ক্যাডেট কলেজে পড়ার খরচ - Cadet College of Bangladesh
ক্যাডেট কলেজে পড়ার খরচ - বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশে মোট ১২ টি ক্যাডেট কলেজ রয়েছে। আমাদের অনেকের বাবা - মা চাই তাদের সন্তানকে একটি ক্যাডেট কলেজে পড়বে। কিন্তু অনেকের অভিবাকরা জানেন না ক্যাডেট কলেজে পড়ার খরচ কেমন? সেই সম্পর্কে। যদি আপনিও তাদের মধ্যে একজন হয়ে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটা শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

আজকে আমরা আপনাদের এই আরটিকেলে জানাব ক্যাডেট কলেজে পড়লে কি হয়, ক্যাডেট কলেজে পড়ার সুবিধা, ক্যাডেট কলেজে পড়ার খরচ, বিশাল বড় ক্যাম্পাসের সুবিধা, ক্যাডেট কলেজের পড়াশোনার পদ্ধতি, ক্যাডেট কলেজে চান্স পাওয়ার সহজ উপায়, ক্যাডেট কলেজে ভর্তির যোগ্যতা, ক্যাডেট কলেজে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ক্যাডেট কলেজে ভর্তির বয়স ইত্যাদি সম্পর্কে।
তাহলে আজকের এই আর্টিকেল দেখে নিন ক্যাডেট কলেজে পড়ার সুবিধা কি কি?
ক্যাডেট কলেজে পড়লে কি হয়?
সবার আগে আপনাদের বলি সামরিক বাহীনির দ্বারা পরিচালনা করা হয় ক্যাডেট কলেজগুলি। সামরিক বাহীনিতে যোগ্য কর্মকর্তা তৈরির করার মুল লক্ষ্য হলো ক্যাডেট কলেজগুলির। ক্যাডেট কলেজের নিয়ম অনেক ভালো। ক্যাডেট কলেজে নিয়ম এতই ভালো যে আপনি আপনি যা কোথাও পাবেন কিনা সন্দেহ আছে।
আরো পড়ুনঃ m নামের মেয়েরা কেমন?
যারা জানতে চান ক্যাডেট কলেজে পড়লে কি হয় এবং ক্যাডেট কলেজে পড়ার সুবিধা কি কি তারা এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত দেখুন। যারা ক্যাডেট কলেজে পড়তে চান তাদের অনেক বেশি উপকার হবে আজকের এই আর্টিকেলটা।
ক্যাডেট কলেজে পড়ার সুবিধাঃ
প্রথমেই বলি ক্যাডেট কলেজ সামরিক বাহিনী দ্বারা পরিচালিত হয় বলে ক্যাডেট কলেজ অনেক সুশৃংখল ও নিয়মানুবর্তিতার মাধ্যমে পরিচালিত হয়। আমরা আশা করি অনেকে ক্যাডেট কলেজে সম্পর্কে জানেন না। আবার অনেকে জেনে থাকলেও কিছুটা জানে। আমরা অনেকে মনে করি ক্যাডেট কলেজে কেন পড়ব। আবার অনেকের মা - বাবা মনে করেন কেন আমাদের সন্তান ক্যাডেট কলেজে পড়বে।
এই উত্তরে আমরা বলব ক্যাডেট কলেজের অনেক সুবিধা রয়েছে। প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রী অত্যন্ত শৃংখলা ভাবে চলে। সার্বক্ষণিক স্বাস্থ্য সেবার ব্যবস্থা রয়েছে প্রতিটি ক্যাডেট কলেজের ভেতরে। তাদের কার্যক্রম শুরু হয়ে থাকে সকাল ৬ টা থেকে। আবার তাদের কার্যক্রম শেষ হয় রাত ১০ টা ৪০ মিনিটে।
আরো পড়ুনঃ পাইলট হওয়ার যোগ্যতা?
