিং
  • হাউ টু ডু ( কিভাবে )
  • মেকআপ ও বিউটি
  • হেল্থ ও ফিটনেস
  • নাচ,গান
  • ইত্যাদি।

আমি উপরে যেই নিশ গুলো আপনাকে বলেছি সেইগুলো আপনি চাইলে বেছে নিতে পারেন। তবে টিকটক ভিডিও ৩ থেকে ৬০ সেকেন্ড এর মধ্যে হতে হয়।

গল্প বলার উপর ফোকাস করুন

একটি আকর্ষণীয় গল্প হবে আপনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার উপায়। আপনি সুন্ধর সুন্ধর গল্প আপনার ফলোয়ার বা দর্শক দের মাজে শেয়ার করতে পারলে আপনার ভিডিও খুব তাড়াতাড়ি ভাইরাল হয়ে যাবে।

ভিডিও তৈরি করার জন্য আপনার কাছে সমস্ত সরঞ্জাম থাকতে পারে এবং তবুও খারাপ গল্প বলার কারণে আপনার সামগ্রী জনপ্রিয় নাও হতে পারে।

তবে এখন আপনি আমাদের বলতে পারেন আমি কিভাবে ৬০ সেকেন্ড এর মধ্যে একটি গল্প শেষ করব। সব চেয়ে মজার বিষয় আপনি যখনি আপনার গল্পটি ভাগ ভাগ করে বিভিন্ন ভিডিও তৈরি করবেন এতে আপনার দর্শকরা আপনার গল্পটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্যে সব ভিডিও দেখবে এতে ভিডিও তাড়াতাড়ি ভাইরাল হয়ে যাবে।

আপনি আপনার গল্পটি বিভিন্ন অংশে বা ভিডিওতে ভেঙে দিতে পারেন।

হাই-কোয়ালিটির ভিডিও তৈরী করুন

এই যোগে হাই-কোয়ালিটির ভিডিও না হলে কেউ দেখে না। সেই ক্ষেত্রে আপনার ভিডিও যদি হাই-কোয়ালিটির ভিডিও না হয় তাহলে প্রতিযোগিতাতে টিকে থাকা অসম্ভব। তাই যেটুকু সম্ভব সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন যাতে আপনার ভিডিও হাই-কোয়ালিটির হয়।

হাই-কোয়ালিটি বলতে আপনার ভিডিও কোয়ালিটি সাথে সাথে আপনার ভিডিও আচার আচরন কেও বুঝাচ্ছে। তাই টিকটক ভিডিও ভাইরাল হওয়া জন্য ভিডিওর কোয়ালিটি ও কোয়ান্টিটি দুটোর উপরই যথেষ্ট নজর দিতে হবে।

তার জন্য আপনি চাইলে একটি ভালো মানের মোবাইল নিতে পারেন অথবা একটি প্রফেশনাল ক্যামেরা নিতে পারেন।

একটি হাই-কোয়ালিটি ভিডিও তৈরি করার জন্য আপনার থেকে থাকতে হবে, ভালো মানের ক্যামেরা অথবা মোবাইল ফোন, লাইটিং-এর ভালো ব্যবস্থা, পরিষ্কার সাউন্ড ইত্যাদি।

নিজের দক্ষতা দিয়ে ভিডিও তৈরি করুন

সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার উপর নির্ভর করে আপনার দক্ষতা। আপনার ইচ্ছা আছে কিন্তু দক্ষতা নেই তাহলে আপনার ভিডিও ভাইরাল হবে না। আর এই দক্ষতা নির্ভর করে আপনার উপর।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ভিডিও শেয়ার করুন

আপনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার আরেকটি উপায় হলো সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ভিজিটর নেওয়া। যত বেশি দর্শকদের কাছে ভিডিও যায় ভিডিও টি বেশি ভাইরাল হয়। তাই আপনার ভিডিও দর্শকদের কাছে পাঠানোর জন্য বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যাবহার করতে পারেন।

'How To’ ভিডিও তৈরি করুন

সবচেয়ে জনপ্রিয় নিশ হলো 'How To’ ভিডিও যেমন : মেকআপ, রান্নাবান্না অথবা DIY কনটেন্ট।

