৩৬ মাসের কিস্তিতে বাইক - কিস্তিতে বাইক ২০২৩

৩৬ মাসের কিস্তিতে বাইক - বর্তমানে আমাদের দেশের বাইকের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেকে নতুন বাইক কিনতে চাই শখে বা কোন না কোন কারনে। আমরা অনেকে নগদ টাকায় বাইক কিনতে পারি না। বিশেষ করে চাকরিজীবী অথবা শিক্ষার্থী দের পক্ষে নগদ টাকা দিয়ে বাইক কেনা অসম্ভব হয়ে উঠে। আপনিও যদি তাদের মধ্যে একজন হয়ে থাকেন তাহলে চিন্তার কোন কারন নেই। বাংলাদেশে সিটি ব্যাংক দিচ্ছে ৩৬ মাসের কিস্তিতে বাইক নেওয়ার সুযোগ।

৩৬ মাসের কিস্তিতে বাইক

আপনি চাইলে বর্তমানে সিটি ব্যাংক থেকে ৩৬ মাসের কিস্তিতে বাইক কিনতে পারবেন। তার জন্য ব্যাংকের কিছু শর্ত মেনে নিতে হবে / চলতে হবে। নিচে আমরা আলোচনা করেছি সিটি ব্যাংক থেকে ৩৬ মাসের কিস্তিতে কিভাবে বাইক কিনবেন সেই সম্পর্কে।

আমাদের এই আর্টিকেলে আপনারা আরো যা জানতে পারবেন সেইগুলি হলোঃ ৩৬ মাসের কিস্তিতে বাইক, ৩৬ মাসের কিস্তিতে বাইক কেনার শর্ত, সিটি ব্যাংক বাইক লোন নেওয়ার নিয়ম, সিটি ব্যাংক বাইক লোন নেওয়ার শর্তসমূহ, ১২ মাসের কিস্তিতে লিফান বাইক ইত্যাদি সম্পর্কে।

৩৬ মাসের কিস্তিতে বাইক

৩৬ মাসের কিস্তিতে বাইক এই সময়ে বাইক চালক অনেক বেশি। বাইক চালকের এর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। অনেকে শখে বাইক চালাতে ভালোবাসে আবার অনেকে কোন না কোন কাজে ব্যাবহার করে থাকে। যারা অনেক দূরদূরান্ত থেকে অফিসে চাকরি করে তাদের জন্য অনেক অসুবিধা হয়ে যায় অফিসে চাকরি করতে। তাই এদের সমস্যা কথা চিন্তা করে কিছু ব্যাংক কিস্তিতে বাইক কিনার জন্য লোন দিয়ে থাকে। তার মধ্যে আজকে আমরা কথা বলব সিটি ব্যাংক বাইক লোন সম্পর্কে।


সিটি ব্যাংক দিচ্ছে ৩৬ মাসের কিস্তিতে বাইক কেনার সুযোগ। বাংলাদেশের একজন নাগরিক সিটি ব্যাংক থেকে বাইক লোন নেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে যারা ঢাকাতে থাকেন তারা বেশি অগ্রাধিকার পাবে। তবে চিন্তার কারন নেই সিটি ব্যাংক থেকে সারা বাংলাদেশের যে কেউ বাইক লোন নিতে পারবেন।


সিটি ব্যাংক থেকে দুইটি পদ্ধতিতে বাইক লোন নেওয়া যাই একটি হলো সিটি ব্যাংক এজেন্ট শাখায় মাধ্যমে আবেদন করে অথবা ঘরে বসে অনলাইনে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে আবেদন করে। যাইহোক আপনি যেই ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে থাকেন না কেন আপনাকে অবশ্যই তাদের কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে এবং কিছু ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে। একই ভাবে সিটি ব্যাংক থেকে কিস্তিতে বাইক নেওয়ার সময় আপনার থেকে কিছু ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে।

৩৬ মাসের কিস্তিতে বাইক কেনার শর্ত - সিটি ব্যাংক

সিটি ব্যাংক থেকে ৩৬ মাসের কিস্তিতে বাইক কেনার শর্ত গুলি হলোঃ

১. আপনার থেকে সিটি ব্যাংকে একটি একাউন্ট থাকা লাগবে।
২. যদি আপনার থেকে সিটি ব্যাংকে একাউন্ট তৈরি করা না থাকে তাহলে চিন্তার কারণ নেই তারা আপনাকে একটি একাউন্ট করে দিবে।
৩. ব্যবসায়ী, সরকারি চাকরিজীবী ইত্যাদি লোন নেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। অর্থাৎ যেই কিস্তিতে বাইক কিনতে চাই তার থেকে ইনকাম এর একটি সোর্স থাকতে হবে।
৪. আপনাকে কিস্তির টাকা ৩৬ মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ পরিশোধ করতে হবে।
৫. আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, কাগজপত্র জমা দিতে হবে।