পড়াশুনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে ক্যাডেট কলেজগুলো। আমরা বলব আপনি পড়াশুনার দিক দিয়ে সব সময় ভালো করতে চাইলে ক্যাডেট কলেজের কোন বিকল্প নেই।
ক্যাডেট কলেজের প্রতিটি ক্লাস হয়ে থাকে দক্ষ শিক্ষকদের দ্বারা। অতিরিক্ত ক্লাসের মাধ্যমে সবাইকে সাহায্য করা হয়। মনে করেন আপনি কোন বিষয়ে বুঝতেছেন না তাহলে অতিরিক্ত ক্লাস করানো হবে। এই ছাড়াও এইখানে পড়াশুনা করে অনেক মেধাবী ছাত্র ছাত্রীরা চাইলে তাদের থেকে সহযোগিতা নিতে পারেন।
ক্যাডেট কলেজে পড়ার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো স্বাস্থ্যকর পরিবেশে, মানসম্মত উপায়ে শিক্ষা প্রদান করা হয়। এইখানে প্রেক্টিকাল ভাবে সব কিছু হয়ে থাকে। এরা মুখস্থ বিদ্যার শেখানো থেকে বিরত থাকে।
এইখানে সবসময় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে হয় বা হয়ে থাকে। এতে সবাই অনেক কিছু জানতে পারে বা শিখতে পারে।
দেশের প্রায় প্রতিটি ক্যাডেট কলেজে খেলাধুলার মাঠ, লাইব্রেরী,হাসপাতাল ও ক্যান্টিনের সুবিধা রয়েছে। এক কথায় বলা যায় দেশের সরকারি ও বেসরকারি কলেজগুলোর চাইতে অনেক অনেক আলাদা ক্যাডেট কলেজ গুলি।
ক্যাডেট কলেজে পড়ার সুবিধা মধ্যে আমরা আলোচনা করব ক্যাডেট কলেজে পড়ার খরচ, নিয়ম শৃঙ্খলা, বিশাল বড় ক্যাম্পাস, বিখ্যাত মানুষদের বিচরণ ক্ষেত্রে, চমৎকার পড়াশোনার পরিবেশ, পড়াশোনার পদ্ধতি, কো কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিস , হাসপাতাল সুবিধা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি, ডাইনিং হল ও ক্যান্টিন, হোস্টেল বা হাউজ, স্পোর্টস, বিনোদন, লাইব্রেরি, ল্যাব ও জাদুঘর ইত্যাদি।
ক্যাডেট কলেজে পড়ার খরচঃ
উপরে আমরা বলেছি সামরিক বাহিনী দ্বারা পরিচালিত হয় ক্যাডেট কলেজগুলো। অর্থাৎ বাংলাদেশের ক্যাডেট কলেজগুলো নিয়ন্ত্রিত হয় সামরিক বাহিনী দ্বারা। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীকে সামরিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা লক্ষে কাজ করে থাকে আমাদের দেশের ক্যাডেট কলেজগুলো। তাই বলা যায় দেশের সামরিক বাহিনীতে যোগদান করার ইচ্ছা যাদের আছে তারা চাইলে ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হতে পারে।

যাইহোক ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হওয়ার আগে আমাদের জানতে হবে ক্যাডেট কলেজে পড়ার খরচ সম্পর্কে। আমরা অনেকেই মনে করি ক্যাডেট কলেজে পড়াশোনা করতে অনেক টাকা লাগে। অনেকে মনে করে লাখ লাখ টাকা খরচ করতে হয় ক্যাডেট কলেজে পড়াশোনা করতে। এইটা আসলে ভুল ধারনা। আমরা এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের এই ভুল ধারনা গুলো জানিয়ে দিব।
অভিভাবকদের আয়ের উৎসের ওপর ভিত্তি করে ক্যাডেট কলেজে পড়ার খরচ নির্ভর করে থাকে। অভিবাকদের চাকরি উপর ভিত্তি করে হয় ক্যাডেট কলেজে পড়ার খরচ। যেমনঃ সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বনিন্ম ১৫০০ থেকে সর্বোচ্চ ২৫০০০ টাকা হয়ে থাকে। আবার বেসরকারি চাকরিজীবীদের সর্বনিন্ম ১৫০০ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা ফি দিতে হয়।
আরো পড়ুনঃ কিস্তিতে টাটা গাড়ি?