যদিও টিকটক প্লাটফর্ম এ ৩-৬০ সেকেন্ড ভিডিও তৈরি করা যায়। তবে আপনি চাইলে বিভিন্ন নতুন নতুন বিষয়ের উপর 'How To’ ভিডিও তৈরি করতে পারেন।

সেইক্ষেত্রে ভিডিও spped একটু বাড়িয়ে দিতে পারেন। আপনি যদি কম সময়ের মধ্যে 'How To’ ভিডিও তৈরি করতে পারেন তাহলে আমরা নিশ্চিত আপনার ভিডিও ভাইরাল হবে।

তবে সমস্যা নেই আপনি একটি ভিডিওতে সম্পূর্ন শেষ করতে না পারলে ভেঙে ভেঙে করতে পারেন এতে আরো ভালো হয়। অর্থাৎ পার্ট - ১ , পার্ট - ২ এইভাবে করতে পারেন।

পোষা প্রাণী ভিডিওতে দেখানো চেষ্টা করুন

বর্তমানে যারা পোষা প্রাণী নিয়ে ভিডিও তৈরি করতেছে তাদের ভিডিও খুব তাড়াতাড়ি ভাইরাল হয়ে যাচ্ছে। সেইক্ষেত্রে বলা যায় আপনি আপনার ভিডিও নিশ যদি পোষা প্রাণী নিয়ে করেন তাহলে আপনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার সম্ভবনা থাকবে।

যাইহোক আপনি যদি চান আপনার যেকোনো ভিডিওর মধ্যে আপনি পোষা প্রাণী ব্যাবহার করতে পারবেন। আপনি আপনার সুবিধা অনুযায়ী ভিডিও তৈরি করতে পারেন।

সেইক্ষেত্রে একটি কথা মাথায় রাখবেন আপনার দেশে কোন কোন প্রাণী পোষা আইনি বা বেআইনি। বেআইন প্রাণী দিয়ে ভিডিও তৈরি করা থেকে বিরত থাকবেন।

জনপ্রিয় ভিডিও - গান ব্যাবহার করুণ

কোন জনপ্রিয় ভিডিওকে নিয়ে আপনার কন্টেন্টের সাথে মিলিয়ে ভিডিও তৈরি করলে এই ধরনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার জন্য সহযোগিতা করে।

যেই গান বা ভিডিওটি ভাইরাল হবে সেইটি নিয়ে আপনি আপনার ভিডিও তৈরি করলে এতে খুব তাড়াতাড়ি ভাইরাল হবে। সেইক্ষেত্রে আপনি এই ভাইরাল ভিডিও বা গানটি হুবহু কপি করতে পারবেন না।

আপনার ভিডিও এবং এই ভাইরাল ভিডিও দুইটি একসাথে মিলিয়ে একটি নতুন ভিডিও বানাতে হবে। যেটি হবে আপনার নিজের তৈরি করা কন্টেন্ট।

ট্রেন্ডিং হ্যাসট্যাগ ব্যাবহার করুন

ট্রেন্ডিং হ্যাসট্যাগ ব্যাবহার ফলে ভিডিওগুলিকে তাদের র‌্যাঙ্কিং উন্নত করতে সাহায্য করে৷ আপনার টিকটক ভিডিও ভাইরাল করার সব চেয়ে ভালো উপায় হলো হ্যাসট্যাগ।

তার জন্য আপনি প্রথমে TikTok অ্যাপ টি ওপেন করুন তারপর ‘Discover’ বাটনে ট্যাপ করেন।

ওপেন করার পর আপনি ঐখানে ট্রেন্ডিং হ্যাসট্যাগ গুলো দেখতে পারবেন। যেহেতু এইগুলো ট্রেন্ডিং হ্যাসট্যাগ তাই এইগুলি নিয়মিত আপডেট হবে এবং ক্যাটাগরি ও অঞ্চলভেদে আলাদাও হয়ে থাকে।

কিছু ট্রেন্ডিং হ্যাসট্যাগ; #TikTokTaughtMe, #HowTo, #new, #trend ইত্যাদী। এইগুলি ব্যাবহার করলে হবে কি যখন কেউ এই কীওয়ার্ড গুলি লিখে সার্চ করবে তখন আপনার ভিডিও গুলি রেঙ্ক করা বা পাওয়ার সম্ভবনা থাকে।