সিটি ব্যাংক থেকে ৩৬ মাসের কিস্তিতে বাইক কেনার শর্ত গুলি যদি আপনি মেনে চলেন তাহলে আপনাকে ব্যাংক থেকে লোন দিতে বাধ্য থাকবে। যদি আপনি তাদের নিয়ম মেনে না চলেন অথবা আপনার ইনকাম এর কোন সোর্স না থাকে তাহলে আপনি ব্যাংক থেকে লোন পাবেন না।

সিটি ব্যাংক বাইক লোন নেওয়ার নিয়ম

বাংলাদেশে বাইক চালকের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারনে সিটি ব্যাংক এই নিয়ম টা চালু করেছে। যারা টাকা জমিয়ে বাইক কিনতে পারতেছেন না তাদের জন্য এই সুবিধা চালু করা হয়েছে। তবে যারা বাইক কিনতে চান অবশ্যই চাকরি করা লাগবে।

সিটি ব্যাংক বাইক লোন নেওয়ার নিয়ম

যাইহোক আমরা নিচে আলোচনা করেছি সিটি ব্যাংক বাইক লোন নেওয়ার সুবিধা, সিটি ব্যাংক বাইক লোন নেওয়ার অসুবিধা, সিটি ব্যাংক বাইক লোন নেওয়ার শর্তসমূহ, কারা লোন নিতে পারবেন, সর্বোনিম্ন মাসে কত টাকা ইনকাম করতে হবে ইত্যাদি সম্পর্কে।

সিটি ব্যাংক বাইক লোন নেওয়ার শর্তসমূহ

১. ৬ – ৩৬ মাসের কিস্তি সুবিধা দিয়ে থাকে।
২. ৩৬ মাসের মধ্যে টাকা পরিশোধ করতে হবে।
৩. সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা লোন নেওয়া যাবে।
৪. শতকরা ৮০ ভাগ পর্যন্ত ফাইন্যান্স নেয়া যাবে।
৫. কিছু ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে।
৬. চাকরিজীবী হতে হবে।
৭. সিটি ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে।

সিটি ব্যাংক বাইক লোন নেওয়ার সুবিধা

১. আপনি যেকোনো ব্র্যান্ডের বাইক কিনতে পারবেন।
২. ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন।
৩. বেশি টাকা খরচ হবে না।
৪. কম টাকায় ভালো মানে বাইক কিনতে পারবেন।
৫. আপনার পছন্দের বাইক কিনতে পারবেন।

সিটি ব্যাংক বাইক লোন নেওয়ার অসুবিধা

১. সিটি ব্যাংক বাইকের কোন দায়িত্ব নিবে না।
২. বাজার মূল্যের চেয়ে বেশি টাকায় বাইক কিনতে হবে।
৩. বাইকের কোন ক্ষতি হলেও আপনাকে টাকা দিতে হবে।
৪. বাইক চুরি হয়ে গেলেও টাকা দিতে হবে।
৫. মানসিক চিন্তায় থাকতে হবে যতক্ষণ না টাকা পরিশোধ করা হয়।


বাইক লাভাররা বাইক কিনার আগে একটু এই অসুবিধার কথা গুলি চিন্তা করিয়েন। সুবিধা এবং অসুবিধা পার্থক্য করে বাইক কিনার সিদ্ধান্ত নেওয়া ভালো।

কারা লোন নিতে পারবেন?

১. এক্সিকিউটিভ
২. জমির মালিক
৩. প্রবাসী
৪. সেলফ ইমপ্লোয়েড প্রোফেশনাল
৫. ব্যবসায়ী
৬. রাইড শেয়ারিং সার্ভিস
৭. ফ্রীল্যান্সার
৮. অন্যান্য

সর্বোনিম্ন মাসে কত টাকা ইনকাম করতে হবে?