উদাহণস্বরূপঃ ধরুন আপনার বাবা একজন রিক্সাওয়ালা সেইক্ষেত্রে আপনার থেকে খরচ হবে মাত্র ১৫০০ টাকা আশা করি এর চেয়ে বেশি হবে না। আর যাদের বাবা অথবা মা সচিব তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু একটু বেশি হয়ে থাকে। সেইক্ষেত্রে তাদের খরচ হবে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা। তবে এইটা তাদের জন্য কোন ব্যাপার না। আর যাদের বাবা - মা শিল্পপতি তাদের জন্য ২৫ হাজার টাকা। ২৫ হাজার টাকার উপর কোন বেতন নেয়া হয় না। এই ছাড়াও আর কোন ভর্তি ফি নেই না।
যাইহোক আপনি যদি এখন মনে করেন আমি ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হওয়ার আগে আমার বাবা - মায়ের ইনকাম ভালো ছিল কিন্তু ভর্তি হওয়ার পর ইনকাম কমে গেছে, সেইক্ষেত্রে টেনশনের দরকার নেই সেইক্ষেত্রে কলেজের বেতনও কমে যাবে। আর দেওয়া হয় মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে টিশন ফি।
বিশাল বড় ক্যাম্পাসের সুবিধাঃ
আমরা যদি কথা বলতে থাকি ক্যাডেট কলেজের ক্যাম্পাসগুলো নিয়ে তাহলে কথা শেষ করা যাবে না। ক্যাডেট কলেজের ক্যাম্পাসগুলো অনেক সুন্ধর হয়ে থাকে তেমন অনেক বড় ও হয়ে থাকে। আমরা নিচে একটি ভিডিও দিছি এইটি দেখে নিন। এই ভিডিওতে আপনি বুজতে পারবেন ক্যাডেট কলেজের ক্যাম্পাসগুলো কি ধরনের।

সুন্দর পড়াশোনার পরিবেশঃ
পড়াশুনা করার জন্য ক্যাডেট কলেজের কোন বিকল্প নেই। প্রত্যেকটা বিষয়ে স্পষ্টভাবে জ্ঞান লাভ করা যায় এই ক্যাডেট কলেজ গুলিতে। ক্যাডেট কলেজেগুলির মাধম্যে আপনি অনেক কিছু শিখতে পারবেন বা জানতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ ইন্দোনেশিয়ার মেয়েরা কেমন?
ক্যাডেট কলেজগুলির মাধম্যে আপনি অনেক দক্ষতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন। এই ছাড়াও এই কলেজগুলি আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করে। অনেক দৃঢ় চরিত্র গঠিত হয় এই কলেজ গুলিতে। আপনাকে সাহসী হয়ে উঠতে সাহায্য করবে। এই কলেজ গুলি ভালো লাগার একটি কারন সেটি হলো সুশৃঙ্খল তৈরি করতে সাহায্য করে। এই ছাড়াও আপনাকে মানবিক গুনাবলি সমূহ অর্জন করতে সহায়তা করে।
নিয়ম শৃঙ্খলাঃ
ক্যাডেট কলেজগুলিকে আপনি নদীর সাথে তুলনা করতে পারবেন তার কারন হলোঃ আপনি যদি একবার নদীতে পড়ে যান তাহলে আপনি সাতার জানুন বা না জানুন নদীর ঢেউ আপনাকে ঠিক সামনে টেনে নিয়ে যাবে। এইভাবে আপনি যদি একবার ক্যাডেট কলেজগুলিতে পড়ার সুযোগ পেয়ে যান তাহলে আপনার ইচ্ছা থাকুক অথবা না থাকুক এরা চাইবে আপনাকে এগিয়ে যেতেই হবে। আর ক্যাডেট কলেজ গুলো ভালো হওয়ার কারন এটাই।
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের জন্য কোন চাকরি ভালো?
এইখানে পড়াশুনা করার আরো কারন রয়েছে যেমনঃ মনে করেন আপনি মাজখানে একটু দুর্বল হয়ে গেছেন বা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছেন সেইক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করবে ক্যাডেট কলেজ গুলির বন্ধুরা।
উদাহরণস্বরূপঃ মনে করেন আপনি কোন খেলায় অংশগ্রহন করেছেন। হতে পারে আপনি দৌড় প্রতিযোগিতা অংশগ্রহন করলেন হঠাৎ আপনি কোনো কারনে পিছিয়ে গেছেন তখন আপনার বন্ধুরাও আপনাকে ছাড়া যাবে না। ক্যাডেট কলেজ গুলিতে এইভাবে শিক্ষা দেওয়া হয়। এইখানে পড়াশুনার পাশাপাশি অনেক কিছু শেখানো হয় যা আমাদের জীবনের জন্য অনেক গুরুতপূর্ণ। অসাধারণ এক শৃঙ্খলাবদ্ধ আনন্দময় জীবন হয়ে থাকে এই কলেজগুলিতে।
ক্যাডেট কলেজের পড়াশোনার পদ্ধতিঃ
সপ্তম শ্রেণী থেকে এফ.এসসি পর্যন্ত পড়াশোনা করা যায় ক্যাডেট কলেজে। এইচএসসি পর্যন্ত এইখানে পড়ানো হয়ে থাকে। ক্যাডেট কলেজে বাংলা ভাষার পাশাপাশি ইংলিশ ভার্সনে পড়া যাবে।
