আইবিএস রোগীর খাবার তালিকা
আইবিএস রোগীর খাবার তালিকাঃ- আইবিএস মানে রোগীর দীর্ঘমেয়াদি পেটের সমস্যা। এক কথায় বলতে পারি এই রোগী বদহজম, আমাশা চিরজীবনের সঙ্গী হয়ে যায়। এই রোগের ফলে পেটে হঠাৎ করে মোচড় বা কামড় দেবে এবং সঙ্গে সঙ্গে পায়খানায় যেতে হবে। দেখা যায় সকল বয়সী মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

কোনো পরীক্ষার প্রয়োজন হয় না এই রোগ নির্ণয়ের জন্য। খাবার তালিকা পালন করলে আইবিএস রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আইবিএস রোগীর খাবার তালিকা নিচে দেওয়া আছে।
আমরা এই আর্টিকেলে আলোচনা করেছিঃ- আইবিএস রোগীর খাবার তালিকা, আইবিএস কত প্রকার, আইবিএস রোগীদের মারাত্মক অবস্থা, আইবিএস হলে কি কি সমস্যা হয়, আইবিএস এর ঔষধ, আইবিএস থেকে মুক্তির উপায়, আইবিএস এর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা, আই বি এস রোগের ব্যায়াম, আইবিএস হলে কি ওজন কমে, আইবিএস কি ভালো হয় ইত্যাদি সম্পর্কে।
আইবিএস রোগীর খাবার তালিকা
আইবিএস এই রোগের কারন এখনো অজানা। তাই আমরা বলতে পারি রোগের প্রতিষেধকের চেয়ে, প্রতিরোধ করাই উত্তম। আমাদের উচিত আইবিএস রোগের ঔষধ না খুঁজে, আমাদের চিন্তা করা উচিত আইবিএস রোগে থেকে কিভাবে প্রকৃতি উপায়ে মুক্তি পাওয়া যায়।

একজন আইবিএস রোগী ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এলোপ্যাথিক,হোমিওপ্যাথি ও আয়ুর্বেদিক এইসব বিভিন্ন চিকিৎসা করে থাকেন। যাইহোক যেকোনো সমস্যা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে কাজ করা ভালো।
বর্তমানে আইবিএস রোগের পুরোপুরি ট্রিটমেন্ট নেই বলে দাবি করছে অনেক বিশেষজ্ঞ। তার জন্য বিশেষজ্ঞরা বলে নিয়মমাফিক জীবন যাপন করতে হবে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য।
আরো পড়ুনঃ পটুয়াখালী কিসের জন্য বিখ্যাত?
নিয়মমাফিক জীবন যাপন করার মধ্যে আপনাকে প্রথম যেই নিয়ম টা সম্পর্কে জানতে হবে সেটি হলো আইবিএস রোগীর খাবার তালিকা।
আইবিএস রোগীরা সব ধরনের খাবার খেতে পারে না। কিছু কিছু খাবার আছে আইবিএস রোগীর জন্য হুমকি। নিচে আমরা আলোচনা আইবিএস রোগীর খাবারের তালিকা সকালে, আইবিএস রোগীর খাবারের তালিকা দুপুরে, আইবিএস রোগীর খাবারের তালিকা রাতে, আইবিএস রোগীর জন্য যেইসব খাবার খাওয়া নিষেধ।
আইবিএস রোগীর খাবারের তালিকা সকালে
প্রতিদিন সকাল নিচে দেওয়া ফল গুলির মধ্যে যেকোনো একটি (১টি) ফল খাবেন। এক সাথে দুই ধরনের ফল খাওয়া যাবে না। নিচের ফল গুলো দেখুনঃ-
রুটি / আইবিএস পাউডার ( IBS Powder ) দিয়ে।
কমলা ১টি
পেয়ারা১টি
মাল্টা ১টি
কলা ৩/৪টি
যাইহোক উপরে যেই ফল গুলির নাম বলা হয়েছে এইগুলি একসাথে দুইরকম খাওয়া যাবে না। শুধু এক ধরেনের ফল খাওয়া যাবে।
আইবিএস রোগীর খাবারের তালিকা দুপুরে
দুপুরে আপনি খাবেন ১প্লেট গরম আলোচাউলের ভাত। এরপর বিকাল ৪ টা বা ৫ টার সময় রুচি মত একটা ফল খাবেন। আপনার যেই ফল খেতে বেশি ইচ্ছা হয় এমন ফল খাবেন। তবে একটা কথা খেয়াল রাখবেন উপরে যেই ফল গুলো সকালে খাওয়ার জন্য বলা হয়েছে সেইগুলি খেতে পারবেন না বিকালে। ( কমলা, পেয়ারা, মাল্টা, কলা )।
আরো পড়ুনঃ মহিলাদের কোমর ব্যথার কারন?