কারেন্ট ইভেন্টগুলো কভার করুন

অর্থাৎ নতুন নতুন তথ্য বা ঘটনা সবার কাছে শেয়ার করার চেষ্টা করুন। প্রতিদিন বিশ্বে বিশ্বে নতুন নতুন ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। আপনি এইসব বিষয়ে মানুষদের সামনে তুলে ধরতে পারেন এতে ভালো দর্শক পাওয়া যায়।

অনেক ভাইরাল টিকটক আছে যারা এইসব কারেন্ট ইভেন্টগুলো কভার করে। তবে ভুয়া তথ্য শেয়ার করা থেকে বিরত থাকবেন এতে আপনার বিপদ হতে পারে।

লিপ-সিঙ্ক ভিডিও তৈরী করুন

লিপ-সিঙ্ক ভিডিও তৈরি করে খুব তাড়াতাড়ি ভাইরাল হওয়া যায়। এতে কষ্ট কিছুটা কম যদি আপনার কিছুটা অভিজ্ঞতা থাকে।

লিপ-সিঙ্ক ভিডিও বলতে বিভিন্ন ট্রেন্ডিং গানের সাথে লিপ-সিঙ্ক করে আপনার নিজের ভিডিও আপলোড করা।

অথবা কোন জনপ্রিয় ডায়ালগের সাথেও লিপ-সিঙ্ক-এর ভিডিও পোস্ট করতে পারেন হতে পারে আপনার কোন প্রিয় মুভি, ওয়েব সিরিজের অথবা সিরিয়াল ডায়লগ।

আশা করি আপনি টিকটকের মধ্যে লিপ-সিঙ্ক ভিডিও গুলো বেশি দেখে থাকেন।

মোটিভেশনাল ভিডিও তৈরি করুন

টিকটকে অনেকে ভাইরাল হয়েছে মোটিভেশনাল ভিডিও তৈরি করে। আর আমরা মনে করি মোটিভেশনাল ভিডিও তৈরি করতে আপনার বেশি সময় লাগবে না। এবং এতে আপনার কোন ক্ষতি হবে না। বরং আপনি মানুষদের উৎসাহ দিতে পারবেন।

টিকটক এর ক্ষতিকর দিক

টিকটক এর ভালোদিক বলতে কিছু নেই। যদি কেউ বলে থাকেন টিকটক এর মধ্যে কিছু শিক্ষণীয় ভিডিও আছে তাহলে ভুল। কারন ; ৬০ সেকেন্ডের ভিডিও মধ্যে কখনো শিক্ষণীয় কথা তুলে ধরা যায় না। তার জন্যে আপনি ইউটিউব ব্যাবহার করেন।

টিকটক তরুণ সমাজকে ধ্বংস করছে। তরুণ ভাই - বোনরা এমন আসক্ত হয়ে যাচ্ছে তারা টিকটক ভিডিও না বানিয়ে থাকতে পারে না। এমনও আছে অনেকে সারাদিন ভিডিও আপলোড করে থাকে।

অনেক পাগল ভাই - বোনরা আছে যেইখানে পারে ভিডিও বানাই তাদের মান সম্মান বলতে কিছু নেই। যদি তাদের মধ্যে আপনি একজন হয়ে থাকেন তাহলে আপনার ভিডিও ভাইরাল হবে না। মানুষের উদ্দেশ্য নিয়ে ভিডিও তৈরি করুণ।

টিকটক বাংলাদেশ - বাংলাদেশের সেরা টিকটকার

বর্তমানে বাংলাদেশের সেরা টিকটকার নিচে দেওয়া হলো।

  • শামিমা আফরিন ওমি
  • অনামিকা ঐশী
  • জেনসি মুন 
  • নওরিন আফরোজ পিয়া
  • নুসরাত জাহান অন্তরা
  • শাকিলা পারভীন
  • সামিরা খান মাহি
  • আরোহী মিম
  • আকতার আলী
  • তৌহিদ আফ্রিদি

প্রশ্ন এবং উত্তর - টিকটক ভিডিও

টিকটক কি হারাম?

টিকটক কি হারাম?