কো- কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিস এর দিকে অনেক সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায় ক্যাডেট কলেজগুলোতে। এই ছাড়াও ক্যাডেট কলেজগুলোতে রয়েছে হোস্টেল, লাইব্রেরি, স্পোর্টস, ক্যান্টিন, পারসনাল হসপিতাল ইত্যাদি। ক্যাডেট কলেজগুলোতে আপনি চাইলেও মেবাইল ফোন, রেডিও, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাত ইত্যাদি কোন কিছু ব্যবহার করতে পারবেন না। এইখানে মোবাইলের ফোন ব্যাবহার করার অনুমতি নেই।
হাসপাতাল সুবিধাঃ
কোনো ধরনের শারীরিক বা মানসিক সমস্যা হলে আপনি সাথে সাথে ক্যাডেট কলেজের নিজস্ব হাসপাতালে চিকিৎসা পাবেন। আমরা এক কথায় বলতে পারি সার্বক্ষণিক স্বাস্থ্য সেবার ব্যবস্থা রয়েছে এইখানে।
ডাইনিং হল ও ক্যান্টিনের সুবিধাঃ
প্রায় সব ক্যাডেট কলেজের ডাইনিং হল রয়েছে খাওয়া দাওয়া করার জন্য। এই ছাড়াও রয়েছে ক্যান্টিনের সুবিধা আপনার দরকারি বা প্রয়োজনীয় যেকোনো কিছু পাবেন এইখানে।
স্পোর্টসের বা খেলাধুলার সুবিধাঃ
দেশের প্রায় সব ক্যাডেট কলেজে রয়েছে খেলাধুলার জন্য বিশাল মাঠ। আপনি ক্যাডেট কলেজে যা যা খেলার সুবিধা পাবেন সেইগুলি হলোঃ
ভলিবল
বাস্কেটবল
ক্রিকেট
লন টেনিস
ব্যাডমিন্টন
সাঁতার
টেবিল
টেনিস
ক্যারামদাবা ইত্যাদি।
এই ছাড়াও ক্রিকেট, ফুটবল সহ সবধরনের খেলার জন্য আপনি পাবেন অনেক বড় মাঠ।
ল্যাব এবং লাইব্রেরি সুবিধাঃ
ক্যাডেট কলেজগুলির লাইব্রেরি অনেক বড় হয়ে থাকে। এই কলেজ গুলির লাইব্রেরিতে আপনি পাবেন হাজার হাজার বই। যেইখানে থেকে আপনি পাবেন আপনার প্রয়োজন বা পছন্দ অনুযায়ী বই। এই ছাড়াও ক্যাডেট কলেজে রয়েছে কম্পিউটার ও সায়েন্স ল্যাব।
ক্যাডেট কলেজে চান্স পাওয়ার সহজ উপায়ঃ
ক্যাডেট কলেজে চান্স পাওয়া অনেকটা কষ্ট। কারন এই কলেজ গুলো অন্যান্য কলেজের চাইতে অনেক আলাদা। ক্যাডেট কলেজে চান্স পাওয়ার জন্য আপনাকে অনেক মেধাবী হতে হবে। ক্যাডেট কলেজে চান্স পাওয়ার জন্য আপনাকে বাংলা ও ইংরেজি দুটি ভাষাতে অনেক দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ টিকটক ভিডিও কিভাবে বানাবো?
ক্যাডেট কলেজে চান্স পাওয়ার জন্য কি কি শিখতে হবে এবং কি কি জানতে হবে এই সব গুলো জানতে পারবেন ইউটিউবে। আপনি ইউটিউবে অনেক ভিডিও পাবেন এই নিয়ে।
ক্যাডেট কলেজে ভর্তির যোগ্যতাঃ
আপনার নিশ্চই জানতে ইচ্ছা করতেছে ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হতে আপনার কি কি যোগ্যতা গুলো লাগবে। দুঃখের বিষয় ক্যাডেট কলেজে ভর্তির যোগ্যতা না থাকলে তাদের জন্য ক্যাডেট কলেজে ভর্তির হওয়ার কোন উপায় রাখে না কলেজ গুলো।

আমরা আগেও বলছি ক্যাডেট কলেজগুলো সামরিক বাহিনী দ্বারা পরিচালিত হয় তাই কলেজগুলোতে বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়। দেশের ক্যাডেট কলেজ গুলিতে ভর্তি হওয়ার জন্য অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। ক্যাডেট কলেজগুলোতে ভর্তি হওয়ার জন্য ৬ষ্ঠ শ্রেণী বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। এই ছাড়াও বয়স হতে হবে সর্বোচ্চ ১৪ বছর।
দুঃখের বিষয় যারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত তারা চাইলেও ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হতে পারবেন না। যেমনঃ
- গ্রস নক নী
- ফ্ল্যাট ফুট
- বর্ণান্ধ ও অতিরিক্ত ওজন
- বিভিন্ন রোগ যেমন এজমা
- মৃগী
- হৃদরোগ
- বাতযক্ষ্মা
- পুরনো আমাশয়
- হেপাটাইটিস
- রাতকানা
- ডায়াবেটিসসহ, ইত্যাদি।
ক্যাডেট কলেজে স্বাস্থ্য পরীক্ষাঃ
ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষা অনেক গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয়। আপনি যদি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে আপনি চাইলেও ক্যাডেট কলেজেও ভর্তি হতে পারবেন না।
আরো পড়ুনঃ শাওমির সবচেয়ে কম দামি ফোন?