যদি ফল খেতে ইচ্ছা না করে তাহলে মুড়ি/চিড়া খান। এইগুলি খাওয়ার সময় আস্তে আস্তে সময় নিয়ে খাবেন। অর্থাৎ ভালো করে আস্তেধীরে চিবিয়ে চিবিয়ে খাবেন। যাতে ভালো মত হজম হতে সাহায্য করে।
আইবিএস রোগীর খাবারের তালিকা রাতে
রাতে শুধু মাত্র গরম গরম ভাত খাবেন। নিয়মিত ১প্লেট গরম ভাত খাবেন রাতে ঘুমানোর ২/৩ঘন্টা আগে। অবশ্যই ভাত খাওয়ার পর ২ - ৩ ঘণ্টা পর ঘুমাবেন এর আগে ঘুমাবেন না।
রাতে যে খাবার গুলো খাবেন নাঃ-
- আংগুর
- বাদাম
- শিম
- মশুর ডাল
- কাচা টমেটো,শসা
- নারিকেল
- আপেল
- পাতা কপি
আইবিএস রোগীর জন্য যেসব খাবার খাওয়া নিষেধ
আইবিএস রোগীরা সব ধরনের খাবার খেতে পারে না। আইবিএস রোগীর জন্য কিছু খাবারে তালিকা রয়েছে। যেমন উপরে বলা হয়েছে। উপরে যেই খাবার গুলি খাওয়ার কথা বলা হয়েছে এইগুলিতে যদি আপনার সন্দেহ থাকে আপনি সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। এতে অনেক ভালো হবে।

নিচে দেওয়া আছে আইবিএস রোগীর জন্য যেসব খাবার খাওয়া নিষেধঃ-
- আইবিএসের রোগীদের
- আমরা চর্বিযুক্ত খাবার
- তৈলাক্ত খাবার
- আঁশযুক্ত খাবার
- যব
- গমের তৈরি খাবার না খাওয়ার
- শাকসবজি
- ফল ( যেই ফল গুলো খেতে পারবেন বলছি ঐগুলো ছাড়া বাকি সব ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন )।
- সালাদ
- হোটেলের খাবার
- দুধ ও দুধের তৈরি খাবার
- অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার
- গুরুপাক
- বাসি ও পচা খাবার খাওয়া যাবে না।
পরামর্শ - যেসব খাবার খাওয়া যাবে
- নরম ভাত
- হালকা ঝোলের তরকারি
- কাঁচা-পাকা পেঁপে
- কাঁচা-পাকা বেল খাবেন
- গরম গরম টাটকা খাবার
উপরে খাবারের তালিকার অনুযায়ী আপনি খেতে পারেন। এইসব খাবার খাওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞরা দিয়ে থাকে।
নোটঃ- আপনি উপরের খাবারের তালিকা অনুযায়ী মেনে চললেও আপনার উচিত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া। কারন বিশেষজ্ঞরা দাবি করে আইবিএস রোগের কারন এখনো অজানা।
আইবিএস কত প্রকার ?
- পেটব্যথা
- পেটফাঁপা
- পেটে অস্বস্তি
- আমাশয়
- পাতলা পায়খানা
- কোষ্ঠকাঠিন্য
- ইত্যাদি।
আইবিএস রোগীদের মারাত্মক অবস্থা
আইবিএস রোগীরা যেইসব সমস্যায় ভুগে সেইগুলি নিচে দেওয়া হলো। আইবিএস রোগীদের মারাত্মক অবস্থা লক্ষণ সম্পর্কে জেনে নিনঃ-
- বিয়ে করার খমতা হারিয়ে ফেলে।
- বিবাহিতদের যৌন ক্ষমতা হারিয়ে যায়।
- মেজাজ সবসময় খিটমিটে থাকে।
- কোমরে ব্যথা অনুভত হয়।
- শরীরে বাথ্যা করে।
- কাজের প্রতি অলসতা ।
- মেজাজ গরম হয়ে যায়।
- পৃথিবীতে নিজেকে অসহায় মনে হয়।
- নার্ভের সমস্যা হয়।
- অনেক সময় মাসে ২-৮ বার পাতলা পায়খানা হতে পারে।
- রীরের ওজন কমে যায়।
- রোগা রোগা মনে হয়।
- খাবার খেতে ভয় হয়।
আইবিএস হলে কি কি সমস্যা হয়?