টিকটক এই প্লাটফর্ম টি হারাম। কারন টিকটকে কিছু কিছু কনটেন্ট আছে যেগুলি হারাম। তবে টিকটকে কিছু কন্টেন্ট আছে যেইগুলো শিক্ষণীয়

তবে আমি আপনি সবাই জানি টিকটকে ৯০ শতাংশ এর চেয়ে বেশি ভিডিও আছে যেইগুলো অশ্লীল বা খারাপের দিকে আহবান করে।

আর বাকি ১০ শতাংশ বা তার চেয়ে কম সংখ্যক কিছু ভিডিও আছে শিক্ষণীয়।

আমরা সবাই দেখে থাকি খুব কম বয়সি ছেলে-মেয়েরা কিছু টিকটক কন্টেন্ট তৈরি করে থাকে জেইগুলিনিজেদের সর্বনাশ করছে।

আমরা এক কথায় বলতে পারি খারাপ কিছু করা বা দেখা হারাম। ভালো কিছু করা বা দেখা হালাল। বাকিটা আপনারা বুজে নিতে পারবেন।

টিকটক থেকে কি টাকা ইনকাম হারাম?

টিকটকে টাকা ইনকাম করা যায় প্রোডাক্ট স্পন্সর, টিকটক একাউন্ড বিক্রি, এফিলিয়েট মার্কেটিং ইত্যাদি মাধ্যমে। টিকটক আপনাকে নিজে থেকে টাকা দিবে না। যেমনটা ইউটিউব এবং ফেসবুক দিয়ে থাকে।

তাই টিকটক থেকে কি টাকা ইনকাম হারাম এইটা নির্ভর করে আপনার উপর। আপনি ভালো কাজ করে বা ভালো প্রোডাক্ট বিক্রি করে টাকা ইনকাম করলে ভালো আর খারাপ পথে টাকা ইনকাম করলে হারাম এইটুকু।

টিকটক কি টাকা দেয়?

টিকটক আপনাকে আপনার কন্টেন্ট এর জন্য টাকা দিবে না। তবে আপনি যদি টিকটক রেফার করেন সেইক্ষেত্রে টিকটক আপনাকে কমিশন / টাকা দিবে।

টিকটক কিভাবে করতে হয়?

টিকটক করার জন্য খুব ছোট ভিডিও তৈরি করতে হয় ৬০ সেকেন্ডের উপরে করা যাবে না।

Tik Tok কেন জনপ্রিয়?

টিকটক একটি সামাজিক সোশ্যাল ওয়েবসাইট বা নেটওর্য়াক। যার মাধ্যমে ভিডিও কন্টেন্টেরা তাদের ভিডিও বিভিন্ন মানুষের কাছে শেয়ার করতে পারে।

Tik Tok জনপ্রিয় হওয়ার কারন বিনোদন ভিডিও। ইউজারদের চাহিদা মত সকল সুবিধার ভিডিও আপনি Tik Tok প্ল্যাটফর্মে দেখতে পারবেন। 

কিভাবে টিকটক ভিডিও ডিলিট করব?

আপনি আপনার একাউন্ট থেকে আপনার ভিডিও ডিলিট করে দেওয়ার জন্য প্রোফাইলে ক্লিক করুণ এবং ভিডিওটি মুছে ফেলতে চান তা নির্বাচন করুন। এরপর নিচে ডান দিকে একটি থ্রি ডট বাটন আছে "..." এইখানে ক্লিক করুণ। এরপর ডিলিট/রিমোভ বাটন এ প্রেস করুণ তার পর ভিডিও ডিলিট যেতে চাইলে কনফার্ম করুন। 

আমাদের শেষ কথা - টিকটক ভিডিও কিভাবে বানাবো এবং কিভাবে ভাইরাল করবো

এইখানে শেষ হলো আমাদের লেখা "টিকটক ভিডিও কিভাবে বানাবো এবং টিকটক ভিডিও কিভাবে ভাইরাল করবো" নিয়ে লেখা আর্টিকেলটি।

আপনাদের যদি এই আর্টিকেলটি কোন উপকার করে থাকে তাহলে এই আর্টিকেলটি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করে আমাদের সাহায্য করুন।

Tik Tok কেন জনপ্রিয়? - এই আর্টিকেলে কোন ভুল তথ্য থাকলে নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানান।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরো পড়ুনঃ