হৃদরোগ,বাতযক্ষ্মা,পুরনো আমাশয়,হেপাটাইটিস
রাতকানা,গ্রস নক নী,ফ্ল্যাট ফুট,বর্ণান্ধ ও অতিরিক্ত ওজন,বিভিন্ন রোগ যেমন এজমা, মৃগী ইত্যাদি এইসব রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্যাডেট কলেজে ভর্তি করানো হয় না। তাই ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হওয়ার আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা অনেক প্রয়োজন।
ক্যাডেট কলেজে ভর্তির বয়সঃ
ক্যাডেট কলেজে চাইলে যেকোনো ক্লাসের স্টুডেন্ট পড়াশুনা করতে পারবেন না ঠিক চাইলে যেকোনো বয়সে স্টুডেন্ট পড়তে পারবেন না। সব গুলির লিমিট আছে। ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য প্রার্থীর বয়স সর্বোচ্চ ১৩ বছর ০৬ মাস হতে হবে। এবং উচ্চতা দিক দিয়ে ন্যূনতম ৪ ফুট ৮ ইঞ্চি হতে হবে। সেটা ছেলে হোক বা মেয়ে হোক সবার ক্ষেত্রে একই নিয়ম।
ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হতে হলে যা পড়তে হবে?
ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হতে হলে ৭ টি বিষয়ের ওপর পরীক্ষা দিতে হবে। অর্থাৎ ৭ টি বিষয়ের ওপর প্রশ্ন করা হয় ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষার জন্য। সেইগুলো হলোঃ
- বাংলা
- ইংরেজী
- গণিত
- বিজ্ঞান
- বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচিতি
- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
- সাধারণ জ্ঞান
ক্যাডেট কলেজে ভর্তি পরীক্ষা মোট ৩০০ ৩০০ মার্কের হয়ে থাকে। যেমনঃ
বাংলার জন্য ৬০ নম্বর বরাদ্দ।
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচিতি, বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ও সাধারণ জ্ঞান মিলিয়ে মোট ৪০ নম্বরের বরাদ্দ।
ইংরেজী জন্য ১০০ নম্বর বরাদ্দ।
গণিতের জন্য ১০০ নম্বর বরাদ্দ।
এইভাবে ৩০০ মার্কের পরীক্ষা হয়ে থাকে।
আমাদের শেষ কথা - Cadet College of Bangladesh
এইখানে শেষ হলো আমাদের লেখা "ক্যাডেট কলেজে পড়ার খরচ - Cadet College of Bangladesh" এই আর্টিকেলটা। Technewsbangla.info এই ওয়েবসাইটের কনটেন্ট ক্রিয়েটররা চাই নতুন তথ্য এবং টিপস সবাইকে জানানো জন্য বা শেখানোর জন্য।
আমরা আজকে আলোচনা করেছি ক্যাডেট কলেজে পড়ার খরচ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত কিছু তথ্য। আমরা আশা করি যেই শিক্ষার্থী ক্যাডেট কলেজে পড়াশোনা করতে চান তাদের জন্য আমাদের এই আর্টিকেলটি অনেক উপকার হবে। আপনারা আমাদের এই আর্টিকেলটা শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকলে আশা করি সব কিছু বুজেছেন।
ক্যাডেট কলেজে পড়ার খরচ এই আর্টিকেলটা আপনাদের উপকার হয়ে থাকলে নিচে "Add Comment" এই লেখাটিতে ক্লিক করে আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি জানান। ভালো থাকবেন..ধন্যবাদ।
Thanks..
স্বাগতম! ভালো থাকবেন।