আইবিএস হলে প্রধানত দুইটি সমস্যা হয় সেইগুলি হলো মল ত্যাগের অভ্যাসের পরিবর্তন অর্থাৎ অন্যান্য সময়ের চেয়ে আলাদা হয় এবং পেটে ব্যথা অনুভব করা। মূলত এই দুই ধরনের সমস্যার কারন আইবিএস।
তবে অনেক সময় দেখা যায় মল ত্যাগের পর পেটের ব্যথা অনেকটা কমে যায়। এই মল ত্যাগের সাথে সাথে ওজনহ্রাস, মলের সঙ্গে রক্তপাত, জ্বর, রক্তশূন্যতা ইত্যাদি দেখা যায় না। যাইহোক খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে জড়িত আইবিএস রোগটি।
আরো পড়ুনঃ ৩৬ মাসের কিস্তিতে বাইক?
অনেক সময় বেশি বেশি খাবারের ফলে বা যেকোনো খাবারের ফলে এই সমস্যা বেড়ে যায়। এই রোগটা একেকজনের ক্ষেত্রে একেক রকম। এখনি এই রোগের কারন ব্যাখ্যা করতে পারে নাই বলে দাবি করা হয়।
শাকসবজি ও সালাদের মতো খাবার এবং দুধ ও দুধজাতীয় খাবার খেলে এই রোগ বেশি হয়ে থাকে। যাইহোক সবচেয়ে একটি খুশির কথা সেটি হলো এই রোগ হলে চিন্তার কোন কারন নেই । কারন অনেক বিশেষজ্ঞরা বলে এটা মারাত্মক কোনো রোগ নয়। এটা থেকে বড় কোনো জটিলতা হওয়ার আশঙ্কা নেই।
আইবিএস এর ঔষধ
আইবিএসের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উপসর্গ সে ক্ষেত্রে অ্যান্টিস্পাসমোডিক্স-জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা হয়। যেহেতু এইটি একটি পেটের ব্যথা তাই এই জাতীয় ওষুধ ব্যাবহার করা হয়। এগুলো ব্যাবহার ফলে অন্ত্রের সংকোচন কমানোর মাধ্যমে কাজ করে।
আরো পড়ুনঃ অনার্সে সবচেয়ে সহজ সাবজেক্ট কোনটি?
এই ছাড়াও আইবিএস ক্ষেত্রে ডাইফেনোঅক্সালেট, লোপেরামাইড, অক্সিফেনোনিয়াম প্রভৃতি ওষুধ ব্যবহার করা হয়। এ ওষুধগুলো ব্যাবহার বা খাওয়ার ফলে অন্ত্রের নাড়াচাড়া কমানোর মাধ্যমে কাজ করে। ( ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত )।
আইবিএস থেকে মুক্তির উপায়
নিচে দেওয়া এইসব নিয়ম মেনে চললেই আইবিএস থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। কারন এইটি কোন বড় রোগ নয়। তাই চিন্তা না করে নিজেকে নিয়মের মধ্যে আনার চেষ্টা করুন। বেশি বেশি নামাজ পড়ে আল্লাহ্ কাছ থেকে দোয়া খুঁজুন।

- নিয়মিত নামাজ পড়ুন।
- বেশি বেশি কুরআন পড়বেন।
- টেনশন মুক্ত থাকবেন।
- ফিল্টার বা ভালো ভাবে ফুটিয়ে পানি পান করুন।
- শুকনা মরিচ+টমেটো +ধনিয়া পাতা পরিহার করুন।
- আলো চাউলের ভাত খাবেন।
- নিয়মিত ব্যয়াম করুন।
- লিকার চা খাবেন দিনে ২/১টি।
- গ্লুটেন্ট+ক্যাসিন+ভাজাপোড়া খাবার পরিহার করবেন।
- সবার কথা বাদ দিন শুধু আপনার কথা চিন্তা করুন।
- খাবারের সময় পেটের তিনভাগের এক ভাগ খান।
- খাবারের ৩০মিনিট আগে পরে পানি পান করুন।
- খাবারের পর ২০ মিনিট হাঁটুন।
- রাত্রে ঘুমানোর ২/৩ঘন্টা আগেই খাবার শেষ করুন।
- ঘুমানোর সময় আদা এক টুকরা অথবা কাচা হলুদ এক টুকরা অথবা অল্প পরিমান মধু একগ্লাস পানিতে দিয়ে পান করুন। ( যেইটা খাবেন একটাই খাবেন একসাথে সব খাবেন না। )
- ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস পানি পান করুন।
- খিদা লাগলে হাতের কাছে মুড়ি/চিড়া রাখুন ২/১মুট খান ( চিবিয়ে চিবিয়ে খাবেন )। এরপর পানি পান করুন।
- ত্রিফলা রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালিপেটে পানি পান করুন।
আইবিএস এর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
পৃথিবীতে অনেক রকমের চিকিৎসা রয়েছে তার মধ্যে একমাত্র হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শাস্ত্র সার্জারি বহির্ভুত প্রায় ৯০% রোগের চিকিৎসা দিতে পারে। হোমিওপ্যাথি ছাড়া অন্য কোন ট্রিটমেন্ট সিস্টেমে স্থায়ী কোন সমাধান নেই আইবিএস এর জন্য।
আরো পড়ুনঃ সরকারি নার্সিং কলেজে ভর্তি যোগ্যতা?
এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে চাইলে আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে যেইগুলো উপরে দেওয়া আছে এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিতে হবে। তার জন্য আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।
আমরা আবারও বলতেছি এইটা এমন বড় কোন রোগ না তাই চিন্তা দূর করে নিয়ম মেনে চলুন ইনশাআল্লাহ সব ঠিক হয়ে যাবে। নিচে একটি ভিডিও দেওয়া আছে এইটি দেখে নিতে পারেন।

আই বি এস রোগের ব্যায়াম
আই বি এস রোগের ব্যায়াম জানতে চাইলে আপনি নিচের দেওয়া ভিডিওটি শেষ পর্যন্ত দেখুন। নিচে এই ভিডিও তে দেওয়া আছে আই বি এস রোগের ব্যায়াম সম্পর্কে। এই ভিডিওতে দেখানো হয়েছে আই বি এস বা পেটের পীড়া থেকে মুক্তি পাওয়ার যোগ ব্যায়াম সম্পর্কে।

আইবিএস হলে কি ওজন কমে?
আইবিএস হলে ওজন কমতে পারে। শরীরের ওজনের একটি সম্পর্ক রয়েছে আইবিএস এর সাথে। তাই বলা যাই এই রোগের কারনে অনেকে ওজন কমে যেতে পারে। আইবিএস রিলেটেড ডায়রিয়ায় টানা ৫-৬ দিন ডায়রিয়া থাকার কারণে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে ইলেক্ট্রোলাইট বেরিয়ে যায়।
আরো পড়ুনঃ গ্রামে বাড়ি করার জন্য ব্যাংক লোন?
এই ধরনের রোগীরা খাবার খেতে চায় না এবং পুষ্টিকর খাবার গুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকতে চাই। যার ফলে ডায়রিয়া থেকে সুস্থ হওয়ার পরেও খাবারের রুচি ফিরে আসতে অনেকটা সময় লাগে। তাই বলা যাই এইসব অভাবে আইবিএস রোগীর ওজন কমতে পারে।
আইবিএস রোগীর ওজন বাড়ানোর উপায়
যাদের পাকস্থলীতে সমস্যা আছে সেই সমস্ত রোগীকে আমরা IBS রোগী বলে থাকি। এই রোগীর উপসর্গ হল - পেট কামড়ানো ,গ্যাস ,বদহজম, ডায়রিয়া,পেটের মধ্য কল কল শব্দ হওয়া ইত্যাদি।
এই ধরনের রোগীর খাবার হলঃ-
শাকসবজি,ফলমূল,ভাত,রুটি,ওটমিল ইত্যাদি। এই রোগীদের অল্প অল্প করে খাবার খেতে হয়,যাতে বদহজম যাতে না হয় সেই কারনে । যাইহোক এই রোগীর ওজন একটু একটু করে বাড়বে। আমাদের উচিত আগে রোগীর সুস্হতা দিকে নজর দেওয়া তারপর ওজন বাড়ানো। তবে ঠিক মত খাবার খেতে পারলে ওজন ঠিক থাকবে।
ওজন বাড়ানোর জন্য নিচের দেওয়া এইসব খেতে পারেনঃ-
- পেট ভর্তি করে খাবেন না।
- যেটুকু খাবেন সেটা প্রাকৃতিক ও মানসম্পন্ন খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
- ফ্রিজের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
- তেলের খাবার থেকে বিরত থাকুন।
- রিফাইনড অয়েল-এর রান্না খাবেন না।
- ঘানি থেকে খাঁটি তেল সংগ্রহ করুন।
- মোবাইল ব্যবহার সীমিত করুন।
- প্রতিদিন কয়েক চামচ টক দই খান দুপুরে।
- পরিমাণ মতো পানি খান।
- পানি যেন জীবানুমুক্ত হয়।
- প্রয়োজনে ফিটকিরি ব্যবহার করুন।
আইবিএস রোগ কি ভালো হয়?