১. বেতন ভুক্ত কর্মচারী – ১২,০০০ টাকা।
২. বেতন ভুক্ত কর্মচারী – ১৫,০০০ টাকা।
৩. বেতন ভুক্ত কর্মচারী – ২০,০০০ টাকা।
৪. ব্যবসায়ী, প্রোফেশনাল, জমির মালিক – ২৫,০০০ টাকা।
৫. ফ্রীল্যান্সার – ৩০,০০০ টাকা।
৬. রাইড শেয়ারিং – ১৫,০০০ টাকা।
৭. প্রবাসী – ২০,০০০ টাকা।

১২ মাসের কিস্তিতে লিফান বাইক

কোভিড-১৯ শুরু হওয়ার পর থেকে বাইক লাভার / বাইক চালক বেড়ে গেছে। বর্তমানে রাস্তায় বেশি বাইক বা স্কুটার দেখা যায়। আর এই কারনে কিছু ব্যাংক কিস্তিতে বাইক কিনার জন্য লোন দিচ্ছে।


বাংলাদেশে লিফান বাইক অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে উটেছে। চাইনিজ ব্র্যান্ড গুলোর মধ্যে লিফান বাইক অন্যতম। লিফান বাইক এর দাম অনেক কম হয়ে থাকে। যারা কম দামেই বাইক খুজতেছেন তারা চাইলে লিফান বাইক কিনতে পারেন।

১২ মাসের কিস্তিতে লিফান বাইক কিনার জন্য আপনি বাংলাদেশি কয়েকটি ব্যাংক থেকে এই সুবিধা নিতে পারবেন। সেইগুলি হলোঃ

১. লংকা বাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড
২. ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড
৩. সাউথ ইস্ট ব্যাংক লিমিটেড
৪. ইস্টার্ণ ব্যাংক লিমিটেড
৫. প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড


উপরের ব্যাংক গুলি থেকে ১২ মাসের কিস্তিতে লিফান বাইক নেওয়ার জন্য ব্যাংক গুলির কাস্টোমার দের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এই ছাড়াই কিস্তিতে লিফান বাইক কিনার শর্ত এবং নিয়ম সমস্ত তথ্য আপনি জানতে পারবেন ব্যাংক গুলির কাস্টোমার দের সাথে যোগাযোগ করে।

নোটঃ এখন এই ব্যাংক গুলি ১২ মাসের কিস্তিতে লিফান বাইক কিনার সুযোগ দিচ্ছে নাকি আমরা সঠিক ভাবে বলতে পারব না।


তার জন্য আপনি ব্যাংক গুলির কাস্টোমার কেয়ার দের সাথে যোগাযোগ করুন। ব্যাংক গুলির কাস্টোমার কেয়ার নম্বর পেতে চাইলে নিচে "Add Comment" এই লেখাতে ক্লিক করে আমাদের বলুন।

কিস্তিতে বাইক ২০২৩ - শেষ কথা

এইখানে শেষ হলো আমাদের লেখা "৩৬ মাসের কিস্তিতে বাইক" এই আর্টিকেলটা। Technewsbangla.info এই ওয়েবসাইটের কনটেন্ট ক্রিয়েটররা চাই নতুন তথ্য এবং টিপস সবাইকে শেখানো বা জানানোর জন্য।

আমরা আশা করি ৩৬ মাসের কিস্তিতে বাইক এই আর্টিকেলেটা আপনাদের উপকার হয়েছে। কিস্তিতে বাইক লোন এই আর্টিকেল টি শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকলে আপনি খুব সহজে কিস্তিতে বাইক কিনতে পারবেন। কিস্তিতে বাইক নেওয়ার আগে আপনার থেকে তাদের কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে। কিস্তিতে বাইক কিনার জন্য সরাসরি ব্যাংকে যোগাযোগ করুন।

৩৬ মাসের কিস্তিতে বাইক এই আর্টিকেলে কোন ভুল তথ্য থাকলে নিচে "Add Comment" এই লেখাটিতে ক্লিক করে আমাদের জানান।
Next Post Previous Post
2 Comments
  • Anonymous
    Anonymous February 2, 2023 at 8:04 PM

    কতো টাকা করে দিতে হবে পতি মাসে

    • Md Abdullah
      Md Abdullah February 3, 2023 at 9:28 AM

      স্যার এইটা ব্যাংকের উপর নির্ভর, যাইহোক মনে করেন আপনি 5 লাখ টাকা লোন নিয়েছেন। তাহলে আপনাকে ৩৬ মাসে এই 5 লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে। প্রতি মাসে (500,000÷36) = 13,888.88 টাকা দিতে হবে। ব্যাংক থেকে আপনাকে বিস্তারিত বলে দেওয়া হবে। ভালো থাকবেন।

Add Comment
comment url
আরো পড়ুনঃ