আইবিএস কি ভালো হয় অনেকে এই প্রশ্ন করে থাকে। আবার অনেকে বলে থাকে আইবিএস ভালো হয় না। এইটা আসলে ভুল ধারনা।
আইবিএস রোগ অবশ্যই ভালো হয়। এইটা বড় কোন রোগ না। তাই চিন্তার কোন কারন নেই। এর থেকে মুক্তি পেতে চাইলে উপরের দেওয়া নিয়ম গুলি মেনে চলতে হবে। আপনি নিয়ম মেনে চললেই এই রোগ থেকে খুব সহজে মুক্তি পাবেন। এই ছাড়াও ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কারন এই রোগটি অনেক কারনে হয়ে থাকে। এক এক জনের এক এক রকম হয়।
আরো পড়ুনঃ এল এল বি ভর্তি যোগ্যতা?
যারা বলেন আইবিএস ভাল হয় না, তারা মূলত এই সমস্যার চিকিৎসা দিতে জানেন না।
আইবিএস এর ব্যথা
আইবিএস রোগীদের মলত্যাগের অভ্যাসের পরিবর্তন ও পেটে ব্যাথা এই দুটি কারনে হয়।
- ঘন ঘন মলত্যাগ
- মলত্যাগের পর ব্যথা কিছুটা কমে যাওয়া
- পর্যায়ক্রমে ডায়রিয়া ও কনস্টিপেশন চলতে থাকা
আইবিএস এর ঘরোয়া চিকিৎসা
এই রোগটি ঘরোয়া প্রতিকারে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। তাই নিচের নিয়ম গুলি ফলো করুন।
- নিয়মিত ব্যায়াম করা
- ক্যাফিনযুক্ত পানীয় পান করা যাবে না
- মানসিক চাপ কমাতে হবে
- প্রোবায়োটিক যুক্ত খাবার খেতে হবে।
- প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে প্রোবায়োটিক সাপ্লিমেন্ট খেতে হবে।
- ভাজাপোড়া, ঝাল ও মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া যাবেনা।
আইবিএস এর প্রথমিক লক্ষ্মণঃ-
- রোগীর পাতলা পায়খানা।
- অথবা কষা পায়খানা দেখা দিতে পারে।
- পেট ফাঁপা, ফুলে যেতে পারে।
- সাদা সাদা থকথোকে আম যায়।
- কারো ফেনা ফেনা যায়।
- কারো খাবারের পর পেট ব্যথা করে।
- প্রচুর পরিমানে পেটে গ্যাস হয়।
- খাবারের পর পেট মুচড় দিয়ে বাতরুম যাওয়া লাগতে পারে।
- কারো কারো আবার খালি পেট হলেই পেটে চিনচিন বা ব্যথা করে।
আইবিএস রোগীর খাবার তালিকা - শেষ কথাঃ-
এইখানে শেষ হলো আমাদের লেখা "আইবিএস রোগীর খাবার তালিকা" এই আর্টিকেলটা। Technewsbangla.info এই ওয়েবসাইটের কনটেন্ট ক্রিয়েটররা চাই নতুন নতুন তথ্য এবং টিপস সবাইকে জানানোর জন্য।
আইবিএস রোগীর খাবার তালিকা এই আর্টিকেলটা আপনার বন্ধু দের এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করে আমাদের এবং আপনার বন্ধুদের সাহায্য করুন।
আপনার জীবন ব্যবস্থা পরিবর্তন করাই হলো আইবিএস থেকে স্থায়ীভাবে মুক্তি পাওয়ার অন্যতম উপায়। তার জন্য আপনাকে আইবিএস রোগীর খাবার তালিকা মেনে জীবন যাপন করতে হবে। আপনাকে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।
নিজে সব সময় মনে করবেন আপনার আইবিএস রোগ নামে কোন অসুখ নেই। নিজেকে খুশি রাখার চেষ্টা করুন। চিন্তা করবেন না। মনোবল ও ইচ্ছা শক্তি যদি দৃঢ় করতে হবে।
সর্বোচ্চ ১৫ দিন যদি উপরের খাবার তালিকা মেনে চলেন ইনশাআল্লাহ আপনি সুস্থ হয়ে যাবেন। ভালো থাকবেন। বেশি বেশি নামাজ পড়বেন।
Vlo laglo
ধন্যবাদ আপনাকে! ভালো থাকবেন।
আপনার মূল্যবান এই কমেন্ট এর জন্য অনেক ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন ।
Vi santi pilam
Onek donobad
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ, আপনার কথা শুনেও আমাদের ভালো লেগেছে। ভালো থাকবেন।
Tnx
স্বাগতম! @Shahadat ভালো থাকবেন।